আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বেশকিছু ব্যক্তির নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি। বরং সেখানে সর্বনাম ব্যবহার করেছেন। অথচ সেখানে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে দিলে উক্ত সর্বনাম দ্বারা কাকে বুঝানো হয়েছে, তা নিয়ে একাধিক মত সৃষ্টির সুযোগ থাকত না। যেমন, সূরা আবাসায় বিসমিল্লাহর পরের বাক্যই হলো, "তিনি ভ্রুকুঞ্চিত করলেন।" এই 'তিনি'-টা কে? তার নাম বলা হয়নি। অথচ ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো কথার শুরুতে একবার হলেও বিশেষ্য (noun) ব্যবহার করে তারপর সর্বনাম (pronoun) ব্যবহার করতে হবে। সরাসরি সর্বনাম ব্যবহার করার মানেই হলো, ব্যক্তির নাম ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখা হয়েছে। গোটা কুরআনজুড়েই এমনটা আছে। কিন্তু কেন? এর একাধিক কারণের মাঝে এটাও একটা কারণ যে, ঐসব নাম প্রকাশ করলে বহু মুসলমান কুরআনবিমুখ হয়ে যাবে, এমনকি ইসলামকে পর্যন্ত ত্যাগ করবে হয়ত,তাদের অন্ধভক্তি, গোঁড়ামি ও দলবাজিকে আঁকড়ে ধরতে গিয়ে। তা না হলেতো আল্লাহপাক সরাসরি বলেই দিতেন, কে ভ্রুকুঞ্চিত করেছিল? কিন্তু আল্লাহ তা বলেননি। কেননা তিনি দয়ালু। তিনি চান না ঐ ঘটনার শিক্ষা থেকে কেউ বঞ্চিত হোক। অতএব, এই ঘটনার শিক্ষা গ্রহণ করাটাই আমাদের জন্য
ইসলাম, সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে সমসাময়িক চিন্তা