সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

টুকরাচিন্তা - শঙ্খচিলের বাসা

‪#‎ টুকরাচিন্তা‬ তারিক আর সাইফুদ্দিন দুই নাম্বারে নেমে গেলো। রিকশা এগুতে লাগলো। চিন্তার জগতে আর কিছুকে ঢুকতে দিতে চাই না। রাস্তার ক্ষণস্থায়ী মেমোরিকেও নয়। তাই আমি কোনোকিছুর দিকে নজর না দেবার উদ্দেশ্যে দৃষ্টির লেভেলটাকে উপরে উঠিয়ে দিলাম। সেখানে আকাশ। আকাশ। ল্যাম্পপোস্ট। গাছ। তারপর আবার আকাশ। সেখানে আজকে অদ্ভুত দৃশ্য দেখেছি। কেউ কি কখনো শঙ্খচিলকে বাসা বানানোর জন্য খড় নিয়ে যেতে দেখেছেন ? আমি আজকে সেই দৃশ্য দেখেছি। বেশ নিচু দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো পাখিটা ! শঙ্খচিল, কিংবা বাজপাখি, যা-ই বলুন না কেনো ওটাকে। আমার কাছে শঙ্খচিল। আকাশের অনেক উঁচুতে পাখা না ঝাপটিয়ে দীর্ঘক্ষণ ডানাদুটি মেলে উড়ে বেড়ানো যেকোনো পাখিই আমার কাছে শঙ্খচিল। জীবননান্দের শঙ্খচিলের উপমাটা আমার ভালো লেগেছে, কিন্তু সেটাতে আমি একটু বেহেশতের রঙ লাগিয়ে নিয়েছি। তারপর সেটা হয়ে গিয়েছে এক অদ্ভুত সন্ন্যাসী, সাধু, কিংবা সূফি ! আর আমি হয়েছি গৃহী। আমি জমিনের সাথে মিশে আছি। আকাশে আসলে কোনো স্থানই নেই ! কী আর করা। তাই শঙ্খচিল দেখতে তাকে বন্দী করেছি। সাত আসমানের 'পার বসবাস যে শঙ্খচিলের, তাকে যদি মর্ত্যের মায়ায় বন্দী করা যায়, তবে সেটা বড় জুলু

বর্তমান সময়ের ইসলাম সংক্রান্ত সমস্যার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত -- ১২. পরিশিষ্ট – ২ : Levels of guidance

মানুষের দুনিয়ার জীবনটা হলো উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এক অবস্থা। দুনিয়ার যাত্রা শেষ হলে সে আবার তার উৎসের কাছে ফিরে যাবে। দুনিয়ার এই জার্নিটা যেনো আমরা সঠিকভাবে পার করতে পারি , সেজন্যে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন স্তরের গাইডেন্স দান করেছেন। একটা দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টাকে এভাবে দেখা যেতে পারে : মৌলিক / সর্বজনীন স্তরের গাইডেন্স : এই গাইডেন্স সকল মানুষের মাঝে সহজাত। যে কেউ এই গাইডেন্সকে অনুসরণ করবে ও সৎকর্ম করবে , পরকালে সে মুক্তি পাবে , তার কোনো ভয় থাকবে না ( ২ : ৬২ ) । আর সর্বজনীন এই গাইডেন্স হলো তাওহীদ ও আখিরাতের অনুভুতি , এবং বিবেক ও বিচারবুদ্ধি। কোনো মানুষ ইসলামের সাথে পরিচিত না হলেও সে যদি শুধু এই চারটি অনুভুতিকে যথাযথভাবে অনুসরণ করে পথ চলে , তবে সেটাই তাকে পরকালে উৎরে দেবে। এটা আল্লাহরই ওয়াদা। তাওহীদ ও আখিরাতের অনুভূতি এবং বিবেক ও বিচারবুদ্ধি – এই চারটি বিষয় যে সকল মানুষের মাঝে সর্বজনীন , সহজাত – কুরআনে সেকথার প্রমাণও বিদ্যমান। [ বিবেক [ ৭৫ : ২ ( নফসে লাওয়ামা ), ৯১ : ৮ ( তাক্বওয়া )], বিচারবুদ্ধি ( আক্বল ৮ : ২২ ), স্রষ্টার ব্যাপারে স্পিরিচুয়াল ইনস্পিরেশান ( ৪১ : ৫৩ )] কিন্তু আল্ল

বর্তমান সময়ের ইসলাম সংক্রান্ত সমস্যার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত -- ১১. পরিশিষ্ট – ১ : ধর্মতত্ত্বের কিছু মৌলিক আলোচ্য বিষয়

পরিশিষ্ট – ১ : ধর্মতত্ত্বের কিছু মৌলিক আলোচ্য বিষয় ১ . কমন গ্রাউন্ড (1st authority : universal authority : authority of reason ) ২ . Agnosticism / Skepticism ৩ . Fallacy ৪ . First cause ( স্রষ্টাতত্ত্ব / সৃষ্টিতত্ত্ব ) ৫ . স্রষ্টার অপরিহার্য গুণাবলী ৬ . ঐশী গ্রন্থের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য (2nd authority : কুরআন ) ৭ . নবী চেনার উপায় , নবীর অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য (3rd authority : সুন্নাহ ) ৮ . তাকদির / কার্যকারণবিধি ( আল্লাহ সব জানলে পৃথিবীর ভবিষ্যত সব ঘটনা পূর্বনিধারিত কিনা ) ৯ . লিখিত কুরআন ও লিখিত হাদীসের স্ট্যাটাসগত পার্থক্য ১০ . ধর্মীয় বিষয়ের authority- র পর্যায়ক্রম : ( আক্বল , কুরআন , সুন্নাহ ( মুতাওয়াতির হাদীস ), ইজমা - এ উম্মাহ ) । ১১ . সতর্কতার কর্মনীতি (rule of precaution)

বর্তমান সময়ের ইসলাম সংক্রান্ত সমস্যার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত -- ১০. প্রতিবাদ করার কি কেউ নেই?

এতসব সমস্যা দেখা ও বোঝা সত্ত্বেও অনেকে প্রতিবাদ করছেন না। যেহেতু এটা ইসলামের ব্যাপার , সেহেতু ইসলামের পতাকা বহনের সেই জ্ঞানগত যোগ্যতা ও আল্লাহ কর্তৃক আধ্যাত্মিকভাবে আদিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কারোরই উচিত না ইসলামের পতাকা বহন করা। তবে ভুল - ত্রুটি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ইসলামের জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। এতে নিজেকেও রক্ষা করা যায় , নিজের পরিবারকেও রক্ষা করা যায়। তবে আশার কথা হলো , ইন্টারনেটের যুগে বাস করছি আমরা। এখানে মানুষের প্রাইভেসি বলে আর কিছু থাকছে না। তেমনি দলীয় প্রাইভেসি বলেও আর কিছু থাকছে না। অতি সম্প্রতি দেখছি যে শিবির ত্যাগী কিছু ছেলের হাত দিয়ে ফেইসবুকে "inner dirty secrets” বের হয়ে আসছে। মানুষের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশান যত বাড়বে , ততই এটা ব্যাপকহারে ঘটতে থাকবে। তখন বিশুদ্ধ হওয়া ও নিজেদের সংস্কার করা ছাড়া উপায় থাকবে না। ইন্টারনেট হলো পরবর্তী বিপ্লবের হাতিয়ার। এর সম্ভাবনা ও আশঙ্কা , উভয়ই অনেক। যেমন : ১ . ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন দল / মতের ভুল - ভ্রান্তিগুলো জানতে পারবে। ২ . ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আবার বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণার দল / মতের প্রচার - প্রসার

বর্তমান সময়ের ইসলাম সংক্রান্ত সমস্যার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত -- ৯. সেক্যুলার গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কায়েম প্রসঙ্গে

সেক্যুলার ডেমোক্রেসির ইতিহাস খুবই নতুন , মাত্র চারশো বছরের। ওয়েস্টফালিয়া ট্রিটির মাধ্যমে ধর্ম ও রাষ্ট্রকে পৃথক করার কাজ শুরু হয়েছিলো , এবং এরপর যখন পশ্চিমারা ও ইউরোপিয়ানরা বিশ্বে আধিপত্যশীল হয়ে গেলো , তখন ইসলামপন্থীরা তাদের কাউন্টার করার জন্য তাদেরই পন্থা গ্রহণ করলো। তারাও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠন করলো , যার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদের যাবার চেষ্টা করা হলো। অথচ দ্বীন হিসেবে ইসলামের পরিপূর্ণতার উপর যারা আস্থাশীল , তারা না দ্বীনের প্রচারের জন্য দল কনসেপ্টকে গ্রহণ করবে , কারণ রাসূলুল্লাহ ( সা .) তা করেননি , আর না তারা রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েমের জন্য দলের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে , কারণ রাসূলুল্লাহ ( সা .) তা করেননি। এমনকি যদি এসব কাজে সাময়িক ভালো ফলাফল দেখা যায়ও , তবুও দ্বীন ইসলামের পরিপূর্ণতার উপর আস্থাশীল ব্যক্তি এই যুক্তিতে এসব কাজকে পরিহার করবে যে , নবী কর্তৃক বাস্তবায়িত ইসলামের কর্মপন্থা সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত , আর আল্লাহর জ্ঞানকে অতিক্রম করে নতুন কোনো কনসেপ্ট ব্যবহার করে তাঁরই ধর্ম ইসলামের কাজ করাটা বড় ধরণের ধৃষ্টতা ও বোকামি। আর সেই কাজ করতে গিয়ে প্রতিট

বর্তমান সময়ের ইসলাম সংক্রান্ত সমস্যার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত -- ৮. ইসলামী দল

ইসলামের নামে দেশে - বিদেশে বহু দল আছে। তিউনিশিয়া , মিশর , তুরস্ক , বাংলাদেশ ... । বিভিন্ন দলের কার্যক্রম , সাফল্য - ব্যর্থতা বিভিন্ন রকম। কোনো একটি দলের সাফল্য - ব্যর্থতা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত না যে দল পদ্ধতি ইসলামে বৈধ কিনা , বরং conceptual level এ দল পদ্ধতিকে বিচার - বিশ্লেষণ করা উচিত। উপরে conceptual level এ ধর্মপ্রচারে দল পদ্ধতির সমস্যা নিয়ে একটু আলোচনা করেছি। এখানে বাংলাদেশে আমাদের সুপরিচিত ও সবচেয়ে বড় ইসলামী দলটার দিকে উপরোক্ত conceptual discussion এর প্রেক্ষিতে আলোকপাত করা যেতে পারে। মওলানা মওদূদীর ( রহ .) হাত ধরে জামায়াতে ইসলামী যখন প্রতিষ্ঠা হয় , তখন তিনি যে গুটিকয়েক মানুষকে সাথে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন , তাঁদের তাক্বওয়া , জ্ঞান , নিষ্ঠা – কিছুরই কমতি ছিলো না। প্রথম যখন এই দল প্রতিষ্ঠা হলো , তখন অল্প সময়ের মাঝে ইসলামের বেশকিছু কাজ করা সম্ভব হলো। আগে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিবর্গ ইসলামের যেটুকু কাজ করতেন , এখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করায় কম সময়ে বেশি ফলাফল পাওয়া গেলো। একটা স্ট্রাকচার দাঁড় করানো হলো। বিভিন্ন পদ - পদবী তৈরী করা হলো। জেলা - থানা - শাখা ইত্যাদি ডিভিশান হলো। সময়ের সাথ