সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশের রাজনীতি - বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল

অক্টোবর ৪, ২০১৩ :
খবর : সাকা চৌধুরির রায় একদিন আগে অনলাইনে প্রকাশ।
ট্রাইব্যুনাল বিরোধী : ইয়েস ! এবার প্রমাণ হয়ে গেলো ট্রাইব্যুনালের রায় জিয়াউদ্দিনের লেখা !
শাহবাগী (ফাঁসি চাই প্রেতসাধক) : ছাগুরা ধরা খেয়ে গেলো। আইন মন্ত্রণালয় ম্যাকবুক ব্যবহার শুরু করলো কবে থেকে ? টোটাল এডিটিং টাইম এত হাজার মিনিট, অনেক সময় নিসে ছাগুরা এটা বানাতে। ফাইল তৈরী হইসে রাত বারোটা এক মিনিটে, এত রাতে মন্ত্রণালয় খোলা থাকে ? ব্লা ব্লা ব্লা...।

ফলো-আপ খবর : রায়ের খসড়া কিছু কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে ফাঁস হয়েছে, স্বীকার করলেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার। শাহবাগ থানায় এ সংক্রান্ত জিডি দায়ের। ট্রাইব্যুনাল থেকে কম্পিউটার, সিসি ফুটেজ, পেনড্রাইভ জব্দ।
প্রশ্ন : ট্রাইব্যুনাল স্বীকার করে নিয়েছে যে অনলাইনে লিক হওয়া ডকুমেন্টটি-ই আসল রায়; এদিকে প্রথমে শাহবাগীরা বললো ফাঁস হওয়া রায় "ছাগুদের" তৈরী, এখন শাহবাগীরা কী বলবে ?

খবর : স্কাইপ কনভার্সেশান ফাঁস।
ট্রাইব্যুনাল বিরোধী : সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ট্রাইব্যুনালে সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে।
ফাঁসি চাই প্রেতসাধক : এগুলো বানোয়াট, মিথ্যা কথা।

ফলো-আপ খবর : ইকোনমিস্টকে তাঁদের কথোপকথন ফাঁস করার দায়ে শো-কজ করলেন বিচারপতি নাসিম।
প্রশ্ন : মামলা করার মাধ্যমে বিচারপতি নাসিম-ই স্বীকার করে নিলেন যে ফাঁস হওয়া স্কাইপ কথোপকথন তাঁরই। এখন চেতনাধারীরা কী বলবে ?

খবর : নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষী শামসুল হক নান্নুর গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফাঁস, অকপটে ট্রাইব্যুনালের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার।
ট্রাইব্যুনাল বিরোধী : ইয়েস ! ভিডিওর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে ? এবার ট্রাইব্যুনাল পুরা ধরা খেয়েছে।
শাহবাগী : ছাগুরা কাকে না কাকে ধরে নিয়ে অ্যাডভোকেট নান্নু সাজাইলো, ছাগুরা তো আসলেই ছাগু।

ফলো-আপ খবর : নকল চুল আর গোঁফ লাগিয়ে ট্রাইব্যুনালে এসে শামসুল হক নান্নুর অস্বীকার : "আমার নামে আর কারো ভিডিও ফাঁস করা হয়েছে। আমার সবসময়ই গোঁফ ছিলো।" (ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।  )
খবর - ২ : তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে শামসুল হক নান্নুর নতুন ভিডিও প্রকাশ, ভিডিওতে গণহত্যার বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।

প্রশ্ন : এখন কি শাহবাগীরা নিজেদের বাপকেও অস্বীকার করবে ?

খবর : ডিফেন্স সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গন থেকে গুম, কোর্টে ছবি উপস্থাপন, প্রসিকিউশনের অস্বীকার, আমলে নেয়নি কোর্ট।
ট্রাইব্যুনাল বিরোধী : মানুষকে জানের ভয় দেখিয়ে সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে, প্রসিকিউশন আর কোর্ট একজোট।
শাহবাগী : ছাগুরা কত টাকা খাইয়েছে কে জানে ? নাটক সাজিয়েছে আরকি।

ফলো-আপ খবর : সুখরঞ্জন বালীকে কোলকাতার জেলখানায় বন্দী হিসেবে আবিষ্কার।
প্রশ্ন : জামাত-শিবির কি তাহলে নাটককে ইন্ডিয়া পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে যে কোলককাতার জেলকে শুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহার করছে ? নাকি জামাত-শিবিরের হাত কোলকাতা পর্যন্ত বিস্তৃত ? 

সিদ্ধান্ত :

"৬. নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর না-ই করুন তাতে কিছু আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।
৭. আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।"

"৯. তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।"

"১৮. তারা বধির, বোবা ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।"

-- সূর বাকারা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ