সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইসলামে নারীর অধিকার

বেশ অনেকদিন আগে, ফেইসবুকে একজন 'আলেম' একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। এক মেয়ে তাকে ইনবক্স করেছে, এবং তিনি সেটার উত্তর দিয়েছেন। সেই মেয়ের প্রশ্নটি ছিল: শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সেবা করা কি বউয়ের দায়িত্ব?

তিনি একজন 'আলেম', এবং অনেকেই তাকে ইনবক্স করে বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ে জানতে চায়, তিনিও উত্তর দেন, এবং সম্ভব হলে সেটা ফেইসবুকে পোস্ট দেন, যেন অন্যরাও 'উপকৃত' হয়।

যাহোক, সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি একটি বিশাল লেখা উপহার (!) দিলেন।

অথচ উত্তরটা হবার কথা ছিল: "না।"
অর্থাৎ, "ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, শ্বশুর শ্বাশুড়ির সেবা করা বউয়ের দায়িত্ব নয়।"

কিন্তু তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে গোঁজামিল দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলেন যে, স্বামীর বাপ-মা হিসেবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির খেদমত করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়-রাজনৈতিক দলের একজন 'চিন্তাবিদ'। তিনি কুরআনের অনুবাদকও বটে(!)। ৫০+ ইসলামিক বইও লিখেছেন।

কিন্তু বাঙালী সংস্কৃতির সুখ ছাড়তে না পারার কারণে নিজের কালচার/রীতিনীতিকে ধর্মের নামে ব্যাখ্যা দিয়ে চালানোর চেষ্টা করেছেন।

এবং এই কাজ বহু 'ইসলামী' লোক করে থাকে। ধর্মজগতের প্রতি আমার আগ্রহ, এবং সেই সুবাদে দেশ-বিদেশের বহু 'ইসলামী' (!) ব্যক্তিত্বের 'ইসলামী' (!) ব্যাখ্যা জানা সম্ভব হয়েছে। ইসলামে নারীর অধিকার বিষয়ে মেজরিটি, মেজরিটি ধর্ম ব্যাখ্যাকারকই নারীর উপর জুলুমের দুয়ার উন্মুক্ত করেছেন, এবং করে যাচ্ছেন।
………………………………………………………………………
বিয়ে একটি চুক্তি। আমরা যখন কোনো চাকরিতে জয়েন করি, তখন সেখানে পাঁচ-সাত পাতার একটা প্রিন্ট করা কাগজ দেয়া হয়। সেখানে চুক্তির খুঁটিনাটি লেখা থাকে, বছরে কয়দিন ছুটি, কয় ঘন্টা কাজ, বেতন কত, চুক্তিভঙ্গের জরিমানা কী, চুক্তি বাদ দেবার নিয়ম কী, ইত্যাদি।

বিয়েও একটা চুক্তি। সেখানেও এমন নিয়ম আছে। ইসলাম এই চুক্তির বিস্তারিত নিয়ম দিয়ে দিয়েছে। যেমন, স্ত্রীর খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দেয়া স্বামীর দায়িত্ব। কিন্তু তার জন্যে ফ্ল্যাট, গাড়ি, গহনা এগুলো করতে সে বাধ্য নয়। স্বামী ইট-বালু-সিমেন্ট এনে দিয়ে বলতে পারবে না যে, বাসস্থান তৈরী করে নাও। তেমনি বলতে পারবে না যে, মাঠে ধান আছে, কেটে নিয়ে মাড়াই করে  চাল বানিয়ে সিদ্ধ করে খাও। কিংবা এটাও বলতে পারবে না যে, এই নাও চাল, সিদ্ধ করে খাও।
কেননা, এগুলোর কোনোটাই খাদ্য না। "ভাত" হলো খাদ্য। অতএব, তার মুখের সামনে সরাসরি খাওয়া যায় (ready to eat) এমন খাদ্য এনে দিতে হবে। এটা বিয়ের চুক্তির অংশ। কোনো স্ত্রীর দায়িত্ব নয় স্বামীকে রান্না করে খাওয়ানো, এমনকি নিজেরও রান্না করে খাওয়া। কেননা, স্ত্রীকে ready to eat food, ready to live home, ready to wear dress দেয়া স্বামীর দায়িত্ব। ইসলামী আইনের ব্যাখ্যা এটাই।

এখন হয়ত এটা শুনে ছেলেরা বলবে, তাহলে বউ যদি বলে তিনবেলা রেঁধে খাওয়াও, আমার কি তাকে রেঁধে খাওয়াতে হবে? আমি চাকরি করব, কামাই করব, আবার রেঁধেও খাওয়াব? এ আবার কোন নতুন আইন? এ কোন নতুন ধর্ম?

অথচ দেখুন, যেটা দায়িত্ব না, তা পালনের জন্য কত পুরুষ দিনরাত খেটে নিজেকে শেষ করে ফেলছে! একটা ফ্ল্যাটের জন্য, একটা গাড়ির জন্য, কিংবা আত্মীয়-স্বজন-প্রতিবেশীর সাথে পাল্লা দিয়ে বউকে আরো গহনা দিয়ে সাজানোর জন্য খেটে মরছে বছরের পর বছর! কিছু দামী ফার্নিচারের জন্য খেটে মরছে মাসের পর মাস। কিছু বিলাসদ্রব্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, হোম থিয়েটার কিংবা বিশাল টিভি!

অর্থাৎ, তারা কালচারাল জীবন যাপন করছে, ধার্মিক জীবন নয়। কেননা, ধার্মিক জীবন যাপন করলে তারা চুক্তির (অর্থাৎ, বিয়ের) শর্তগুলো জানত, এবং সেগুলো পালন করত। বিয়ে শুধু "কবুল" বলা নয়! বরং এই কবুল হলো চাকরির কাগজের পাঁচ পাতা শর্তের শেষে এসে সিগনেচার করা। অবস্থা এমন হয়েছে যে, অধিকাংশ নারী-পুরুষ এই সিগনেচার সাদা কাগজে করছে। তারপর বিয়ের পর মুলামুলি করছে: আমার খেদমত করো, আমার বাপ-মায়ের খেদমত করো, এইটা চুক্তির অংশ; ওদিকে মেয়েটা বলছে, পারব না, গয়না কিনে দাও, বড় টিভি আনো, হ্যান ত্যান।

তারপর আর পেরে না উঠে অনেক বছর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির অত্যাচার সয়ে শেষে ঐরকম 'আলেম' এর কাছে ইনবক্সে জানতে চায়: "আমি যে সাদা কাগজে দস্তখত দিছিলাম, সেইটার শর্তগুলো আসলে কী? শ্বশুর-শ্বাশুড়ির খেদমত করা কি তার মধ্যে আছে?"
ক্যান বাবা, যখন কবুল বলতে লজ্জায় মরে যাচ্ছিলেন, তখন মনে ছিল না কিসে কবুল বলতেছেন? সাদা কাগজে দস্তখত দিছেন, এখন শক্তিশালী পক্ষ যা বলবে, ঠেলায় পড়ে মানবেন!

তারপর এসব 'আলেম' (!) একটি সুন্দর গোঁজামিল ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেন যে, উহা তোমার কর্তব্য। আর ঐ 'আলেম' ইসলামের সঠিক আইনটি বললেই বা কী এসে যায়, তার স্বামী কি আর তখন সেটা মানবে? দুজনেই তো সাদা কাগজে দস্তখত করেছে, তারপর প্রত্যেকে তার মত করে শক্তি ব্যবহার করে সুবিধা হাসিল করছে। কোথা গেছে বিয়ের আগের মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের আলাপ! ইসলামের সঠিক আইন যদি ঐ ছেলেটি জানত, আর এটাও জানত যে মেয়েটিও তার অধিকার-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন, এবং বিয়ের আসরে সেই আইনগুলি স্পষ্ট পড়ে শুনানো হতো, তাহলে বোধহয় ৯০% ছেলেই পালাতো।

অথচ যেহেতু তা হয় না, অতএব ৯০% ছেলেই দৌড়ে আসে বিয়ের আসরে -- মেয়েটার ঘাড়ে চেপে বসার জন্য! রান্না, খাওয়া, কাপড় ধোয়া, হাত-পা টিপানোর আর দেহের সুখ সব একখানে মিটানোর সুযোগ পাওয়া গেছে!
……………………………………………………………………………
২০১৬ সাল। আমার স্কুলের বান্ধবীর সাথে কথা হচ্ছে একদিন। আমি তার বিয়ে খেয়ে (!) যেতে পারব না, সেই আফসোস করছে। আমি তাকে বললাম, শোনো, যতই প্রেমের বিয়ে হোক, বিয়ে একটা চুক্তি। ইসলামী আইন মোতাবেক এই চুক্তির নিয়মগুলো জেনে রাখা ভালো।
কিন্তু তার আর সে ধৈর্য্য হলো না। তারপর আমি এস্তোনিয়ায় আসলাম। সে বিয়ে করল। ফেসবুকে অনেক লাইক পড়লো সেসব ছবিতে। কিন্তু সাদা কাগজে দস্তখত যে! কয়মাস পর শুনলাম, তাদের সংসারে ঝামেলা চলছে, মেয়েটি কষ্টে আছে। ঐ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ইস্যু, আর তাহার স্বামী বাপ-মায়ের সামনে বিড়াল। অতএব……
স্বামী-স্ত্রীর ইসলাম প্রদত্ত অধিকার-কর্তব্য তথা বিয়ের চুক্তির সত্যিকার আইনগুলো জানলে ঐ ছেলে প্রেমও করত কিনা, সন্দেহ, বিয়ে তো দূরের কথা।

এইসব 'আলেমরাও' আপনাদের কাছে সত্য ইসলাম তুলে ধরবে না, আর আপনারাও  তা নিজে পরিশ্রম করে জানতে আগ্রহী নন। তাই আপনার বিয়েও সাদা কাগজে দস্তখত, আপনার নামাজও সাদা কাগজে দস্তখত, আপনার সবকিছুই সাদা কাগজে দস্তখত। পুরুষতান্ত্রিকতার উত্থান, তার বিপরীতে নারীবাদের উত্থান -- এগুলো সাংস্কৃতিকভাবে ঘটতেই থাকবে চক্রাকারে দুটোই চরমপন্থা। আর পুরুষ সার্বিকভাবে শক্তিশালী বেশি, অতএব দুই চরমপন্থার মাঝে পুরুষেরটাই টিকবে। নারীবাদকেও তারা ঘুরিয়ে দিবে এমনভাবে যে, সেটা হবে ভোগবাদ : নারী স্বাধীনতার নামে তাকে ভোগের বস্তুতে পরিণত করা।

আফসোস, এই দুই চরমপন্থা থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দিয়েছিল যেই ইসলাম, তার রাসুল (সা.) এর মৃত্যুর পরেই বিকৃতিকারীদের হাতে পড়ল, এবং তা শুরুই হল এক মহিয়সী নারীকে অধিকারবঞ্চিত করার জুলুমের মধ্যদিয়ে। তারপর ক্ষমতার জোরে সেটাই বিশ্বব্যাপী 'ইসলাম' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আর আমাদের  চারপাশের 'আলেমরা' সেই 'ইসলাম' (!) এরই ব্যাখ্যাকারক মাত্র। প্রকৃত ইসলাম যদি আজকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয়, তবে সে বলবে, এ আবার কোন নতুন ধর্ম?

আমার প্রাণপ্রিয় স্নেহভাজন ভাইটিকে তার নাস্তিক বন্ধু বলেছিল, "তুমি যদি ফিরে যেতে চাও সেই আগের পথে, তবে ফিরে যাও, আটকাবো না।"
কারণ তারা দুজনই নাস্তিক ছিল, কিন্তু আমার ভাইটি আমাকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর গল্প রচনা করেছিল, আর তাই তার নাস্তিক বন্ধু তাকে সেজদা দিতে দেখে ফেলেছে। অথচ সেই সেজদা যে কোন সেজদা, তা তো ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে পাশ করা সেই নাস্তিকের জানা নেই।

আমার প্রিয় ভাইটি শুধু ছোট্ট করে জবাব দিয়েছিল, "আগের পথে ফিরিনি তো। যে পথে ফিরেছি, সে পথ আগে দেখিওনি কখনো।"

সেই সুন্দর গল্পটাও করব একদিন, ইনশাআল্লাহ। ♥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ