সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মহররম: ইনফো সিরিজ

মহররম মাসকে ইসলামের সত্য ইতিহাস জানা ও জ্ঞানচর্চার মাস হিসেবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারবালার অনুপ্রেরণা মানুষের হৃদয় থেকে মুছে দিতে হাজার বছর ধরে কম ষড়যন্ত্র করা হয়নি। আফসোসের সাথে বলতে হয়, এসকল ষড়যন্ত্রের সবটাই আমাদের মুসলমানদের in-house ষড়যন্ত্র। আমাদের মুসলমানদের হাত দিয়েই কারবালার শিক্ষাকে ম্লান করার ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা চলে আসছে। কিন্তু মনে রাখবেন যে, ৩০ হাজার সৈন্যের বিপরীতে মাত্র ৭২ জন সঙ্গী সাথী নিয়ে ইমাম হুসাইন (আ.) শহীদ হয়ে গেলেও প্রকৃত বিজয়ী তিনিই। তিনি ইসলামকে জিন্দা করে দিয়ে গেছেন। এজিদীরা বরাবরই সংখ্যায় বেশি ছিল, শক্তিশালী ছিল। আজও আছে। কিন্তু জানবেন যে, আপনি যদি হুসাইন (আ.) ও তাঁর সেই ৭২ জনের সাথী হয়ে যান, তবে আপনার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাও খোদায়ী শক্তি লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ। অতএব, যত অল্পই হোক না কেন, মহররম মাসকে কারবালার শিক্ষা জাগ্রত করতে ব্যবহার করুন। ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস মানুষকে জানান। খাঁটি মোহাম্মদী ইসলামের সাথে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিন। মহররম মাসের প্রতিটা দিনকে এই কাজে ব্যয় করুন। ……………………………………………………………………………… মহররম মাস উপলক্ষ্যে আগামী দিনগুলোতে কিছু ছো

বাড়ছে সুইসাইড

বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার মানুষ সুইসাইড করে। দশ হাজার!! এর মাঝে মেজরিটিই ইয়াং ছেলেমেয়ে। যে মানুষটা হারিয়ে গেল তো হারিয়েই গেল। দু'দিন দুঃখ প্রকাশ করে সবাই চলে যাচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে প্রচুর সুইসাইড হয়। বহুবছর তারা এর প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়নি। "যে মারা গেল তো গেল, আমরাতো বেঁচে আছি, ফূর্তি করছি" -- এটা ছিল তাদের মেন্টালিটি। পরবর্তীতে যখন বছর বছর পরিসংখ্যান প্রকাশ হতে শুরু করলো, তখন দেখা গেল যে সমাজের সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ শ্রেণী, ইয়াং জেনারেশানের মাঝে সুইসাইড রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে, তখন তারা বিষয়টা আমলে নিলো। কেননা, এরাই ভোগ-বিলাসের এই পশ্চিমা দুনিয়াকে সচল রাখে। পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই ইয়াং ছেলেমেয়ে সবচে বেশি আউটপুট দেয় সমাজ / রাষ্ট্রকে। এই কারণে পশ্চিমা বিশ্ব সতর্ক হয়েছে, সুইসাইড প্রিভেনশান সেন্টার খুলেছে; "আহারে, মানুষ তো!" -- এমন কোনো মানবিকতা থেকে নয়। পর্নোগ্রাফির মাফিয়ারা যেমন ইয়াং ছেলেমেয়েরা যেখানে জড়ো হয়, সেই জায়গায় গিয়ে হাজির হয়, তেমনি এখন সুইসাইড প্রিভেনশান সেন্টারগুলো ইয়াং ছেলেমেয়েদের পিছু নেয়ার মত করে তাদের সামনে হাজির হবার চেষ

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের শাসনব্যবস্থা

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাজনৈতিক কাঠামো অনেকের কাছেই দুর্বোধ্য। ঠিক কোন কোন জায়গায় পাওয়ার প্লে চলে, কার ক্ষমতা কতটুকু, ইত্যাদি বুঝে ওঠা কঠিন। কেননা, সারা দুনিয়ার মধ্যে একটা ইউনিক রাষ্ট্র-পরিচালনার সিস্টেম দিয়ে গেছেন বিপ্লবের নেতা মরহুম ইমাম খোমেনী। স্ট্রাকচারটা একটা ইনফোগ্রাফিকে দেখলে বুঝতে সুবিধা হবে। ছবিটা জুম করে বিভিন্ন অংশ এবং তীর চিহ্নগুলো দেখুন। আশা করি কয়েকবার দেখলে বোঝা যাবে। (যারা ছবি দেখতে পাচ্ছেন না, তাদের জন্য নিচে টেক্সটগুলো দিয়ে দিলাম) **১. ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট: রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ। সরকারের নির্বাহী বিভাগ পরিচালনার জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। টানা চার বছর প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারেন, সর্বোচ্চ মোট ৮ বছর (যদি পুনঃনির্বাচিত হন)। **২. ইসলামী মজলিসে শুরা (মজলিস/পার্লামেন্ট): জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ আইন প্রণয়ন ও আইন সংশোধন করেন। **৩. গ্রাম/শহর কাউন্সিল: জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে কাউন্সিলরগণ নির্বাচিত হন; এরপর কাউন্সিলরগণ মেয়র ও গভর্নর নির্বাচিত করেন। ..