নভেম্বর ২১, ২০১৩ :
নৈতিক ভিত্তি না থাকলে রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিকেরা কী করে দেখুন !
ড. ইউনুসকে শেখ হাসিনা সুদখোর মহাজন বলে অভিহিত করেছিলো। কথাটি একশতভাগ খাঁটি সত্য। ড. ইউনুস একজন সুদখোর রক্তচোষা মহাজন। কিন্তু যেহেতু আওয়ামী লীগ এই গরীবের রক্তচোষা মহাজনের বিরুদ্ধে লেগেছে, সুতরাং বিএনপি তার পক্ষে কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। অথচ এমন না যে ইউনুস এখন ভালো মানুষ হয়ে গিয়েছে ! He was a সুদখোর মহাজন before, and he still is a সুদখোর মহাজন।
আওয়ামী লীগের বিপরীতে কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিত্ব কি আছে, যে শেখ হাসিনার এই কথাটিকে সমর্থন করে বলেছে, কিংবা আলাদাভাবে হলেও এই সময়ে বলেছে যে ইউনুস এক সুদখোর মহাজন ? বলেনি। বলবেনা। রাজনীতি করতে গিয়ে সত্যকে গোপন করছে এরা।
বিএনপি বর্তমানে ভর করে আছে জামাতের উপর। জামাত-শিবির জোট ছাড়ার দিনই ১৮ দলীয় জোট যাবে অচল হয়ে। কারণ বিএনপি + জামাত + ১৬টা শূন্য = ১৮ দলীয় জোট। অথচ এই জামাত কিন্তু তত্ত্বাবধায়কের আন্দোলন করেছিলো এই বিএনপির-ই বিরুদ্ধে ! এবং করেছিলো আওয়ামী লীগের সাথে একত্রে ! আর এখন সেই জামাতের সাথেই বিএনপি করেছে জোট ! তখন কিন্তু বিএনপি এই তত্ত্বাবধায়কের দাবীকে অবৈধ, অসাংবিধানিক ইত্যাদি বলেছে। এখন কিন্তু আবার নিজেরাই সেটার জন্য আন্দোলন করছে ! তখন তত্ত্বাবধায়কের দাবী অবৈধ ছিলো কারণ তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা ছিলো। এখন তত্ত্বাবধায়কের দাবীতে আন্দোলন করছে কারণ ক্ষমতায় যেতে হলে তত্ত্বাবধায়ক লাগবে। নীতি বলে এদের কিছু নেই। যখন যা দরকার, তখন সেটার পক্ষে গলাবাজি।
আওয়ামী লীগ যেই তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে আন্দোলন করেছে একসময়, এখন সেটাকেই অসাংবিধানিক বলে তার বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে। তাহলে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঢুকানোর সময় নীতি কই ছিলো ? ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার হয়েছে, তাই জামাতের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর প্রয়োগ করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ঢুকিয়েছে। আবার এখন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হলে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করা দরকার। সুতরাং বাতিল করে দিয়ে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। আবার ভবিষ্যতে দরকার হলে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষেই আন্দোলন করবে আওয়ামী লীগ।
এই জামাতের সাথে একত্রে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। তখন কিন্তু জামাত "যুদ্ধাপরাধী" ছিলো না। হঠাৎ করে এখন জামাত হয়ে উঠেছে যুদ্ধাপরাধী। আজকেই যদি জামাত তার শরীক বিএনপিকে পঙ্গু করে দিয়ে জোট ছেড়ে লীগের অধীনে নির্বাচনে যোগ দেয়, তাহলে পরদিনই সব মামলায় সব নেতাকর্মী খালাস হয়ে যাবে। নৈতিক ভিত্তি নেই যে !
জামায়াতে ইসলামী একবার আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলন করেছে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে। আওয়ামী লীগের সাথে বসে একত্রে বৈঠক করেছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অসাবংবিধানিক দাবীতে রাস্তায় ভাংচুর-আন্দোলন চালিয়েছে। তখন কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনো খারাপ দল ছিলো না। এক্কেবারে সাচ্চা মুসলমান ছিলো। আবার এখন সেই আওয়ামী লীগই হয়ে উঠেছে ইসলাম বিরোধী শক্তি, জুলুম-নির্যাতনের প্রতিমূর্তি। কারণ আওয়ামী লীগ এখন জামাত-শিবিরের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। অথচ এই নির্যাতন যদি জামাতকে স্পর্শ না করে শুধু বিএনপির উপর দিয়ে যেতো, জামাতের "ইসলামী আন্দোলনের" শহীদি তামান্না কই থাকতো ! ঘরে বসে বসে আরাম করতো তারা। যখন মইন-ফখরু অবৈধ সরকার আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে ভাঙার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলো, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অকারণ নির্যাতন করছিলো, তারেক রহমানকে অবর্ণনীয় নির্যাতন করে পঙ্গু করে দিলো এবং নির্যাতন করলো আরো অনেককে, তখন জামাত-শিবিরের রাজপথ কই ছিলো ? কারণ নিজেদের গায়ে লাগেনি তো, সুতরাং অন্যেরা অন্যায়ভাবে নির্যাতনের শিকার হোক বা না হোক -- আমি বাঁচলেই হলো ! আর আমার গায়ে লাগলেই কেবল আমি "ইসলামী আন্দোলন" করবো, শহীদি তামান্না জেগে উঠবে, কিন্তু অন্য কেউ অন্যায় নির্যাতনের শিকার হলে আমার ইসলামী চেতনাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখবো। নৈতিক ভিত্তি না থাকলে যা হয় আরকি। নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত দল হলে একবার আওয়ামী লীগ, একবার বিএনপি - এমন করে করে বারবার স্বামী বদল করতে হতো না, আর নৈতিক ভিত্তি থাকলে রাজপথের আন্দোলন কেবল নিজেদের নেতাকর্মীদের জন্য হতো না, বরং দেশের যেকোনো নির্যাতিত মানুষের জন্যই হতো।
হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের দুইটি বড় শোডাউন (লংমার্চ ও অবরোধ) -- দুটিতেই ব্যাপক সাহায্য-সহযোগীতা-সমর্থন দিয়েছে জামাত শিবির। তদের লোকবলকে নিয়োজিত করেছে। কিন্তু এই হেফাজতের নেতারা কি কোনোদিন, আগে না হোক, এর পরেও কি জামাতের মজলুম নেতাকর্মীদের পক্ষে কথা বলেছে ? কেবল ঈমান-আক্বীদার ১৩ দফা দাবীতে আন্দোলন করলেই হবে, আর চারিদিকের অন্যায় জুলুম-নির্যাতনের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে ? এই হেফাজতের যে ব্যাপক জনসমর্থন, ন্যায়ের পথে থেকে এই সত্য ডাকটি কি দেয়া যেতো না যে : "যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যাদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে, ফাঁসির হুকুম দেয়া হচ্ছে, এরা নিরপরাধ, এদের পক্ষে কথা বলুন, এদেরকে রক্ষা করতে জামাত-শিবিরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন.." ??
না, সে ঘোষণা হেফাজত দেবে না।
নিজের বেলায় নীতি-নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা দেখায় সবাই। অন্যের ব্যাপারে চোখ বুঁজে থাকে। আর এদের নীতি বদলায় দুইদিন পরপর। আল্লাহ কেনো এদেরকে সাহায্য করবেন ? আল্লাহ এদের এককে দ্বারা অপরকে লাঞ্ছিত করবেন।
নৈতিক ভিত্তি না থাকলে রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিকেরা কী করে দেখুন !
ড. ইউনুসকে শেখ হাসিনা সুদখোর মহাজন বলে অভিহিত করেছিলো। কথাটি একশতভাগ খাঁটি সত্য। ড. ইউনুস একজন সুদখোর রক্তচোষা মহাজন। কিন্তু যেহেতু আওয়ামী লীগ এই গরীবের রক্তচোষা মহাজনের বিরুদ্ধে লেগেছে, সুতরাং বিএনপি তার পক্ষে কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। অথচ এমন না যে ইউনুস এখন ভালো মানুষ হয়ে গিয়েছে ! He was a সুদখোর মহাজন before, and he still is a সুদখোর মহাজন।
আওয়ামী লীগের বিপরীতে কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিত্ব কি আছে, যে শেখ হাসিনার এই কথাটিকে সমর্থন করে বলেছে, কিংবা আলাদাভাবে হলেও এই সময়ে বলেছে যে ইউনুস এক সুদখোর মহাজন ? বলেনি। বলবেনা। রাজনীতি করতে গিয়ে সত্যকে গোপন করছে এরা।
বিএনপি বর্তমানে ভর করে আছে জামাতের উপর। জামাত-শিবির জোট ছাড়ার দিনই ১৮ দলীয় জোট যাবে অচল হয়ে। কারণ বিএনপি + জামাত + ১৬টা শূন্য = ১৮ দলীয় জোট। অথচ এই জামাত কিন্তু তত্ত্বাবধায়কের আন্দোলন করেছিলো এই বিএনপির-ই বিরুদ্ধে ! এবং করেছিলো আওয়ামী লীগের সাথে একত্রে ! আর এখন সেই জামাতের সাথেই বিএনপি করেছে জোট ! তখন কিন্তু বিএনপি এই তত্ত্বাবধায়কের দাবীকে অবৈধ, অসাংবিধানিক ইত্যাদি বলেছে। এখন কিন্তু আবার নিজেরাই সেটার জন্য আন্দোলন করছে ! তখন তত্ত্বাবধায়কের দাবী অবৈধ ছিলো কারণ তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা ছিলো। এখন তত্ত্বাবধায়কের দাবীতে আন্দোলন করছে কারণ ক্ষমতায় যেতে হলে তত্ত্বাবধায়ক লাগবে। নীতি বলে এদের কিছু নেই। যখন যা দরকার, তখন সেটার পক্ষে গলাবাজি।
আওয়ামী লীগ যেই তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে আন্দোলন করেছে একসময়, এখন সেটাকেই অসাংবিধানিক বলে তার বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে। তাহলে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঢুকানোর সময় নীতি কই ছিলো ? ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার হয়েছে, তাই জামাতের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর প্রয়োগ করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ঢুকিয়েছে। আবার এখন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হলে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করা দরকার। সুতরাং বাতিল করে দিয়ে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। আবার ভবিষ্যতে দরকার হলে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষেই আন্দোলন করবে আওয়ামী লীগ।
এই জামাতের সাথে একত্রে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। তখন কিন্তু জামাত "যুদ্ধাপরাধী" ছিলো না। হঠাৎ করে এখন জামাত হয়ে উঠেছে যুদ্ধাপরাধী। আজকেই যদি জামাত তার শরীক বিএনপিকে পঙ্গু করে দিয়ে জোট ছেড়ে লীগের অধীনে নির্বাচনে যোগ দেয়, তাহলে পরদিনই সব মামলায় সব নেতাকর্মী খালাস হয়ে যাবে। নৈতিক ভিত্তি নেই যে !
জামায়াতে ইসলামী একবার আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলন করেছে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে। আওয়ামী লীগের সাথে বসে একত্রে বৈঠক করেছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অসাবংবিধানিক দাবীতে রাস্তায় ভাংচুর-আন্দোলন চালিয়েছে। তখন কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনো খারাপ দল ছিলো না। এক্কেবারে সাচ্চা মুসলমান ছিলো। আবার এখন সেই আওয়ামী লীগই হয়ে উঠেছে ইসলাম বিরোধী শক্তি, জুলুম-নির্যাতনের প্রতিমূর্তি। কারণ আওয়ামী লীগ এখন জামাত-শিবিরের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। অথচ এই নির্যাতন যদি জামাতকে স্পর্শ না করে শুধু বিএনপির উপর দিয়ে যেতো, জামাতের "ইসলামী আন্দোলনের" শহীদি তামান্না কই থাকতো ! ঘরে বসে বসে আরাম করতো তারা। যখন মইন-ফখরু অবৈধ সরকার আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে ভাঙার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলো, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অকারণ নির্যাতন করছিলো, তারেক রহমানকে অবর্ণনীয় নির্যাতন করে পঙ্গু করে দিলো এবং নির্যাতন করলো আরো অনেককে, তখন জামাত-শিবিরের রাজপথ কই ছিলো ? কারণ নিজেদের গায়ে লাগেনি তো, সুতরাং অন্যেরা অন্যায়ভাবে নির্যাতনের শিকার হোক বা না হোক -- আমি বাঁচলেই হলো ! আর আমার গায়ে লাগলেই কেবল আমি "ইসলামী আন্দোলন" করবো, শহীদি তামান্না জেগে উঠবে, কিন্তু অন্য কেউ অন্যায় নির্যাতনের শিকার হলে আমার ইসলামী চেতনাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখবো। নৈতিক ভিত্তি না থাকলে যা হয় আরকি। নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত দল হলে একবার আওয়ামী লীগ, একবার বিএনপি - এমন করে করে বারবার স্বামী বদল করতে হতো না, আর নৈতিক ভিত্তি থাকলে রাজপথের আন্দোলন কেবল নিজেদের নেতাকর্মীদের জন্য হতো না, বরং দেশের যেকোনো নির্যাতিত মানুষের জন্যই হতো।
হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের দুইটি বড় শোডাউন (লংমার্চ ও অবরোধ) -- দুটিতেই ব্যাপক সাহায্য-সহযোগীতা-সমর্থন দিয়েছে জামাত শিবির। তদের লোকবলকে নিয়োজিত করেছে। কিন্তু এই হেফাজতের নেতারা কি কোনোদিন, আগে না হোক, এর পরেও কি জামাতের মজলুম নেতাকর্মীদের পক্ষে কথা বলেছে ? কেবল ঈমান-আক্বীদার ১৩ দফা দাবীতে আন্দোলন করলেই হবে, আর চারিদিকের অন্যায় জুলুম-নির্যাতনের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে ? এই হেফাজতের যে ব্যাপক জনসমর্থন, ন্যায়ের পথে থেকে এই সত্য ডাকটি কি দেয়া যেতো না যে : "যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যাদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে, ফাঁসির হুকুম দেয়া হচ্ছে, এরা নিরপরাধ, এদের পক্ষে কথা বলুন, এদেরকে রক্ষা করতে জামাত-শিবিরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন.." ??
না, সে ঘোষণা হেফাজত দেবে না।
নিজের বেলায় নীতি-নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা দেখায় সবাই। অন্যের ব্যাপারে চোখ বুঁজে থাকে। আর এদের নীতি বদলায় দুইদিন পরপর। আল্লাহ কেনো এদেরকে সাহায্য করবেন ? আল্লাহ এদের এককে দ্বারা অপরকে লাঞ্ছিত করবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন