সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩ :
গোটা দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা অল্প কয়েকটি লোকের হাতে বন্দী। অল্প কিছু ব্যক্তি-ই নির্ধারণ করে এদেশের মানুষজন কী নিয়ে চিন্তা করবে, তাদের চিন্তার ক্ষেত্র কী হবে এবং স্বাধীনতার ধারণা কেমন হবে।
অন্ধ বানিয়ে রাখা এসব মানুষকে পুলিশী নিরাপত্তাসহ সবরকম রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিয়ে শহরের একটি রাস্তার মোড়ে তাদের (নিয়ন্তাদের) দাবীর সপক্ষে চিৎকার করার সুযোগ দিয়ে কানে কানে বলে দেয়া হয় : এইযে দেখো তোমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক ! এইযে দেখো তোমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা !
কিন্তু তার বিরুদ্ধে কথা বললে গ্রেফতার করা হয় তথ্য আইনে ! মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেবল তাদের ইচ্ছামতো বিষয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
মানুষকে, বিশেষত মেয়েদেরকে ছোটো ছোটো অশ্লীল জামাকাপড় পরার জন্য সবরকম ইনফ্লুয়েন্স দিয়ে, টিভি-ইন্টারনেট-বিলবোর্ডসহ সবজায়গায় অশ্লীলতার ছড়াছড়ি দিয়ে তারপর মানুষকে সেটা গ্রহণ করতে দেয়, এরপর কানে কানে মন্ত্র পড়ে দেয় : দেখো, তোমরা কত স্বাধীন, তোমাদের পোষাকের স্বাধীনতা আমরা দিচ্ছি !
কিন্তু কেউ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় পোশাক পরলে তাকে বহিস্কার-তিরস্কার-হামলা-মামলা সবই করা হয় ! তখন স্বাধীনতার দাতারা কোথায় থাকে ?
টিভি চ্যানেলগুলোতে অনৈতিক অনিসলামিক অ্যাড-নাটক-মুভি-অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি। যে কেউ এসবে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে সবরকম উৎসাহ-সাহায্য-সহযোগীতা দেয়া হয় চারপাশ থেকে। সেইসাথে মন্ত্র পড়ে দেয়া হয় : এই দেখো আমরা কত সংস্কৃতিমনা, স্বাধীনভাবে তোমাদেরকে স্বাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে দিই !
অথচ কোনো চ্যানেল যদি ইসলামি ভাবধারার নাটক-মুভি-অনুষ্ঠান প্রচার করতে চায়, তখন তাকে নিরবে মুছে ফেলা হয়।
রমনার বটমূলে নাচ-গান করা যাবে, সেটাকে সর্বোতোভাবে সাহায্য-সহযোগীতা মিডিয়া কাভারেজ দিয়ে উৎসাহ দেয়া হবে, পুলিশী নিরাপত্তা দেয়া হবে, আর মন্ত্র পড়া হবে : স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছি !
কিন্তু কেউ যদি ইসলামী জলসা করতে চায়, ইসলামী কোনো সমাবেশ করতে চায়, তখন সেগুলোকে অনুমতি দেয়া হয় না, বাধাগ্রস্ত করা হয়। স্বাধীনতা কী জিনিস ?
সরকারের ইচ্ছায় যারা রাস্তার মোড়ে মাসের পর মাস অনৈতিক অশ্লীল চিৎকার-চেঁচামেচি করলো, তাদেরকে ২৪ ঘন্টা অসংখ্য চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার করা হয়, সেইসাথে মন্ত্র পড়া হয় : মিডিয়ার স্বাধীনতা !
অথচ ইসলামপন্থীদের সমাবেশ লাইভ প্রচার করতে থাকা গুটিকয়েক টিভি চ্যানেলকে সবরকম আইন এড়িয়ে মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়। মিডিয়ার স্বাধীনতা তখন কোথায় যায় ?
তারা চায় যে, আমরা তাদের সিলেক্ট করে দেয়া বিষয়গুলো নিয়ে স্বাধীনতার মায়ায় আচ্ছন্ন থাকি। তারা চায় না আমরা রাষ্ট্রের নীতি বিষয়ে কথা বলি। টিভিতে কী প্রচারিত হবে সে বিষয়ে জনগণের মতামত তারা চায় না, পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে আমাদের মতামত তারা চায় না। জাতীয় সম্পদের ব্যবহার ও সংরক্ষণের ব্যাপারে আমরা কথা বলি, সেটা তারা চায় না।
তারা চায় যে, আমরা তাদের দেয়া সিলেক্টিভ স্বাধীনতায় তাদের ইচ্ছায় গলা ফাটিয়ে চিৎকার করি, আর সেই ফাঁকে তারা দেশ নিয়ে যা-খুশি করুক। আমাদের স্বাধীনতাকে তারা নগ্নতা, অশ্লীলতা, বিজাতীয় সংস্কৃতির চর্চা ও তাদের রাজনীতির সমর্থনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। এটা স্বাধীনতা নয়।
এইসব সিলেক্টিভ স্বাধীনতা হলো পরাধীনতার খোলসমাত্র।
(২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩)
গোটা দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা অল্প কয়েকটি লোকের হাতে বন্দী। অল্প কিছু ব্যক্তি-ই নির্ধারণ করে এদেশের মানুষজন কী নিয়ে চিন্তা করবে, তাদের চিন্তার ক্ষেত্র কী হবে এবং স্বাধীনতার ধারণা কেমন হবে।
অন্ধ বানিয়ে রাখা এসব মানুষকে পুলিশী নিরাপত্তাসহ সবরকম রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিয়ে শহরের একটি রাস্তার মোড়ে তাদের (নিয়ন্তাদের) দাবীর সপক্ষে চিৎকার করার সুযোগ দিয়ে কানে কানে বলে দেয়া হয় : এইযে দেখো তোমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক ! এইযে দেখো তোমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা !
কিন্তু তার বিরুদ্ধে কথা বললে গ্রেফতার করা হয় তথ্য আইনে ! মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেবল তাদের ইচ্ছামতো বিষয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
মানুষকে, বিশেষত মেয়েদেরকে ছোটো ছোটো অশ্লীল জামাকাপড় পরার জন্য সবরকম ইনফ্লুয়েন্স দিয়ে, টিভি-ইন্টারনেট-বিলবোর্ডসহ সবজায়গায় অশ্লীলতার ছড়াছড়ি দিয়ে তারপর মানুষকে সেটা গ্রহণ করতে দেয়, এরপর কানে কানে মন্ত্র পড়ে দেয় : দেখো, তোমরা কত স্বাধীন, তোমাদের পোষাকের স্বাধীনতা আমরা দিচ্ছি !
কিন্তু কেউ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় পোশাক পরলে তাকে বহিস্কার-তিরস্কার-হামলা-মামলা সবই করা হয় ! তখন স্বাধীনতার দাতারা কোথায় থাকে ?
টিভি চ্যানেলগুলোতে অনৈতিক অনিসলামিক অ্যাড-নাটক-মুভি-অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি। যে কেউ এসবে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে সবরকম উৎসাহ-সাহায্য-সহযোগীতা দেয়া হয় চারপাশ থেকে। সেইসাথে মন্ত্র পড়ে দেয়া হয় : এই দেখো আমরা কত সংস্কৃতিমনা, স্বাধীনভাবে তোমাদেরকে স্বাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে দিই !
অথচ কোনো চ্যানেল যদি ইসলামি ভাবধারার নাটক-মুভি-অনুষ্ঠান প্রচার করতে চায়, তখন তাকে নিরবে মুছে ফেলা হয়।
রমনার বটমূলে নাচ-গান করা যাবে, সেটাকে সর্বোতোভাবে সাহায্য-সহযোগীতা মিডিয়া কাভারেজ দিয়ে উৎসাহ দেয়া হবে, পুলিশী নিরাপত্তা দেয়া হবে, আর মন্ত্র পড়া হবে : স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছি !
কিন্তু কেউ যদি ইসলামী জলসা করতে চায়, ইসলামী কোনো সমাবেশ করতে চায়, তখন সেগুলোকে অনুমতি দেয়া হয় না, বাধাগ্রস্ত করা হয়। স্বাধীনতা কী জিনিস ?
সরকারের ইচ্ছায় যারা রাস্তার মোড়ে মাসের পর মাস অনৈতিক অশ্লীল চিৎকার-চেঁচামেচি করলো, তাদেরকে ২৪ ঘন্টা অসংখ্য চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার করা হয়, সেইসাথে মন্ত্র পড়া হয় : মিডিয়ার স্বাধীনতা !
অথচ ইসলামপন্থীদের সমাবেশ লাইভ প্রচার করতে থাকা গুটিকয়েক টিভি চ্যানেলকে সবরকম আইন এড়িয়ে মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়। মিডিয়ার স্বাধীনতা তখন কোথায় যায় ?
তারা চায় যে, আমরা তাদের সিলেক্ট করে দেয়া বিষয়গুলো নিয়ে স্বাধীনতার মায়ায় আচ্ছন্ন থাকি। তারা চায় না আমরা রাষ্ট্রের নীতি বিষয়ে কথা বলি। টিভিতে কী প্রচারিত হবে সে বিষয়ে জনগণের মতামত তারা চায় না, পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে আমাদের মতামত তারা চায় না। জাতীয় সম্পদের ব্যবহার ও সংরক্ষণের ব্যাপারে আমরা কথা বলি, সেটা তারা চায় না।
তারা চায় যে, আমরা তাদের দেয়া সিলেক্টিভ স্বাধীনতায় তাদের ইচ্ছায় গলা ফাটিয়ে চিৎকার করি, আর সেই ফাঁকে তারা দেশ নিয়ে যা-খুশি করুক। আমাদের স্বাধীনতাকে তারা নগ্নতা, অশ্লীলতা, বিজাতীয় সংস্কৃতির চর্চা ও তাদের রাজনীতির সমর্থনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। এটা স্বাধীনতা নয়।
এইসব সিলেক্টিভ স্বাধীনতা হলো পরাধীনতার খোলসমাত্র।
(২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন