সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশের রাজনীতি - কাদের মোল্লা

ডিসেম্বর ১২, ২০১৩ :
হে প্রশান্ত মন !
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে।
(আল কুরআন, সূরা আল ফজর, ২৭-৩০)

আল্লাহ তায়ালা ইসলামের সেবক আবদুল কাদের মোল্লাকে আজ কবুল করে নিয়েছেন। শহীদের ময়দানে তাঁদের সাথে আমরা একত্রিত হবো ইন-শা-আল্লাহ। এবং নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর, এবং তাঁর নিকটই আমাদের প্রত্যাবর্তন।

ডিসেম্বর ১০, ২০১৩ :
১. "আলিফ-লাম-মীম।”
২. "মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, 'আমরা বিশ্বাস করি' এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না ?”
৩. "আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিলো। আল্লাহ অবশ্যই নিশ্চিত করবেন সত্যবাদীদের এবং নিশ্চয়ই নিশ্চিত করবেন মিথ্যাবাদীদেরকে।”
– সূরা আনকাবূত, আল কুরআন।

আজকে রাতে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হবে। জীবনে প্রথম জুডিশিয়াল কিলিং প্রত্যক্ষ করছি। আজ কাদের মোল্লার স্ত্রী-পুত্র সন্তানেরা কাঁদছে। কাল বা পরশু হয়তো আমি কাঁদবো। সেইসাথে কাঁদবে দেশের মানুষ, যেভাবে আজকে কাঁদছে। তবে সেসব কথা বলতে আসিনি।
আজকে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ঈমানের পরীক্ষার সম্মুখীন করেছেন। আজ আল্লাহ নিশ্চিত করবেন, দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করবেন কে সত্যবাদী, আর কে মিথ্যাবাদী। অতীতের সত্যপন্থীরা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমরাও হবো ইন-শা-আল্লাহ।

আমি জানি, কাদের মোল্লাকে আজ রাতে হত্যা করা হবে বলে অসংখ্য মানুষের বুক বেদনায় ভেঙে যাচ্ছে। আমিও তীব্রভাবে বেদনার্ত। কিন্তু এই সময়ের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের কী বলেছেন ?

১৫৩. “হে মুমিনগণ ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।”
১৫৪. “আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বোলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বোঝ না।”
১৫৫. “এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের –“
১৫৬. "যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।"
– সূরা বাক্বারা, আল কুরআন।

আজকে আমরা চরম বিপদের সম্মুখীন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর এক বান্দাকে কবুল করে নেবেন আজ রাতে। একইসাথে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপরেও রহমতের দৃষ্টি দেবেন, যদি আমরা এই বিপদাবস্থায় বলি : “নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।” আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকেও কবুল করবেন যদি আমরা ধৈর্য ও নামাজের সাথে প্রার্থনা করি। কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
এটা মৃত্যু নয়। প্রকৃত অর্থে মৃত্যু তো তাদেরই হয়, যাদের মৃত্যুর সাথে সাথে সমস্ত জীবন ব্যর্থ হয়ে যায়, এবং নিজের পাপের বোঝার উপর অন্যের পাপের বোঝাও যারা বহন করে !
কিন্তু যারা আল্লাহর পথে শহীদ হন, তাঁরা জীবিত। তাঁরা নিয়মিত রিজিক পেয়ে থাকেন। আমরা তাদের উপর সালাম পাঠাই। তাদের শান্তির উপর শান্তি। আলোর উপর আলো।

আমি জানি আমরা অনেকেই হতাশ বোধ করছি। প্রচণ্ড দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে অশ্রুবিসর্জন করছি। অশ্রুবিসর্জন করুন, কিন্তু হতাশ হবেন না, দুঃখিত হবেন না। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :

১৩৯. "আর তোমরা নিরাশ হোয়ো না এবং দুঃখ কোরো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।"
১৪০. "তোমরা যদি আহত হয়ে থাকো, তবে তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মাঝে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান – কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদের ভালোবাসেন না।"
– সূরা আলে ইমরান, আল কুরআন।

সুতরাং আল্লাহ তো জানতে চাইছেন কারা ঈমানদার ! সেই পরীক্ষায় কাদের মোল্লা উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছেন। আমাদের পরীক্ষা কিন্তু সামনে আরো আসবে। সেজন্যে প্রস্তুত হোন। শোককে শক্তিতে পরিণত করে সারাজীবন দ্বীনের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করার প্রতিজ্ঞা করুন। কাউকে বলতে হবে না। আপনার প্রতিজ্ঞার সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট।
আর আল্লাহ তায়ালা চান কিছু মানুষকে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে। আল্লাহ তায়ালা চেয়েছেন কাদের মোল্লাকে শহীদের মর্যাদা দান করতে। সারা দুনিয়ার সকল মুসলিমের অশ্রুর কি সাধ্য আছে কাদের মোল্লাকে সেই মর্যাদা পাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রাখে ? আজকে যারা অত্যাচার করছে মানুষের উপর, আল্লাহ তায়ালা তো তাদেরকে ভালোবাসেন না। তারা তো গোড়াতেই পরাজিত হয়ে গিয়েছে। ওরা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। আর সফল হচ্ছেন কাদের মোল্লা। হয়তো সামনে এমন আরো অনেক মানুষই আল্লাহ তায়ালার পরীক্ষায় সফল হবেন। আর বাকি থাকি আমরা। আমরা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এবং ভবিষ্যতেও পরীক্ষার সম্মুখীন হবো। তখন আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবুল করে নেবেন ইন-শা-আল্লাহ।

৬. “নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর না-ই করুন তাতে কিছু আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।”
৭. “আল্লাহ তাদের অন্তঃকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।”
– সূরা বাক্বারা, আল কুরআন।

আজকে আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে মিথ্যাবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন, দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করবেন কারা মিথ্যাবাদী, তাদের কর্ম তো নিষ্ফল হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা তাদের কাছে সত্য উপস্থাপন করি বা না করি, তাতে কিছুই আসে যায় না। তারা নিজ হাতে জাহান্নাম উপার্জন করে নিয়েছে। সত্যপন্থীদেরকে অত্যাচার করার মাধ্যমে তাদেরকে দূরে সরিয়ে দিয়ে তারা নিজেদের হেদায়েত পাবার সূযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সুতরাং আল্লাহ তাদের অন্তঃকরণ তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন। তারা দুনিয়া ও আখিরাতে নিষ্ফল হয়ে গিয়েছে। তাদের জন্য না আমরা হেদায়েতের বাণী নিয়ে যাবো, আর না আমরা তাদের সাথে কোনো ধরণের সম্পর্ক রাখবো। সুতরাং, আজকে সেই প্রতিজ্ঞাও গ্রহণ করুন। আজকের অশ্রুজড়ানো প্রতিজ্ঞা যেনো চিরদিন জাগ্রত থাকে।

আজকে কাদের মোল্লাকে যারা হত্যা করছে, শুধু তারা এই অপরাধের দায়ভার নেবে না। সেইসাথে নেবে তারাও, যারা এদেরকে সমর্থন করেছে। কারণ এসব আওয়ামী লীগার, যত বামপন্থী, তথাকথিত সুশীল সমাজ, শাহবাগী – এদের উপর ভর করেই এই অত্যাচারী স্বৈরশাসক টিকে রয়েছে। সুতরাং, তারা নিজেরা যেমন জাহান্নাম কিনে নিয়েছে, সেইসাথে জাহান্নামের সুসংবাদ পেয়ে গিয়েছে তাদের সমর্থকেরাও। আর এইসব শাহবাগী, অসংখ্য লীগ-বামপন্থি আমাদের আশেপাশেই আছে। সুতরাং তাদের সাথে সকল ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করুন। আর অপেক্ষা করুন সেই দিনের জন্য, যেদিন প্রকৃত সার্বভৌমত্ত্ব হবে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার। যেদিন মুখকে বন্ধ করে দেয়া হবে, এবং মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। সেই দিনের অপেক্ষা করুন।

শাহবাগীরা ! তোমরা সেই দিনের অপেক্ষা করো। আমরাও সেদিনের অপেক্ষায় আছি।

নূরে আলম
ডিসেম্বর ১০, ২০১৩।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ