সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এরদোয়ানের তুরস্ক: আবেগ বনাম বাস্তবতা

গত ১৫ই জুলাই তুরস্কে একটি “৬ ঘন্টার ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান” ঘটে গেল। তার উত্তেজনায় আবেগাপ্লুত ধর্মপ্রেমী মানুষেরা নানান কথা লিখছেন অনলাইনে। ভোররাতে ফজর হবার আগেই সব মসজিদ থেকে আজান দিয়ে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে বলা হয়েছে, আর এরদোয়ান সমর্থকেরা আল্লাহু আকবার শ্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন, সেইসাথে এরদোয়ান মিডিয়াতে কান্না করেছেন -- ব্যস, আর কী লাগে! এতেই তা হয়ে গিয়েছে “ইসলামী বিপ্লব” এবং এরদোয়ান হয়েছেন “মহান ইসলামী খলিফা”। এরদোয়ান কে? তার বেড়ে ওঠা কিভাবে? রাজনীতিতে প্রবেশ কিভাবে? তার রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস কী? তার রাজনৈতিক গুরু নাজমুদ্দিন এরবাকানেই বা ইতিহাস কী? গুরুর ইসলামী দল ছেড়ে সেকুলার একেপি গঠন কেনইবা করলেন এরদোয়ান? শিষ্যের ব্যাপারে গুরুর মন্তব্য কী ছিল? সবচেয়ে বড় কথা, বিগত ১৪ বছরের শাসনামলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরদোয়ানের কর্মকাণ্ড কী ছিল? এরদোয়ানকে মহান মুসলিম নেতা বলার আগে এসবের উত্তর জানা থাকা দরকার। কিংবা তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থান দমন দেখে ধর্মীয় আবেগে আপ্লুত হবার আগে এরদোয়ানের ইতিহাসটা একটু জানা দরকার। কেবল এরদোয়ানের ফজরের আজান দেয়া, আর নানান “ইসলামী কথা” শুনে

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ

বাংলাদেশের রাজনীতি - জঙ্গী সমস্যা

গুলশানের রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা শুরু হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা ফেইসবুকের কল্যাণে জানতে পারলাম; সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত একটু পরপরই অনলাইনে চোখ রাখছি। ফেইসবুকে নানা বয়সের নানান ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষকে অ্যাড করা আছে, তাদের রিঅ্যাকশানগুলো দেখছি। এমনকি "সব মাদ্রাসা বন্ধ করা হোক মনিটর করা হোক" জাতীয় টিপিকাল কথা বলা নাস্তিকদের লেখালেখিও চোখে পড়লো। আমি হয়ত লিখতাম না, তবু কিছু কারণে দুটো কথা লিখতে বসেছি। আজকে দেশের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা হুট করে হয়নি, এবং হুট করে বন্ধও হবে না। তবে আমরা যদি এখন থেকেই preventive measure নিতে পারি, তাহলে হয়ত দুই দশ বছর পর জাতি ঘুরে দাঁড়াবে, আমাদের নেক্সট জেনারেশান অন্ততঃ নিরাপদে থাকতে পারবে। আমি জানি আমার এই লেখা দুই দশজন মানুষ ছাড়া আর কারো কাছে পৌঁছাবে না এবং আমার এই দুটো কথায় দেশ বদলে যাবে না। তবুও লিখছি, কারণ কর্তব্য অনুভব করছি। আমাদের গাফিলতির কারণেই যে দেশ আজকে এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, তা কি আমরা স্বীকার করি? না অনুধাবন করতে পারি? আজকে তরুণ সমাজ জানে না, এই হামলার দায় স্বীকার করা ISIS কী? ISIS এর উৎপত্তি কোথা থেকে? কারা এর প