সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

টুকরাচিন্তা - শঙ্খচিলের বাসা

‪#‎ টুকরাচিন্তা‬ তারিক আর সাইফুদ্দিন দুই নাম্বারে নেমে গেলো। রিকশা এগুতে লাগলো। চিন্তার জগতে আর কিছুকে ঢুকতে দিতে চাই না। রাস্তার ক্ষণস্থায়ী মেমোরিকেও নয়। তাই আমি কোনোকিছুর দিকে নজর না দেবার উদ্দেশ্যে দৃষ্টির লেভেলটাকে উপরে উঠিয়ে দিলাম। সেখানে আকাশ। আকাশ। ল্যাম্পপোস্ট। গাছ। তারপর আবার আকাশ। সেখানে আজকে অদ্ভুত দৃশ্য দেখেছি। কেউ কি কখনো শঙ্খচিলকে বাসা বানানোর জন্য খড় নিয়ে যেতে দেখেছেন ? আমি আজকে সেই দৃশ্য দেখেছি। বেশ নিচু দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো পাখিটা ! শঙ্খচিল, কিংবা বাজপাখি, যা-ই বলুন না কেনো ওটাকে। আমার কাছে শঙ্খচিল। আকাশের অনেক উঁচুতে পাখা না ঝাপটিয়ে দীর্ঘক্ষণ ডানাদুটি মেলে উড়ে বেড়ানো যেকোনো পাখিই আমার কাছে শঙ্খচিল। জীবননান্দের শঙ্খচিলের উপমাটা আমার ভালো লেগেছে, কিন্তু সেটাতে আমি একটু বেহেশতের রঙ লাগিয়ে নিয়েছি। তারপর সেটা হয়ে গিয়েছে এক অদ্ভুত সন্ন্যাসী, সাধু, কিংবা সূফি ! আর আমি হয়েছি গৃহী। আমি জমিনের সাথে মিশে আছি। আকাশে আসলে কোনো স্থানই নেই ! কী আর করা। তাই শঙ্খচিল দেখতে তাকে বন্দী করেছি। সাত আসমানের 'পার বসবাস যে শঙ্খচিলের, তাকে যদি মর্ত্যের মায়ায় বন্দী করা যায়, তবে সেটা বড় জুলু