সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - তথ্যযুদ্ধ

জানুয়ারি ২৩, ২০১৪ : মার্কিন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন-সহযোগীতাপুষ্ট বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসের মুখে সিরিয়া টিকে থাকবে, কিন্তু প্রাণক্ষয় হতে থাকবে যতদিন না এই সন্ত্রাসীরা শেষ হয়ে যায় কিংবা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ততদিন পর্যন্ত। ইসলামের শত্রুরা এই ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে, আর তা হলো : মুসলমানদের দিয়েই মুসলমানদের হত্যা করাতে পেরেছে। আর সরাসরি নিজেরা আক্রমণ চালানোর অপরাধ থেকেও দায়মুক্তি ঘটছে আমেরিকার। তথাকথিত "মুজাহিদীন" দিয়ে ভালো খেলাই খেলছে আমেরিকা-ইসরায়েল ! তবে আশার কথা হলো, বিভিন্ন জি হাদী গ্রুপের ব্যানারে জড়ো হওয়া প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মার্কিনী এজেন্টরা সংখ্যায় খুবই কম, এবং তাদের কোনো জ্ঞানভিত্তিক দৃঢ় শেকড় নেই। বিভ্রান্ত এই সন্ত্রাসীরা ইসলামের মূলতত্ত্ব ও হুকুম-আহকামের ক্ষেত্রে এক অথৈ সাগরে অবলম্বনহীনভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে। সুতরাং আগাছার মত শীঘ্রই তাদের মূলোৎপাটন ঘটবে। এজন্যে ইনফরমেশান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এবং করছেও। এ আরেক প্রকার যুদ্ধ। দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ এই যুদ্ধে লিপ্ত : the war of information - তথ্যের যুদ্ধ। সঠিক তথ্য উপযুক্ত পন্থায় উপযুক্ত স্থানে

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিরিয়া

নভেম্বর ৮, ২০১৩ : বুঝলাম না,  বাশার আল আসাদ নাকি তার জনগণের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। কেউ কি পরিষ্কার করে বলবেন নিজের জনগণের উপর তার গণহত্যা চালানোর কী কারণ থাকতে পারে ? কোথাও তো এই গণহত্যার ভিডিও, ছবি ইত্যাদি দেখি না। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যেমনটা প্রত্য ক্ষ করেছি, অন্তত সেটুকুও না। ইন্টারনেটে অসংখ্য ভিডিও দেখেছি মানুষের মিছিলে গুলি করার, গায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যা করার, AK-47 হাতে মিছিলে গুলি চালানোর এবং রাতের অন্ধকারে লাইট নিভিয়ে লাখো মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার, যখন টিভি চ্যানেলগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। আসাদ গণহত্যা চালাচ্ছে বলে যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়, তাতে অন্ততঃ বাংলাদেশের পরিস্থিতির একশগুণ বেশি না হলেও দশগুন বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু কই, তেমন কোনো ভিডিও বা ছবি তো দেখি না। কেউ আবার ইরাক যুদ্ধে নিহত সারি সারি শিশুর লাশের ছবি এনে দেখাবেন না, কারণ ঐটাকে (প্রথম আলোর গুরু) বিবিসি আসাদের গণহত্যার চিত্র বলে চালিয়ে দিয়েছিলো, পরে ফোটোগ্রাফার সেটা ক্লেইম করার পরে ছবি সরিয়ে নিয়েছিলো। সিরিয়া ইস্যু মোটামুটি স্তিমিত হয়ে এসেছে। কিন্তু বেআক্কেল RTNN এর অসাংবাদিকসুলভ এক আর্টিকেল পড়ে

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা : ইসলামসম্মত তথ্য-প্রমাণ ?

সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩ : খবরের সত্যাসত্য যাচাই করে নেওয়া  মুসলমানদের দায়িত্ব। সিরিয়া বিষয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার তৈরী করা নিউজের উপর ভিত্তি করে যেসব ইসলামপন্থী (!) অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট (!) লেখালেখি করেছেন আসাদের বিরুদ্ধে, তাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। মানুষের মাঝে ভ্রান্তি ছড়ানো অত্যন্ত গর্হিত কাজ। "মুমিনগণ ! যদি কোনো পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোনো  সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।" (সূরা আল-হুজুরাত, ৪৯:৬) "সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক হামলার পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও পশ্চিমা মিডিয়ার সরবরাহ করা লাশের ভুয়া ছবিগুলো ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছিলেন কতিপয় ইসলামপন্থী(!) অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। তখন আমিসহ অনেকেই বলেছিলাম- মিশরের পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘুরানোর জন্যই এই নাটক সাজানো হয়েছে। কিন্তু কথিত ইসলামপন্থীদের কাছে এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হচ্ছিল না। তারা পাশ্চাত্যের মিডিয়ার মিথ্যাচারকে কুরআনের বাণীর মত বিশ্বাস করে যাচ্ছিল। কিন্তু এরপর

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিরিয়া এবং তথাকথিত মুজাহিদীন গ্রুপ

সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৩ : অবশেষে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হ্যাগেলের কথায় প্রকাশ পেলো যে সিরিয়া আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য আর কিছু নয়, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের শক্তিকে দুর্বল করা। অনেকেই ইরানকে আমেরিকার গোপন বন্ধু, কিংবা সৌদি আরবের মত অপরাপর মুনাফিক শাসিত আরব রাষ্ট্রের কাতারে ফেলে থাকেন। সাম্প্রতিককালে ফেইসবুকে "হঠাৎ জেগে ওঠা" এক ঝাঁক ইসলামপন্থী লেখকের বেশিরভাগের কথাবার্তা-ই এমন দেখছি। মুসলমানদের দ্বারাই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়া  বা করানোর কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই গত ২৯ অগাস্ট একটি নোট লিখেছিলাম মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে। সেখানে লিখেছিলাম যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেদ করার জন্যই সিরিয়ায় আক্রমণের তোড়জোড় চলছে। ঐ একই উদ্দেশ্য নিয়েই ইরানের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় হয় হামলা, নয়তো তাঁবেদার সরকার নিশ্চিত করেছে আমেরিকা। (যদিও লেখার কারণে ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়েছি, তবুও) সন্তুষ্টি এই যে হয়তো কিছু মানুষকে সত্য জানাতে পেরেছি। দুঃখজনকভাবে, এমনকি একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে এটা শেয়ার করতে দেখেছি যে : "যদিও এটা সত্য যে আমেরিকা রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগসহ বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে ও সমর্

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিলেক্টিভ জিহাদ

সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৩ : ইসরাঈল প্রতিষ্ঠার ঘটনা। চিন্তার ব্যাপার হলো, বহু বছর ধরে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের সাহায্য না করে অনেকেই সিরিয়ায় বিপ্লব করে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর। কী করে তারা মুসলিম বিশ্বের প্রধান এই সমস্যাকে এড়িয়ে যায় ? কী করে ইরাক থেকে আল কায়েদা র শাখা আন-নূসরা সিরিয়ার জনগণকে "মুক্ত" করতে যায়, যেখানে ফিলিস্তিনের বন্দী জনগণ বছরের পর বছর ধরে ফরিয়াদ করছে ! কী করে সচেতন মুসলমানেরা এদেরকে সমর্থন দেয় ! এই "সিলেক্টিভ জিহাদ" তবে কাদের স্বার্থে ! "আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছো না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা ! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান করো; এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী ! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষাবলম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।" (সূরা আন নিসা, ৪-৭৫)

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - মিশর

নভেম্বর ২০, ২০১৩ : আর্মি ক্ষমতা দখল  করে মোবারকের পতন ঘটিয়েছিলো। আর্মি ক্ষমতা দখল করে ড. মুরসির পতন ঘটিয়েছে। জনগণ তো ক্ষমতা  থেকে মোবারককে নামায়নি ! জনগণ তো ড. মুরসির ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি ! তাহরির স্কয়ার কি প্রকৃতই বিপ্লব ছিলো ? তাহরির স্কয়ার কি ইসলামী বিপ্লব ছিলো ‍! জুলাই ১১, ২০১৩ : একটি বিষয় সুস্পষ্ট : পাশ্চাত্যের প্রবর্তিত গণতন্ত্র, বিচারব্যবস্থা ও আর্মি সিস্টেম -- এগুলোকে এক ধাক্কায় উল্টে না দিলে বর্তমান বিশ্বে বিপ্লব করে বিজয়কে স্থায়ী করা যাবে না। কারণ তাদের প্রবর্তিত গণতন্ত্র, বিচারব্যবস্থা ও আর্মি -- পরস্পর পরস্প রের অপকর্মের সঙ্গী, এবং পাশ্চাত্য খুব ভালো করেই জানে, এগুলোর কোন্ কোন্ ফাঁকফোঁকর কখন কিভাবে ব্যবহার করে যেকোনো প্রতিষ্ঠিত সরকারকে উল্টে দেয়া যায়। সুতরাং আসতে হবে সিংহভাগ জনসমর্থন নিয়ে, ক্ষমতার দখল পাওয়ামাত্র তাদের প্রবর্তিত তথাকথিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ছুঁড়ে ফেলে আলেম-ওলামাদের দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে, সেইসাথে আদালত ও আর্মিকেও বাতিল করে দিয়ে বিশ্বস্ত ও বিজ্ঞ ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ইসলামি আদালত বসাতে হবে, এবং গোড়া থেকে নত

ইসলাম - নীতিনির্ধারণী বিষয়সমূহ হতে মেধাবী ছাত্রদের দূরে সরিয়ে রাখা প্রসঙ্গে

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৩ : দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি পড়াশুনাকে সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয়। কিংবা নিরুৎসাহিত করা না হলেও, এর বিপরীতে ডাক্তার, এঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট-অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়াকে এত বেশি উৎসাহিত করা হয় যে স্বাভাবিকভাবেই ঐ ক্ষেত্রগুলোতে মানুষের সংখ্যা কমে আসে। স্কুল লেভেল থেকেই ব্রিলিয়ান্ট ছেলে-মেয়েদেরকে "সায়েন্স" গ্রুপে নেয়া হয়, আর অপেক্ষাকৃত কত মেধাবী ছেলে-মেয়েদের জন্য পড়ে থা কে ঐ বিষয়গুলো। এভাবে টপ ব্রিলিয়ান্ট ছেলে-মেয়েদেরকে ডাক্তার-এঞ্জিনিয়ার-অ্যাকাউন্ট্ যান্ট-আর্কিটেক্ট এর মত সভ্যতার যন্ত্রপাতি হিসেবে গড়ে তোলা হয়; আর বিপরীতে সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রণ গুটিকয়েক মানুষের হাতে রেখে দেওয়া হয়। এভাবে আমাদের হাতে তৈরী হওয়া আধুনিক সভ্যতার মাঝে বর্বর-অসভ্য-অনিসলামী সংস্কৃতিকে ধরে রাখা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা ধারণ করি আমরাই। যদি গোড়া থেকেই এসব ব্রিলিয়ান্ট ছেলেমেয়েরা দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি নিয়ে পড়াশুনা করতো ও চিন্তা করতো, তবে বিশ্বব্যাপী এই অসভ্য-বর্বর নিপীড়নমূলক সংস্কৃতির মূলোৎপাটন ঘটে এতদিনে ইসলামী সংস্কৃতি

ইসলাম - সাহাবীগণের অন্ধ অনুসরণ কাম্য নয়

নভেম্বর ৫, ২০১৩ : সাম্প্রতিক সময়ে শিয়া-সুন্নি ইস্যুতে ফেইসবুকে ও অফলাইনে বেশ কয়েকটি বিষয়ের সম্মুখীন হয়েছি। না, ভাববেন না যে আমি এখানে শিয়া-সুন্নি বিরোধের কোন বিষয়ের সমাধান দিতে এসেছি। প্রচলিত শিয়া-সুন্নি বিরোধের কিছু বিষয় থেকে শুরু করে কিছু তাত্ত্বিক কথা বলবো বড়জোর। যাহোক, বিষয়টা হলো : নোমান আলী খান মুয়াবিয়া নামটির সাথে "রাদিয়াল্লাহু আনহু" বলেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ যার উপর রাজি। যেটাকে আমরা সংক্ষেপে লিখি : রাঃ। ডা. জাকির  নায়েক আবার এককাঠি বেড়ে মুয়াবিয়া পুত্র ইয়াজিদের নামের সাথে peace be upon him ("আলাইহিসসালাম" -- তাঁর উপরে সালাম, সংক্ষেপে আঃ) বলেছেন। বিপরীতে, শিয়ারা উভয়কেই অপছন্দ করে থাকে, ইয়াজিদের নাম উচ্চারণের সাথে সাথে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ কামনা করে, মুয়াবিয়ার ব্যাপারেও কমবেশি অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গিই পোষণ করে। মুয়াবিয়া নবীজি (সা.) সাহাবী ছিলেন। সাধারণভাবে সুন্নিদের বক্তব্য হলো, সাহাবীগণের নামের সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহু বা এজাতীয় কথা বলা বাধ্যতামূলক। ওদিকে শিয়ারা আবার দিচ্ছে লানত। এই নিয়ে কথা। আমি এই পোস্ট লিখতাম না, কিন্তু আজ সকালে ইনবক্সে একটি মেসেজ পেলাম, এবং পরবর

ইসলাম - বিতর্কের "কমন গ্রাউন্ড"

নভেম্বর ১১, ২০১৩ : যেহেতু আমি ইতিহাসবিশেষজ্ঞ নই; ইতিহাসের সত্যাসত্য নির্ণয় করার পদ্ধতি আমার জানা নেই এবং হাদীস বিশেষজ্ঞও নই, সুতরাং আমি কেবল সেইটুকুর ভিত্তিতে কথা বলতে পারবো, যেটুকু বিষয়ে আমি নিশ্চয়তায় উপনীত হতে পেরেছি। আর তা হলো আল্লাহর অস্তিত্ব, এবং অতঃপর তাঁর প্রেরিত অপরিবর্তিত ও অবিকৃত পথনির্দেশ (আল কুরআন)। আর এ বিষয়ে নিশ্চিত জ্ঞানে উপনীত হওয়ার যে জ্ঞানসূত্র বা সহায়ক শক্তি (tools), অর্থাৎ বিচারবুদ্ধি (reasoning) -- তার আলোকে এবং কুরআনের আলোকে ছাড়া অন্য কোনোভাবে কথা বলা / আলোচনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যখন বিবদমান দুই পক্ষ যুক্তি-তর্ক করে, তখন উভয়ের কমন গ্রাউন্ড আগে জেনে নিতে হয়। যেমন একজন মুসলমানের সাথে আমি বিতর্কে বসলে আমাদের কমন গ্রাউন্ড কোরআন অবশ্যই থাকবে। কিন্তু একজন বিধর্মীর সাথে বিতর্কে বসলে কমন গ্রাউন্ড হবে বিচারবুদ্ধি ('আক্বল)। সুন্নি আলেমগণের মাঝে বিতর্ক হলে সেক্ষেত্রে কোরআনের পর আরও কমন গ্রাউন্ড থাকে। যেমন, কিছু বিশেষ হাদীসগ্রন্থ (suppose, বুখারী ও মুসলিম)। অনুরূপ শিয়া আলেমগণের অভ্যন্তরীণ বিতর্কে কোরআনের পর আরও কমন গ্রাউন্ড থাকে। যেমন, হাদীস গ্রন্থ আল কাফী। শিয়াদে

ইসলাম - কোনো মুসলিম কি অনিসলামী বিচারব্যবস্থার মুখাপেক্ষী হতে পারে ?

ডিসেম্বর ২২, ২০১৩ : "আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, তারা বিশ্বাস করে যা আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা আপনার পূর্ববর্তীদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। (কিন্তু) তারা বিরোধের বিষয়ে বিচারের জন্য তাগুতের মুখাপেক্ষী হয়, যদিও তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে একে (তাগুতকে) প্রত্যাখ্যান করতে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।" -- সূরা নিসা, ৪:৬০ ***আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী : এখানে সাধারণ অর্থে সেসব মানুষ কে বুঝানো হয়েছে, যারা নিজেদের হকপন্থী বলে দাবী করে, কিন্তু নিজেদের লাভের জন্য ন্যায়বিচারক নয়, এমন মানুষকে বিচারক মেনে নেয়। ***ইমাম খোমেইনী : স্বৈরাচারী সরকারের বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী ও রাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গ মিলেই হলো "তাগুত"। কারণ তারা শয়তানি আইন তৈরী, প্রয়োগ এবং তাকে বিচারব্যবস্থার ভিত্তি করার মাধ্যমে ঐশী বিধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। এদেরকে অবিশ্বাস (প্রত্যাখ্যান) করতে আল্লাহ আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন। "কোনো মুসলিম কি অনিসলামী বিচারব্যবস্থার মুখাপেক্ষী হতে পারে ?" -- এই প্রসঙ্গে।

ইসলাম - অনলাইনে ধর্মীয় বিষয়াদিতে তর্ক করা প্রসঙ্গে

নভেম্বর ২৩, ২০১৩ : (সূরা আল কাসাস, ২৮:৫৫) অবাঞ্ছিত কথাবার্তা শ্রবণ করে, তখন তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, আমাদের জন্যে আমাদের কাজ এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কাজ। তোমাদের প্রতি সালাম। আমরা অজ্ঞদের সাথে জড়িত হতে চাই না। (সূরা আল ফুরকান, ২৫:৬৩) রহমান এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মূর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম। (সূরা আন নাহল, ১৬:১২৫) আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহ্বান করুন জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সহকারে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন সর্বোত্তম পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনি ভালো জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। (সূরা আনকাবুত, ২৯:৪৬) তোমরা কিতাবধারীদের সাথে তর্ক বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়; তবে তাদের সাথে নয়, যারা তাদের মধ্যে বে-ইনসাফ। এবং বলো, আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তাঁরই আজ্ঞাবহ। জানিনা এই লেখাটি কতটুকু কার্যকরী হবে, তবুও একপ্রকার দায়িত্ববোধ থেকে লিখ

ইসলাম - একটি আধুনিক জীবন বিধান

ডিসেম্বর ৩, ২০১৩ : "ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।" "ইসলাম একটি আধুনিক জীবন বিধান।" "Islam never gets old." ইত্যাদি কথা কেবল মৌখিকভাবে প্রচার করে বেড়ানো যথেষ্ট নয়। বরং এই কথাগুলোকে গভীরভাবে বুঝতে হবে। নইলে ইসলাম আচার সর্বস্ব ধর্ম হয়ে পড়বে। আধুনিক শব্দের অর্থ হলো যা যুগের সাথে সাথে, কালের প্রবাহে অগ্রহণযোগ্য ও অচল হয়ে পড়ে না। অনেকে এর ভুল অর্থ গ্রহণ করে (উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে) ইসলামকে "মডার্নাইজ" করার নামে ইসলামী মূলনীতি বিরুদ্ধ জিনিসের প্রবেশ ঘটান। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আবার এ-ও গ্রহণযোগ্য নয় যে, ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও পালনের নামে ১৪০০ বছর আগের হুবহু দৃশ্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হুবহু বলতে পোশাক-আষাক, খাবার, যান-বাহন, আসবাব পত্র, গৃহস্থালী, ঘর-বাড়ি, সংস্কৃতি ইত্যাদিকে ১৪৪০ বছর পূর্বের আরবের ন্যায় করে ফেলা। "কুরআন একটি জীবন্ত মুজিজা" এর অর্থ হলো, স্থান ও কালের পরীক্ষায় এটি উত্তীর্ণ হয়। আবার "ইসলাম একটি আধুনিক জীবন বিধান" এর অর্থ হলো, স্থান ও কালের পরিবর্তনে ইসলামী মূলনীতি অগ্রহণযোগ্য ও অচল হয়ে পড়ে না। এই অর্থেই ইসলাম আধুনিক।

ইসলাম - শিরক এর উপর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা

ডিসেম্বর ৬, ২০১৩ : দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ইসলামের মৌলিক বিষয়ে উপযুক্ত ধারণার অভাবে মুসলিম সমাজে বিভ্রান্তির শেষ নেই। এত অসংখ্য ভ্রান্তি আছে যে তার তালিকা করতে গেলে কয়েকটি এনসাইক্লোপিডিয়া হয়ে যাবে। এতসব ভ্রান্তি দেখে ইসলামপ্রিয় যেকোনো মানুষের মনেই প্রশ্ন জাগে : কিভাবে, কোন অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করলে এতসব ভ্রান্তি দূর করা সম্ভব ? এক্ষেত্রে এটা খুবই অবাস্তববাদী অ্যপ্রোচ হবে যে, আমরা প্রতিটা ভুল ধারণা নিয়ে একটি করে লেকচার দেবো / আর্টিকেল লিখবো, এবং যুক্তি দেখিয়ে সেগুলোকে ভুল প্রমাণিত করে সঠিক জিনিসটা শিক্ষা দেবো। এভাবে করলে কোন মানুষই মুসলমানদের সকল ভুলের উত্তর দেয়া শেষ করতে পারবে না। যেমনিভাবে এটা ভুল অ্যাপ্রোচ যে আমরা আল্লাহ-রাসূল নিয়ে নাস্তিকদের সকল অপযুক্তি ও কটুক্তির জবাব দেবো। বরং সঠিক অ্যাপ্রোচ হলো মৌলিক বিষয়ের সংক্ষিপ্ত, কিন্তু পর্যাপ্ত জ্ঞান বিতরণ করা, যেনো সেই জ্ঞান ব্যবহার করে মুসলমানেরা ভুল এড়িয়ে জীবন চলতে পারে। অনলাইনে দেখবেন নাস্তিকতার যুক্তিখণ্ডন করে অসংখ্য আর্টিকেল, ঘন্টার পর ঘন্টা লেকচার; রাসুলুল্লাহর উপর নাস্তিকদের অপবাদের যুক্তিখণ্ডন, বিশাল বিশাল লেখা, যুক্তি....। আপ