সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সূরা আবাসা

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বেশকিছু ব্যক্তির নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি। বরং সেখানে সর্বনাম ব্যবহার করেছেন। অথচ সেখানে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে দিলে উক্ত সর্বনাম দ্বারা কাকে বুঝানো হয়েছে, তা নিয়ে একাধিক মত সৃষ্টির সুযোগ থাকত না। যেমন, সূরা আবাসায় বিসমিল্লাহর পরের বাক্যই হলো, "তিনি ভ্রুকুঞ্চিত করলেন।" এই 'তিনি'-টা কে? তার নাম বলা হয়নি। অথচ ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো কথার শুরুতে একবার হলেও বিশেষ্য (noun) ব্যবহার করে তারপর সর্বনাম (pronoun) ব্যবহার করতে হবে। সরাসরি সর্বনাম ব্যবহার করার মানেই হলো, ব্যক্তির নাম ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখা হয়েছে। গোটা কুরআনজুড়েই এমনটা আছে। কিন্তু কেন? এর একাধিক কারণের মাঝে এটাও একটা কারণ যে, ঐসব নাম প্রকাশ করলে বহু মুসলমান কুরআনবিমুখ হয়ে যাবে, এমনকি ইসলামকে পর্যন্ত ত্যাগ করবে হয়ত,তাদের অন্ধভক্তি, গোঁড়ামি ও দলবাজিকে আঁকড়ে ধরতে গিয়ে। তা না হলেতো আল্লাহপাক সরাসরি বলেই দিতেন, কে ভ্রুকুঞ্চিত করেছিল? কিন্তু আল্লাহ তা বলেননি। কেননা তিনি দয়ালু। তিনি চান না ঐ ঘটনার শিক্ষা থেকে কেউ বঞ্চিত হোক। অতএব, এই ঘটনার শিক্ষা গ্রহণ করাটাই আমাদের জন্য

শিয়ারা হযরত আলীকে প্রাধান্য দেয় কেন?

আমার একজন জুনিয়র আমার ওয়ালে একটি প্রশ্ন পোস্ট করতে চেয়েছে। যেহেতু সেই অপশন বন্ধ, তাই আমিই সেটা পোস্ট দিলাম (যেন তার বন্ধুরা দেখতে পায়, তার অনুরোধে)। প্রশ্ন: শিয়া মতাদর্শের মানুষদের মধ্যে দেখা যায় যে তারা হযরত আলী (রঃ) কেই বেশি প্রাধান্য দেয়।অথচ ইসলামের প্রসারে বা এর পিছনে অবদান অন্য ৩ খলিফার ও আছে।৪ খলিফাই ইসলামের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।অথচ শিয়ারা আলী (রঃ) কে আলী (আঃ) বলেন এবং ইমাম ভাবেন।আমার প্রশ্ন হলো (রঃ) আর (আঃ) এর মধ্যে পার্থক্য কি?আমাদের রাসুল কে (সঃ) আর অন্যান্য নবীদের ক্ষেত্রে (আঃ) ব্যাবহার করেন।নিশ্চই আলী (রঃ) ইসলাম এর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।কিন্তু অন্যান্য নবীগন কি তার থেকে উত্তম নন?ইসলামের প্রসারে চার খলীফার অবদান এ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি অবদান আবু বকর তারপর উমর তারপর উসমান তারপর আলী পর্যায় ক্রমে।তবে অন্য সবাইকে নিয়ে কেন তারা বলে না?শুধু আলী (রঃ) ই কি সব? আশাকরি সঠিক উত্তর পাবো। ....................................................................................... উত্তর: প্রশ্নটি কোনো শিয়া আলেমের কাছে করলে ভালো হতো। আমি আলেমও নই, কিংবা নিজেকে শিয়া

ইসলামে নারীর অধিকার

বেশ অনেকদিন আগে, ফেইসবুকে একজন 'আলেম' একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। এক মেয়ে তাকে ইনবক্স করেছে, এবং তিনি সেটার উত্তর দিয়েছেন। সেই মেয়ের প্রশ্নটি ছিল: শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সেবা করা কি বউয়ের দায়িত্ব? তিনি একজন 'আলেম', এবং অনেকেই তাকে ইনবক্স করে বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ে জানতে চায়, তিনিও উত্তর দেন, এবং সম্ভব হলে সেটা ফেইসবুকে পোস্ট দেন, যেন অন্যরাও 'উপকৃত' হয়। যাহোক, সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি একটি বিশাল লেখা উপহার (!) দিলেন। অথচ উত্তরটা হবার কথা ছিল: "না।" অর্থাৎ, "ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, শ্বশুর শ্বাশুড়ির সেবা করা বউয়ের দায়িত্ব নয়।" কিন্তু তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে গোঁজামিল দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলেন যে, স্বামীর বাপ-মা হিসেবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির খেদমত করতে হবে। তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়-রাজনৈতিক দলের একজন 'চিন্তাবিদ'। তিনি কুরআনের অনুবাদকও বটে(!)। ৫০+ ইসলামিক বইও লিখেছেন। কিন্তু বাঙালী সংস্কৃতির সুখ ছাড়তে না পারার কারণে নিজের কালচার/রীতিনীতিকে ধর্মের নামে ব্যাখ্যা দিয়ে চালানোর চেষ্টা করেছেন। এবং এই কাজ বহু 'ইসলামী' লোক করে থাকে। ধর্মজগত