সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আন্তর্জাতিক রাজনীতি - তথ্যযুদ্ধ

জানুয়ারি ২৩, ২০১৪ :


মার্কিন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন-সহযোগীতাপুষ্ট বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসের মুখে সিরিয়া টিকে থাকবে, কিন্তু প্রাণক্ষয় হতে থাকবে যতদিন না এই সন্ত্রাসীরা শেষ হয়ে যায় কিংবা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ততদিন পর্যন্ত। ইসলামের শত্রুরা এই ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে, আর তা হলো : মুসলমানদের দিয়েই মুসলমানদের হত্যা করাতে পেরেছে। আর সরাসরি নিজেরা আক্রমণ চালানোর অপরাধ থেকেও দায়মুক্তি ঘটছে আমেরিকার।

তথাকথিত "মুজাহিদীন" দিয়ে ভালো খেলাই খেলছে আমেরিকা-ইসরায়েল !
তবে আশার কথা হলো, বিভিন্ন জিহাদী গ্রুপের ব্যানারে জড়ো হওয়া প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মার্কিনী এজেন্টরা সংখ্যায় খুবই কম, এবং তাদের কোনো জ্ঞানভিত্তিক দৃঢ় শেকড় নেই। বিভ্রান্ত এই সন্ত্রাসীরা ইসলামের মূলতত্ত্ব ও হুকুম-আহকামের ক্ষেত্রে এক অথৈ সাগরে অবলম্বনহীনভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে। সুতরাং আগাছার মত শীঘ্রই তাদের মূলোৎপাটন ঘটবে। এজন্যে ইনফরমেশান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এবং করছেও।

এ আরেক প্রকার যুদ্ধ। দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ এই যুদ্ধে লিপ্ত : the war of information - তথ্যের যুদ্ধ।
সঠিক তথ্য উপযুক্ত পন্থায় উপযুক্ত স্থানে তুলে ধরলে মার্কিনীদের এই "মুহাহিদীন" অস্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে ইন-শা-আল্লাহ।

ইনফরমেশান হাইওয়েতে উঠে পড়েছে সবাই। ইনফরমেশানের যুগে পরিবর্তনগুলো খুব দ্রুত হয়। এটা কম মানুষই এখন প্রেডিক্ট করতে পারছেন। আগামী কয়েক দশকও নয়, আগামী এক দশকের মাঝেই বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার ভারসাম্যে ও ইসলাম প্রশ্নে ব্যাপক ও আকস্মিক সব পরিবর্তন আশা করতে পারেন। আর সে পরিবর্তনের প্রধান হাতিয়ার হবে তথ্য - information.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ