দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি পড়াশুনাকে সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয়। কিংবা নিরুৎসাহিত করা না হলেও, এর বিপরীতে ডাক্তার, এঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট-অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়াকে এত বেশি উৎসাহিত করা হয় যে স্বাভাবিকভাবেই ঐ ক্ষেত্রগুলোতে মানুষের সংখ্যা কমে আসে। স্কুল লেভেল থেকেই ব্রিলিয়ান্ট ছেলে-মেয়েদেরকে "সায়েন্স" গ্রুপে নেয়া হয়, আর অপেক্ষাকৃত কত মেধাবী ছেলে-মেয়েদের জন্য পড়ে থাকে ঐ বিষয়গুলো। এভাবে টপ ব্রিলিয়ান্ট ছেলে-মেয়েদেরকে ডাক্তার-এঞ্জিনিয়ার-অ্যাকাউন্ট্ যান্ট-আর্কিটেক্ট এর মত সভ্যতার যন্ত্রপাতি হিসেবে গড়ে তোলা হয়; আর বিপরীতে সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রণ গুটিকয়েক মানুষের হাতে রেখে দেওয়া হয়।
এভাবে আমাদের হাতে তৈরী হওয়া আধুনিক সভ্যতার মাঝে বর্বর-অসভ্য-অনিসলামী সংস্কৃতিকে ধরে রাখা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা ধারণ করি আমরাই।
যদি গোড়া থেকেই এসব ব্রিলিয়ান্ট ছেলেমেয়েরা দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি নিয়ে পড়াশুনা করতো ও চিন্তা করতো, তবে বিশ্বব্যাপী এই অসভ্য-বর্বর নিপীড়নমূলক সংস্কৃতির মূলোৎপাটন ঘটে এতদিনে ইসলামী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হতো।
সাম্রাজ্যবাদীরা তা চায় না। সুতরাং যত বেশি মানুষকে সভ্যতার টুলস হিসেবে ধরে রাখা যায়, ততই ভালো। আর সেই ফাঁকে আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি, জীবন-দর্শন – এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে তারা।
এটা বহু বছরের পুরনো ষড়যন্ত্র। আমরা অনেকেই না বুঝে এর শিকার। এবং এখন আমরা সাম্রাজ্যবাদীদের যন্ত্রপাতি হিসেবে ব্যবহৃত হতে এতটাই রাজি যে দর্শন-ইতিহাস-সমাজবিজ্ঞান-ধর্মত ত্ত্ব-অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে ইচ্ছুক নই। আমরা কেবল তাদের নীতিবিবর্জিত বর্বর অর্থনীতি, সমাজনীতি এবং সর্বোপরি অসভ্য সংস্কৃতির মাঝে ডাক্তার-এঞ্জিনিয়ার-অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়ে দু-পয়সা উপার্জন করে পেটপুজো করতে চাই। কেবল মানসিক দাসত্ব নয়, বরং একে বলা উচিত নিজ অস্তিত্ব বিকিয়ে দিয়ে নির্বুদ্ধি যন্ত্রে পরিণত হওয়া, পশুর কাতারে নেমে যাওয়া।
আশার কথা হলো, এই সমস্ত ষড়যন্ত্র বিফলে যেতে পারে কেবল শক্তিশালী একটি বাক্যে – হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার সেই গল্পের মত তখন সব মানুষ ছুটে আসবে সত্যের দিকে।
(১) যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
(২) এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
(৩) তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
[সূরা ১১০ – নসর, আল কুরআন]
এভাবে আমাদের হাতে তৈরী হওয়া আধুনিক সভ্যতার মাঝে বর্বর-অসভ্য-অনিসলামী সংস্কৃতিকে ধরে রাখা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা ধারণ করি আমরাই।
যদি গোড়া থেকেই এসব ব্রিলিয়ান্ট ছেলেমেয়েরা দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদি নিয়ে পড়াশুনা করতো ও চিন্তা করতো, তবে বিশ্বব্যাপী এই অসভ্য-বর্বর নিপীড়নমূলক সংস্কৃতির মূলোৎপাটন ঘটে এতদিনে ইসলামী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হতো।
সাম্রাজ্যবাদীরা তা চায় না। সুতরাং যত বেশি মানুষকে সভ্যতার টুলস হিসেবে ধরে রাখা যায়, ততই ভালো। আর সেই ফাঁকে আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি, জীবন-দর্শন – এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে তারা।
এটা বহু বছরের পুরনো ষড়যন্ত্র। আমরা অনেকেই না বুঝে এর শিকার। এবং এখন আমরা সাম্রাজ্যবাদীদের যন্ত্রপাতি হিসেবে ব্যবহৃত হতে এতটাই রাজি যে দর্শন-ইতিহাস-সমাজবিজ্ঞান-ধর্মত
আশার কথা হলো, এই সমস্ত ষড়যন্ত্র বিফলে যেতে পারে কেবল শক্তিশালী একটি বাক্যে – হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার সেই গল্পের মত তখন সব মানুষ ছুটে আসবে সত্যের দিকে।
(১) যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
(২) এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
(৩) তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
[সূরা ১১০ – নসর, আল কুরআন]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন