সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইমাম খোমেনী

My dear! Make good use of the youthful time available to you for all will be lost in old age, even attention to Resurrection and God. One of the tricks of Satan is that he promises the opportunity for self reform and purge in old age so that youthful years may be wasted by negligence and he promises the aged to have long life so that by his false promises men may ignore God until death and at this point he takes away men’s faith, if he has not already done so.
.................................
ইসলামী সরকার হলো আইনের সরকার। এ ধরণের সরকারে সার্বভৌমত্ব হলো আল্লাহর, আর আল্লাহর আদেশ-নিষেধই হলো (ইসলামী সরকারের) আইন। ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের উপর ইসলামী আইন ও ঐশী বিধানের পরিপূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে।”
........................
"ইসলামী সরকার এবং সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্রের মাঝে পার্থক্য হলো : শেষোক্তগুলোতে যেখানে রাজা কিংবা জনপ্রতিনিধিগণ আইন প্রণয়ন করে থাকেন, সেখানে ইসলামে আইন প্রদান এবং প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা কেবলমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার-ই।”
..................................
জেগে উঠুন হে জনগণ ! সাবধান হোন, কারণ আপনাদের শত্রু শক্তিশালী। সে ট্যাংক ও মেশিনগান নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু এসব অস্ত্রকে ভয় পাবেন না। আপনারাই সঠিক পথে আছেন। হক আপনাদের সাথে আছে। আর সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সাথে আছেন। ভয় পাবেন না, কারণ আপনারাই বিজয়ী হবেন ইন-শা-আল্লাহ।”
-- ১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেনীর বিপ্লবের ডাক।

আর্মির বুকে আঘাত কোরো না, বরং তাদের হৃদয়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করো। সৈন্যদের হৃদয় তোমাদের কামনা করতে হবে। এমনকি যদি তারা তোমাদের গুলি করলেও। তোমাদের বুক পেতে দাও। কারণ যখন তোমরা আল্লাহর রাহে জীবন দিয়ে দিচ্ছো, তখন তোমাদের রক্ত এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা তাদেরকে প্রভাবিত করবে। একজন শহীদের রক্ত হলো হাজার মানুষকে জাগিয়ে তোলার ঘন্টা।”
-- সৈন্যদের হত্যা না করার নির্দেশ দিয়ে বিপ্লবের সময় ইমাম খোমেনীর মেসেজ।

“তোমরা শাহের কাজ আঞ্জাম দিও না, কারণ সে শয়তান। আর তোমরা হলে আল্লাহর সৈন্য। তোমাদের মুসলিম ভাইয়ের উদ্দেশ্যে অস্ত্র চালনা কোরো না। কারণ একজন মুসলিমের বুকে একটি বুলেট মানে কুরআনের বুকে একটি বুলেট। তোমাদেরকে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে হবে, নিজেদের বাড়িতে, শহরে। তোমাদেরকে মসজিদে ফিরে যেতে হবে, ফিরে যেতে হবে আল্লাহর কাছে।”
-- বিপ্লবীদের হত্যা করতে নিষেধ করে সেনাবাহিনীর প্রতি ইমাম।
...............................
"প্রিয়জনের রক্তের মাধ্যমে আমাদের বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই বিপ্লবকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। রক্তপাতেই এই আন্দোলনের জীবন। (শত্রুরা ! তোমরা আমাদের আরো) রক্তপাত করো ! আমাদের জীবন তাতে শক্তি খুঁজে পাবে। (শত্রুরা ‍!) আমাদের হত্যা করো ! আমাদের জাতি আরো জাগ্রত হবে। আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না। আর তোমরাও কোনোদিন আমাদেরকে হত্যা করা বন্ধ করবে না। তোমরা আমাদের আলেমদের রাতের অন্ধকারে গুপ্তহত্যা করছো, এটা তোমাদেরই হতাশাপ্রসূত ব্যর্থ চেষ্টার চিহ্ন। কারণ তোমাদের কোনো (সঙ্গত) যুক্তি নেই। যদি তোমাদের (কোনো সঙ্গত) যুক্তি থাকতো, তোমরা আলোচনার চেষ্টা করতে। কিন্তু তোমাদের কোনো সঙ্গত যুক্তি নেই। তোমাদের যুক্তির ভিত্তি হলো সন্ত্রাস ! আর ইসলাম সন্ত্রাসকে প্রত্যাখান করে। ইসলাম হলো যুক্তিসঙ্গত (ধর্ম)। (তোমাদের দ্বারা) আমাদের আলেমদের গুপ্তহত্যার মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের আন্দোলন আরো প্রাণ পেয়েছে ! ইরানি জনগণের বিভিন্ন স্তরে জীবন নতুন করে শুরু হয়েছে। ভাইয়েরা আমার ! মৃত্যুকে ভয় করবেন না। মৃত্যুর মাঝে জীবন আছে। পরকালে আরেকটা জীবন আছে। (বরং) এই দুনিয়াই হলো মৃত ! মৃত্যুকে ভয় করবেন না ! এবং আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই-ও না। (বরং) তাদেরই ভয় পাওয়া উচিত, যারা মৃত্যুকে-ই জীবনের শেষ মনে করে, বিলুপ্তি মনে করে। মুসলমান কেনো মৃত্যুকে ভয় পাবে ! আলেমগণ কেনো মৃত্যুকে ভয় পাবে !"

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের মাত্র তিনমাসের মাথায় গুপ্তহত্যার শিকার হন বিশিষ্ট আলেম, ইমাম খোমেইনীর অন্যতম শিষ্য আয়াতুল্লাহ মোর্তাজা মোতাহারি। বামপন্থী এজেন্টদের হাতে আয়াতুল্লাহ মোতাহারির শহীদ হওয়ার পর বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেইনীর (র.) দেয়া ভাষণের একটি অংশ এটি।
.....................................
"ইসলামী সরকার স্বেচ্ছাচারী নয়, আবার সম্পূর্ণ অপরিবর্তনীয়ও নয়, বরং সাংবিধানিক। তবে সেটা প্রচলিত অর্থে নয়, অর্থাৎ কিনা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আইনের অনুমোদন। বরং ইসলামী সরকার এই অর্থে সাংবিধানিক যে, শাসকেরা দেশের শাসন-পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানতে বাধ্য, যেসব শর্ত পবিত্র কুরআন ও রাসূলের (সা.) সুন্নাহ আমাদের সামনে পেশ করেছে। এইসব শর্ত সম্বলিত আইন-অধ্যাদেশই চর্চা করতে হবে। অর্থাৎ, ইসলামী সরকারকে "মানুষের উপর ঐশী আইনের শাসন" বলে অভিহিত করা যেতে পারে।”
..........................
"আমাদের সমাজে ইসলামের সার্বভৌমত্ত্ব ও প্রভাব কমে গিয়েছে এবং মুসলিম জাতি বিভক্তি ও দুর্বলতার শিকার হয়েছে। ইসলামী আইনসমূহ স্থগিত হয়ে আছে কিংবা পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে বিদেশী আইন এবং সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছে। ফলশ্রুতিতে পশ্চিমা সংস্কৃতির ব্যাপারে মুসলমানেরা হয়ে পড়েছে মোহাচ্ছন্ন। এটা আমাদেরই দোষ যে এসব ঘটতে পেরেছে আমাদের যোগ্য নেতা, অভিভাবক কিংবা নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠানের অভাবে। এখন এটা অতি স্পষ্ট যে আমাদের প্রয়োজন একটি ন্যায়বান সরকার।”
.........................
"শাসনক্ষমতায় নিয়োজিত রাজনৈতিক এজেন্টদের দ্বারা সাম্রাজ্যবাদীরা জনগণের উপর অবিচারমূলক অর্থব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে; যার ফলে গোটা দেশের জনগণকে কার্যতঃ দু'ভাগে ভাগ করে ফেলেছে : শোষক ও শোষিত।”
.......................
"মুসলিম উম্মাহর ঐক্য নিশ্চিত করতে হলে এবং মুসলিম ভূখণ্ডকে সাম্রাজ্যবাদীদের হস্তক্ষেপ, তাদের পুতুল সরকার ও দখলদারী থেকে মুক্ত করতে হলে এটা জরুরি যে আমরা নিজেরাই সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। মুসলমানদের ঐক্য ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের অবশ্যই অত্যাচারী সরকারকে উৎখাত করতে হবে – সেই সরকার, যাদের কিনা ক্ষমতায় বসিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরা। বাস্তবায়ন করতে হবে ন্যায়বিচারের ইসলামী সরকারব্যবস্থা, যা হবে জনগণের সেবক।”
.....................
"মুসলিম বিশ্বের শাসকেরা যদি সত্যই মুমিনদের প্রতিনিধিত্ব করত এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করত, তাহলে তারা নিজেদের তুচ্ছ বিভেদগুলো দূরে সরিয়ে রাখত। বিভক্তি ও অস্থিতিশীলতামূলক কর্মকাণ্ড পরিহার করে হাতের পাঁচ আঙ্গুলের মত করে একতাবদ্ধ হতো। তাহলে আর গুটিকয়েক দূর্ভাগা ইহুদি (আমেরিকা, ব্রিটেন ও অন্যান্য বহিঃশক্তির এজেন্টরা) কখনোই আজকের এই শক্তিশালী অবস্থানে আসতে পারত না, তা সে যতই মার্কিন ও ব্রিটিশ সহায়তা পাক না কেনো। এসবই ঘটতে পেরেছে মুসলিম বিশ্বের শাসকদের অযোগ্যতার কারণে। ”
............................
“ “তাদের (সাথে যুদ্ধের) জন্য তোমরা যথাসাধ্য সাজ-সরঞ্জাম, শক্তি ও ঘোড়া প্রস্তুত রাখবে ...” (৮:৬০) – কোরআনের এই আয়াত মুসলমানদের নির্দেশ দেয় যথাসম্ভব সামরিক শক্তি অর্জন করতে। এবং আরো নির্দেশ দেয় সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতিতে থাকার – এমনকি যুদ্ধবিহীন শান্তির সময়েও।”
.............................
“যে কেউ দাবী করে যে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আবশ্যক নয়, সে পক্ষান্তরে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করে, অস্বীকার করে ইসলামী আইনের সর্বজনীনতা ও পরিপূর্ণতাকে; এমনকি পক্ষান্তরে অস্বীকার করে ইসলামকেও।”
..........................
"আমরা প্রকৃত মানুষ হই, তা তারা চায় না। কারণ তারা সত্যিকারের মানুষকে ভয় পায়। এমনকি যদি একজনও সত্যিকার নেতা আবির্ভূত হয়, তারা তাঁকে ভয় পায়। কারণ মানুষজন তাঁকে অনুসরণ করবে, আর সমাজের উপর তাঁর এমন প্রভাব থাকবে যা তাদের সাম্রাজ্যবাদ, একনায়কতন্ত্র আর পুতুল সরকারের ভিত্তি নাড়িয়ে দেবে। তাই যখনই প্রকৃত সৎ নেতার আবির্ভাব ঘটেছে, তারা হয় তাঁকে দেশছাড়া করেছে, জেলবন্দী করেছে, হত্যা করেছে কিংবা মানহানির চেষ্টা করেছে।”
.....................
"সাম্রাজ্যবাদীদের পলিটিক্সের দিকে যদি আপনি কোনো নজর না দেন, ইসলামকে যদি কেবল ঐসব টপিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন যা আপনি সবসময় পড়ে আসছেন, এবং যদি এর বাইরে না যান (অর্থাৎ অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা না করেন), তবে সাম্রাজ্যবাদীরা আপনাকে মোটেই বিরক্ত করবে না – তারা আপনাকে ছেড়ে দেবে।”
.....................
“মহানবীর যুগে কি ধর্ম এবং রাজনীতি আলাদা ছিলো ? একদিকে একদল ধর্মগুরু আর বিপরীতে একদল পলিটিশিয়ান – তখন কি এমন ছিলো ? খলিফাগণের সময়েও কি ধর্ম ও রাজনীতি আলাদা ছিলো ? দুটি ভিন্ন অথরিটি ছিলো কি ?

ধর্ম থেকে রাজনীতিকে আলাদা রাখার এসব স্লোগান সাম্রাজ্যবাদীদের এজেন্টদের তৈরী, যেনো সমাজ পরিবর্তনে ধর্মের কোনো ভূমিকা না থাকে। এগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো মুক্তিকামী সংগ্রামী জনগণ থেকে ইসলামিক স্কলারদের দূরে রাখা।”
....................
"ইম্পেরিয়ালিস্টরা আমাদের মধ্যে এই ধারণা প্রচার করেছে যে, ইসলামে কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্র-কাঠামো নেই। তারা আরও বলে যে, যদিওবা ইসলামে নির্দিষ্ট কিছু আইন আছে, কিন্তু সেগুলো প্রয়োগ করার কোনো পদ্ধতি নেই। পলিটিকাল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে মুসলমানদের দূরে রাখার সার্বিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এগুলো আমাদের মৌলিক বিশ্বাসের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক।”
...................
"যেতে দাও তাদেরকে ! মঙ্গলগ্রহে কিংবা হোক মিল্কিওয়ের বাইরে – কিন্তু তবুও তারা প্রকৃত সুখ থেকে বঞ্চিত থাকবে। বঞ্চিত থাকবে নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতা থেকে। এবং এতকিছু জয় করা সত্ত্বেও তারা নিজেদের সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে না। কারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও সামাজিক সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিক ভিত্তি। জাগতিক শক্তি ও সম্পদ অর্জন, প্রকৃতি কিংবা মহাকাশকে জয় করা – এক্ষেত্রে এগুলোর কোনোই প্রভাব নেই।"
...............
"মুখে হোক আর লিখে হোক – যে পদ্ধতিকেই ভালো মনে করেন না কেনো, মানুষকে শিক্ষাদান করুন। তাদেরকে জানান ইসলাম তার জন্মলগ্ন থেকে কী কী সমস্যার মোকাবিলা করেছে; বর্তমানে কী কী প্রতিকূলতার সম্মুখীন এবং ইসলামের শত্রু কারা। ইসলামের প্রকৃত চেহারাকে গোপন থাকতে দেবেন না। নইলে মানুষ ইসলামকে খ্রিষ্টধর্মের মত মনে করবে : এমন একটি ধর্ম যাতে কেবল স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক-ই আলোচিত হয়েছি। আর তা হলে মসজিদগুলোকে মানুষ চার্চের মত মনে করবে।"
......................
"বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের কাছে প্রকৃত ইসলাম অনেকটা-ই অপরিচিত। প্রকৃত ইসলাম উপস্থাপন করে মানুষকে তা বিশ্বাস করানো কঠিন। (বাস্তবতা এই যে) তা হলে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইম্পেরিয়ালিজমের এজেন্টরা ভয়ানক হইচই শুরু করে দেবে।"
.....................
"আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব প্রচারক তারা বসিয়েছে, ইউনিভার্সিটি, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশক সংস্থায় যেসব এজেন্ট তারা নিয়োগ করেছে এবং যেসব ওরিয়েন্টালিস্ট তাদের ইম্পেরিয়ালিস্টিক রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করছে -- ইসলামের মূলনীতিগুলোকে বিকৃত করার জন্য এরা সবই তাদের শ্রম ব্যায় করেছে। ফলস্বরূপ অনেকেরই, বিশেষতঃ শিক্ষিত সমাজের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম নিয়েছে।"
.....................

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ