সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

খোদার জন্যেই ভালোবাসা, খোদার জন্যেই ঘৃণা করা

"... বহুকাল যাবৎ মানুষ স্বর্গের চাবিকাঠি খুঁজে আসছে। কিন্তু তারা ভুল জায়গায় সুখের সন্ধান করছে। নিশ্চিতভাবেই সুখ সেখানে নেই। সুখকে মানুষ গুপ্তধন মনে করে, আর এই মায়ার কারণেই সুখ খুঁজে পায় না। এককথায়, তারা "চাবি" বা "রহস্য" খুঁজছে। অথচ ব্যাপারটা মোটেও জটিল নয়। মূসাকে (আ.) এই রহস্য খোদা এককথায় বলে দিয়েছেন : "আমার তরেই ভালোবাসো, আমার তরেই ঘৃণা করো।" যখন বলা হয় যে, "বেলায়েত মেনে নিলেই আমল কবুল হয়", এর অর্থ হলো (ইমামের প্রতি) এই ভালোবাসা খোদার তরে। এর মানে হলো, যে কাউকে খোদা ভালোবাস েন, তুমিও তাকে ভালোবাসো। অর্থাৎ খোদার কারণে ভালোবাসা, খোদার তরেই ভালোবাসা সৃষ্টি হওয়া। বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, এমনকি তোমার নিজের অন্তরের তৃপ্তির জন্যেও নয়। শুধুই খোদার তরে ! যদি তোমার ভালোবাসার মানদণ্ড হয় খোদা, তখন এমনকি যদি কেউ মূল্য না-ও দেয়, তবুও তুমি ভালোবেসে যাও ! যদি জবাবে অকৃতজ্ঞতা পাও, তবুও তুমি সঠিক কাজটাই করে যাও ! যারা শেষ পর্যন্ত (এই সৎকাজ, ভালোবাসা) ধরে রাখতে পারে না, তাদের কাজ খোদার তরে নয় ! খোদার তরে তুমি যত কষ্ট করবে, ততই তোমার আধ্যাত্মিক মর্যাদা

ইসলাম - কুরবানির ঈদ প্রসঙ্গে

বনের পশুও নয়, মনের পশুও নয়, কুরবানি করতে হবে "মায়া"। মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আ.), যিনি আমাদেরকে "মুসলিম" নামকরণ করেছেন, তিনি আল্লাহর ইচ্ছায় নিজ সন্তান ইসমাইল (আ.)কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন -- সেই ঘটনার স্মরণের দিন আজ। সেইসাথে তাঁর শিক্ষাকে আত্মস্থ করারও সময় এটা। ইবরাহীম (আ.) কোনো গুনাহগার ব্যক্তি ছিলেন না, এবং ছিলেন না মুশরিক (কুরআন, ২:১৩৫, ১৬:১২০-১২৩)। তিনি আল্লাহর প্রেরিত একজন নবী ছিলেন, এবং তাঁর ভিতরে "পশুত্ব" বলে কোনো ব্যাপার ছিলো না। বরং নবুওয়্যাতের দাবী অনুসারে তিনি ছিলেন সর্বাবস্থায় নিষ্পাপ নিষ্কলুষ এবং উত্তম আখলাকের অধিকারী ব্যক্তি। এমন একজন নিষ্পাপ ব্যক্তি, যাঁর ভিতরে পাশবিক গুণাবলী তো ছিলোই না, বরং যিনি ছিলেন আল্লাহর নিকট পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনকারী উত্তম গুণের অধিকারী ব্যক্তি, তিনি যখন "কুরবানি" করেছিলেন (কুরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন), তখন তা মানুষের ভিতরের কোনো পশুত্বের কুরবানি ছিলো না, বরং তা ছিলো খোদায়ী এক গুণের উপর আরেক গুণের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করা: মায়াকে বিসর্জন দেয়া। দয়া, মায়া, ভালোবাসা -- ইত্যাদি খোদায়ী গুণ। একজন নবী (ইবরাহ

ইসলাম - লিখিত কুরআন ও হাদিসের স্ট্যাটাসগত পার্থক্য

অগাস্ট ১৬, ২০১৪ : একজন মুসলমান হিসেবে "আল্লাহর বাণী" ও তাঁর রাসূল "মুহাম্মাদ (সা.) এর কথা-কর্ম" -- উভয়ই আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ ও অবশ্য পালনীয়। একজন ঈমানদার মুসলমান কুরআনকে যেভাবে মানে, আল্লাহর রাসূলের কথা-কর্মকেও সেভাবেই শিরোধার্য মনে করে, জানতে চায় এ বং মানতে চায়। কিন্তু আল্লাহর বাণী ও তাঁর রাসূলের কথা-কর্ম -- উভয়ই আমরা লিখিত মাধ্যমে পাই, যা যথাক্রমে "কুরআন" ও "হাদীস"। যদিও আমাদের আল্লাহর মূল বাণী ও মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রকৃত কথা-কর্ম উভয়টা মানতে কোনো বাধা নেই, তবে এই দুটি বিষয় আমাদের কাছে যেভাবে পৌঁছিয়েছে, অর্থাৎ লিখিত আকারে, সেই লিখিত গ্রন্থদুটির স্ট্যাটাসের পার্থক্য আমাদের করতে হবে। এই কারণে যে, লিখিত আল্লাহর বাণী, অর্থাৎ কুরআনের সংরক্ষণশীলতা ও অকাট্যতা যেভাবে শতভাগ নিশ্চিত, মুহাম্মাদ (সা.) এর কথা-কর্মের লিখিত বর্ণনার সংরক্ষণশীলতা, অবিকৃত থাকা -- ইত্যাদি অনুরূপ নিশ্চিত নয়। সুতরাং, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ-নিষেধ সবই আমাদের জন্য শিরোধার্য হলেও, এই দুটিকে আমরা যেভাবে পাই, সেই লিখিত গ্রন্থদ্বয়ের মধ্যে নির্ভরশীলতার দিক থেকে স্ট্যাটাসগত প

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - ফিলিস্তিন

ফিলিস্তিন ইস্যুতে মানুষ চিনে নিন ফিলিস্তিন ইস্যু হলো প্রকৃত মানুষ চেনার কষ্টিপাথর। যারা মুখে ইসলামের বড় বড় কথা বলে কিন্তু ফিলিস্তিন ইস্যু এলে চুপ করে যায়, তাদেরকে চিনে নেবার প্রকৃত সময় এখন। আর এরাই হলো ইহুদীবাদীদের দালাল, কিংবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাহায্য-সমর্থনকারী। খুঁজে দেখুন কোথায় আজ কাতারের আশ্রয়ে থাকা ইউসুফ আল কারযাভি? যিনি ফিলিস্তিনীদের বন্ধু হিজবুল্লাহকে ‘হিজবুশ-শয়তান’ আখ্যা দিয়েছিলেন? নিপীড়িত ফিলিস্তিনী সুন্নি মুসলিমদের সর্বোচ্চ সাহায্যকারী শিয়া মুসলিমদেরকে যিনি ‘বিভ্রান্ত’ আখ্যা দিয়েছিলেন। যিনি সিরিয়ার তাকফিরি সন্ত্রাসীদের সাথে মিলে তথাকথিত "জিহাদ” ফরজ বলে ফতোয়া জারি করেছিলেন। কোথায় আজ সেই ইউসুফ আল কারযাভি? আজকের গাজায় ইসরাইলী বর্বর গণহত্যার বিপরীতে তো তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিতে গিয়ে এসব দরবারী আলেমের কণ্ঠ বুঁজে আসে? Peace TV নাম দিয়ে টিভি চ্যানেল করে ইসলাম প্রচার করে বেড়ানো বিখ্যাত জাকির নায়েক, যিনি কিনা ইয়াজিদকে ‘জান্নাতি’ বলে প্রচার করেন, তিনিইবা কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না? ইরানের বাইরে দুনিয়ার আর সব আলেমরা

ইসলাম - রমজান মাস প্রসঙ্গে

Eid is not a mere festival of new dresses, food and drinks, or visiting friends and family... It is something beyond... It is the festival of submissive souls, celebrating the success and achievements of the holy month of Ramadan. May Eid be the start of a new journey of cheerful hearts... The blessed journey towards God... ............................................................................. শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ এমন অর্জনের পিছনে জীবন-যৌবন ব্যয় করে ফেলে, যা চিরস্থায়ী নয়। মানুষকে যে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে হবে, এটা জানা থাকলেও উপলব্ধিতে আসে না। তাই অনন্ত জীবনের সঙ্গী হবে, এমন চিরস্থায়ী অর্জনের জন্য চেষ্টা করে না। অসংখ্য ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াবী অর্জনের পিছনে জীবন ব্যয় করে ফেলে। এভাবে চলতে চলতে এমন এক সময় আকস্মিকভাবে মৃত্যু উপস্থিত হয়, যখন আরো অসংখ্য ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াবী অর্জন বাকী রয়েছে। এই  অতৃপ্তি নিয়েই সে মারা যায়, এবং অনন্ত জীবনে প্রবেশ করে। মৃত্যুর সাথে সাথে চোখের সামনে সব স্পষ্ট হয়ে যায়, কিসের পিছনে সে জীবন ব্যয় করেছে, এবং তার কতটুকুইবা অনন্ত জীবনে নিয়ে আসার মত ছিলো। অথচ

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার তিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সংক্ষেপে ইসলামী আদর্শ ও আইন-কানুন, জনপ্রতিনিধিত্বশীলতা ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের পরস্পর থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা। দেশের নাম ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান’। এর সার্বভৌমত্ব আল্লাহর, এ কারণে ইসলামের অকাট্য আইন-বিধানগুলো অলঙ্ঘনীয় ও অপরিবর্তনীয়। সাধারণভাবে কোরআনে বর্ণিত আইন সমূহ এবং  রাসূলুল্লাহ্‌ (ছ্বাঃ), হযরত ফাতেমাহ্‌ ও হযরত আলী থেকে শুরু করে আহলে বাইতের বারো জন ইমামের উক্তি থেকে নিষ্পন্ন এবং শিয়া মাযহাবের কাছে গৃহীত আইনসমূহ ইরানের অলঙ্ঘনীয় ও অপরিবর্তনীয় আইন হিসেবে পরিগণিত। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (ইয়াহূদী, খৃস্টান ও যরথুস্ত্রী - যাদের পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র প্রতিনিধি আছেন) ও সুন্নী মাযহাবগুলোর জন্য ধর্মাচরণে ও সামাজিক পারিবারিক (যেমনঃ বিবাহ, তালাক্ব, উত্তরাধিকার ইত্যাদিতে) তাদের নিজ নিজ ধর্মের বা মাযহাবের আইন-বিধান কার্যকর হবে। দু’ধরনের আইনে সাংঘর্ষিকতা দেখা দিলে সাধারণভাবে শিয়া আইনকে প্রাধান্য দেয়া হয়, কিন্তু কোনো শহরে অন্য ধর্মাবলম্বীরা বা সুন্নীরা সংখ্যাগুরু হলে সেখানে তাদের আইন প্রাধান্য পায়। সর্বোচ্চ ধর্মীয়-রাজ

জালালুদ্দিন রুমি

আমি কি তোমায় বলিনি আমাকে ত্যাগ কোরো না, কারণ আমিই তোমার একমাত্র বন্ধু আমিই প্রাণের উৎস। এমনকি যদি তুমি রাগ করে হাজার বছরের জন্যও দূরে সরে যাও তবু তুমি আমার কাছেই ফিরে আসবে, কারণ আমিই তোমার লক্ষ্য, আমাতেই তোমার সমাপ্তি। আমি কি তোমায় বলিনি এই রঙিন দুনিয়ার মায়ায় জড়িও না কারণ একমাত্র আমিই মানুষের জীবন রাঙাই। আমি কি বলিনি তুমি এক মাছ, শুষ্ক ডাঙায় যেও না কারণ আমিই গভীর সমুদ্র। আমি কি বলিনি পাখির মত করে জালে আটকা পড়ো না কারণ আমিই তোমার ডানা, আলোর উৎস। আমি কি বলিনি তারা যেনো তোমার মনকে বদলে না দেয়, তোমায় বরফ করে না তোলে কারণ আমিই আগুন, আমিই উষ্ণতা। আমি কি বলিনি তারা তোমায় পথভ্রষ্ট করবে, এবং ভুলিয়ে দেবে যে আমিই সকল গুণের ঝর্ণাধারা। আমি কি তোমায় বলিনি আমার কাজকে প্রশ্ন কোরো না কারণ সবকিছু নিয়মমাফিক চলছে -- আমিই স্রষ্টা। আমি কি বলিনি তোমার হৃদয় তোমায় বাড়ি ফিরিয়ে আনবে কারণ সে জানে, আমিই তোমার প্রভু। ................................... "তুমি মনে করো তুমি বেঁচে আছো কারণ তুমি বাতাসে দম নিচ্ছো ? লজ্জা তোমার জন্য যে তুমি এত সীমিতভাবে বেঁচে আছো ! ভালোবাসাহীন থেকো

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - তথ্যযুদ্ধ

জানুয়ারি ২৩, ২০১৪ : মার্কিন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন-সহযোগীতাপুষ্ট বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসের মুখে সিরিয়া টিকে থাকবে, কিন্তু প্রাণক্ষয় হতে থাকবে যতদিন না এই সন্ত্রাসীরা শেষ হয়ে যায় কিংবা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ততদিন পর্যন্ত। ইসলামের শত্রুরা এই ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে, আর তা হলো : মুসলমানদের দিয়েই মুসলমানদের হত্যা করাতে পেরেছে। আর সরাসরি নিজেরা আক্রমণ চালানোর অপরাধ থেকেও দায়মুক্তি ঘটছে আমেরিকার। তথাকথিত "মুজাহিদীন" দিয়ে ভালো খেলাই খেলছে আমেরিকা-ইসরায়েল ! তবে আশার কথা হলো, বিভিন্ন জি হাদী গ্রুপের ব্যানারে জড়ো হওয়া প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মার্কিনী এজেন্টরা সংখ্যায় খুবই কম, এবং তাদের কোনো জ্ঞানভিত্তিক দৃঢ় শেকড় নেই। বিভ্রান্ত এই সন্ত্রাসীরা ইসলামের মূলতত্ত্ব ও হুকুম-আহকামের ক্ষেত্রে এক অথৈ সাগরে অবলম্বনহীনভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে। সুতরাং আগাছার মত শীঘ্রই তাদের মূলোৎপাটন ঘটবে। এজন্যে ইনফরমেশান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এবং করছেও। এ আরেক প্রকার যুদ্ধ। দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ এই যুদ্ধে লিপ্ত : the war of information - তথ্যের যুদ্ধ। সঠিক তথ্য উপযুক্ত পন্থায় উপযুক্ত স্থানে

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিরিয়া

নভেম্বর ৮, ২০১৩ : বুঝলাম না,  বাশার আল আসাদ নাকি তার জনগণের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। কেউ কি পরিষ্কার করে বলবেন নিজের জনগণের উপর তার গণহত্যা চালানোর কী কারণ থাকতে পারে ? কোথাও তো এই গণহত্যার ভিডিও, ছবি ইত্যাদি দেখি না। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যেমনটা প্রত্য ক্ষ করেছি, অন্তত সেটুকুও না। ইন্টারনেটে অসংখ্য ভিডিও দেখেছি মানুষের মিছিলে গুলি করার, গায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যা করার, AK-47 হাতে মিছিলে গুলি চালানোর এবং রাতের অন্ধকারে লাইট নিভিয়ে লাখো মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার, যখন টিভি চ্যানেলগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। আসাদ গণহত্যা চালাচ্ছে বলে যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়, তাতে অন্ততঃ বাংলাদেশের পরিস্থিতির একশগুণ বেশি না হলেও দশগুন বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু কই, তেমন কোনো ভিডিও বা ছবি তো দেখি না। কেউ আবার ইরাক যুদ্ধে নিহত সারি সারি শিশুর লাশের ছবি এনে দেখাবেন না, কারণ ঐটাকে (প্রথম আলোর গুরু) বিবিসি আসাদের গণহত্যার চিত্র বলে চালিয়ে দিয়েছিলো, পরে ফোটোগ্রাফার সেটা ক্লেইম করার পরে ছবি সরিয়ে নিয়েছিলো। সিরিয়া ইস্যু মোটামুটি স্তিমিত হয়ে এসেছে। কিন্তু বেআক্কেল RTNN এর অসাংবাদিকসুলভ এক আর্টিকেল পড়ে

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা : ইসলামসম্মত তথ্য-প্রমাণ ?

সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩ : খবরের সত্যাসত্য যাচাই করে নেওয়া  মুসলমানদের দায়িত্ব। সিরিয়া বিষয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার তৈরী করা নিউজের উপর ভিত্তি করে যেসব ইসলামপন্থী (!) অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট (!) লেখালেখি করেছেন আসাদের বিরুদ্ধে, তাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। মানুষের মাঝে ভ্রান্তি ছড়ানো অত্যন্ত গর্হিত কাজ। "মুমিনগণ ! যদি কোনো পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোনো  সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।" (সূরা আল-হুজুরাত, ৪৯:৬) "সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক হামলার পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও পশ্চিমা মিডিয়ার সরবরাহ করা লাশের ভুয়া ছবিগুলো ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছিলেন কতিপয় ইসলামপন্থী(!) অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। তখন আমিসহ অনেকেই বলেছিলাম- মিশরের পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘুরানোর জন্যই এই নাটক সাজানো হয়েছে। কিন্তু কথিত ইসলামপন্থীদের কাছে এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হচ্ছিল না। তারা পাশ্চাত্যের মিডিয়ার মিথ্যাচারকে কুরআনের বাণীর মত বিশ্বাস করে যাচ্ছিল। কিন্তু এরপর

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিরিয়া এবং তথাকথিত মুজাহিদীন গ্রুপ

সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৩ : অবশেষে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হ্যাগেলের কথায় প্রকাশ পেলো যে সিরিয়া আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য আর কিছু নয়, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের শক্তিকে দুর্বল করা। অনেকেই ইরানকে আমেরিকার গোপন বন্ধু, কিংবা সৌদি আরবের মত অপরাপর মুনাফিক শাসিত আরব রাষ্ট্রের কাতারে ফেলে থাকেন। সাম্প্রতিককালে ফেইসবুকে "হঠাৎ জেগে ওঠা" এক ঝাঁক ইসলামপন্থী লেখকের বেশিরভাগের কথাবার্তা-ই এমন দেখছি। মুসলমানদের দ্বারাই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়া  বা করানোর কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই গত ২৯ অগাস্ট একটি নোট লিখেছিলাম মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে। সেখানে লিখেছিলাম যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেদ করার জন্যই সিরিয়ায় আক্রমণের তোড়জোড় চলছে। ঐ একই উদ্দেশ্য নিয়েই ইরানের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় হয় হামলা, নয়তো তাঁবেদার সরকার নিশ্চিত করেছে আমেরিকা। (যদিও লেখার কারণে ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়েছি, তবুও) সন্তুষ্টি এই যে হয়তো কিছু মানুষকে সত্য জানাতে পেরেছি। দুঃখজনকভাবে, এমনকি একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে এটা শেয়ার করতে দেখেছি যে : "যদিও এটা সত্য যে আমেরিকা রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগসহ বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে ও সমর্

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - সিলেক্টিভ জিহাদ

সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৩ : ইসরাঈল প্রতিষ্ঠার ঘটনা। চিন্তার ব্যাপার হলো, বহু বছর ধরে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের সাহায্য না করে অনেকেই সিরিয়ায় বিপ্লব করে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর। কী করে তারা মুসলিম বিশ্বের প্রধান এই সমস্যাকে এড়িয়ে যায় ? কী করে ইরাক থেকে আল কায়েদা র শাখা আন-নূসরা সিরিয়ার জনগণকে "মুক্ত" করতে যায়, যেখানে ফিলিস্তিনের বন্দী জনগণ বছরের পর বছর ধরে ফরিয়াদ করছে ! কী করে সচেতন মুসলমানেরা এদেরকে সমর্থন দেয় ! এই "সিলেক্টিভ জিহাদ" তবে কাদের স্বার্থে ! "আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছো না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা ! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান করো; এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী ! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষাবলম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।" (সূরা আন নিসা, ৪-৭৫)

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - মিশর

নভেম্বর ২০, ২০১৩ : আর্মি ক্ষমতা দখল  করে মোবারকের পতন ঘটিয়েছিলো। আর্মি ক্ষমতা দখল করে ড. মুরসির পতন ঘটিয়েছে। জনগণ তো ক্ষমতা  থেকে মোবারককে নামায়নি ! জনগণ তো ড. মুরসির ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি ! তাহরির স্কয়ার কি প্রকৃতই বিপ্লব ছিলো ? তাহরির স্কয়ার কি ইসলামী বিপ্লব ছিলো ‍! জুলাই ১১, ২০১৩ : একটি বিষয় সুস্পষ্ট : পাশ্চাত্যের প্রবর্তিত গণতন্ত্র, বিচারব্যবস্থা ও আর্মি সিস্টেম -- এগুলোকে এক ধাক্কায় উল্টে না দিলে বর্তমান বিশ্বে বিপ্লব করে বিজয়কে স্থায়ী করা যাবে না। কারণ তাদের প্রবর্তিত গণতন্ত্র, বিচারব্যবস্থা ও আর্মি -- পরস্পর পরস্প রের অপকর্মের সঙ্গী, এবং পাশ্চাত্য খুব ভালো করেই জানে, এগুলোর কোন্ কোন্ ফাঁকফোঁকর কখন কিভাবে ব্যবহার করে যেকোনো প্রতিষ্ঠিত সরকারকে উল্টে দেয়া যায়। সুতরাং আসতে হবে সিংহভাগ জনসমর্থন নিয়ে, ক্ষমতার দখল পাওয়ামাত্র তাদের প্রবর্তিত তথাকথিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ছুঁড়ে ফেলে আলেম-ওলামাদের দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে, সেইসাথে আদালত ও আর্মিকেও বাতিল করে দিয়ে বিশ্বস্ত ও বিজ্ঞ ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ইসলামি আদালত বসাতে হবে, এবং গোড়া থেকে নত

ইসলাম - নীতিনির্ধারণী বিষয়সমূহ হতে মেধাবী ছাত্রদের দূরে সরিয়ে রাখা প্রসঙ্গে

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৩ : দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি পড়াশুনাকে সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয়। কিংবা নিরুৎসাহিত করা না হলেও, এর বিপরীতে ডাক্তার, এঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট-অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়াকে এত বেশি উৎসাহিত করা হয় যে স্বাভাবিকভাবেই ঐ ক্ষেত্রগুলোতে মানুষের সংখ্যা কমে আসে। স্কুল লেভেল থেকেই ব্রিলিয়ান্ট ছেলে-মেয়েদেরকে "সায়েন্স" গ্রুপে নেয়া হয়, আর অপেক্ষাকৃত কত মেধাবী ছেলে-মেয়েদের জন্য পড়ে থা কে ঐ বিষয়গুলো। এভাবে টপ ব্রিলিয়ান্ট ছেলে-মেয়েদেরকে ডাক্তার-এঞ্জিনিয়ার-অ্যাকাউন্ট্ যান্ট-আর্কিটেক্ট এর মত সভ্যতার যন্ত্রপাতি হিসেবে গড়ে তোলা হয়; আর বিপরীতে সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রণ গুটিকয়েক মানুষের হাতে রেখে দেওয়া হয়। এভাবে আমাদের হাতে তৈরী হওয়া আধুনিক সভ্যতার মাঝে বর্বর-অসভ্য-অনিসলামী সংস্কৃতিকে ধরে রাখা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা ধারণ করি আমরাই। যদি গোড়া থেকেই এসব ব্রিলিয়ান্ট ছেলেমেয়েরা দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি নিয়ে পড়াশুনা করতো ও চিন্তা করতো, তবে বিশ্বব্যাপী এই অসভ্য-বর্বর নিপীড়নমূলক সংস্কৃতির মূলোৎপাটন ঘটে এতদিনে ইসলামী সংস্কৃতি

ইসলাম - সাহাবীগণের অন্ধ অনুসরণ কাম্য নয়

নভেম্বর ৫, ২০১৩ : সাম্প্রতিক সময়ে শিয়া-সুন্নি ইস্যুতে ফেইসবুকে ও অফলাইনে বেশ কয়েকটি বিষয়ের সম্মুখীন হয়েছি। না, ভাববেন না যে আমি এখানে শিয়া-সুন্নি বিরোধের কোন বিষয়ের সমাধান দিতে এসেছি। প্রচলিত শিয়া-সুন্নি বিরোধের কিছু বিষয় থেকে শুরু করে কিছু তাত্ত্বিক কথা বলবো বড়জোর। যাহোক, বিষয়টা হলো : নোমান আলী খান মুয়াবিয়া নামটির সাথে "রাদিয়াল্লাহু আনহু" বলেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ যার উপর রাজি। যেটাকে আমরা সংক্ষেপে লিখি : রাঃ। ডা. জাকির  নায়েক আবার এককাঠি বেড়ে মুয়াবিয়া পুত্র ইয়াজিদের নামের সাথে peace be upon him ("আলাইহিসসালাম" -- তাঁর উপরে সালাম, সংক্ষেপে আঃ) বলেছেন। বিপরীতে, শিয়ারা উভয়কেই অপছন্দ করে থাকে, ইয়াজিদের নাম উচ্চারণের সাথে সাথে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ কামনা করে, মুয়াবিয়ার ব্যাপারেও কমবেশি অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গিই পোষণ করে। মুয়াবিয়া নবীজি (সা.) সাহাবী ছিলেন। সাধারণভাবে সুন্নিদের বক্তব্য হলো, সাহাবীগণের নামের সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহু বা এজাতীয় কথা বলা বাধ্যতামূলক। ওদিকে শিয়ারা আবার দিচ্ছে লানত। এই নিয়ে কথা। আমি এই পোস্ট লিখতাম না, কিন্তু আজ সকালে ইনবক্সে একটি মেসেজ পেলাম, এবং পরবর