সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসলাম - আবেগ - ভাবনা

সকালে নিউজফিডে অন্ততঃ তিনটা কপি-পেস্ট পোস্ট দেখলাম, যেটার বাংলা করলে ফরম্যাট দাঁড়ায় এরকম: "আমি ওমুক, বাড়ি ওমুক, মার্ক যাকারবার্গের কাছে অনুরোধ করছি মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি কটুক্তিকারী সকল পেইজ ফেইসবুক থেকে রিমুভ করে দিতে।" :o ফেইসবুকের নিজস্ব কন্টেন্ট পলিসি আছে। সেই পলিসির বিরুদ্ধে গেলে কন্টেন্ট রিমুভ করে দেয় তারা। এইরকম কপি-পেস্ট পোস্ট যারা দিচ্ছেন, তারা যদি অন্ততঃ এভাবে লিখতেন যে: "প্রফেট মুহাম্মদ (সা.)-কে কটুক্তিকারী পেইজগুলি ফেইসবুকের কন্টেন্ট পলিসির এত নং ধারার অত নং উপধারার শর্ত লঙ্ঘন করছে। অতএব, তা বন্ধ করে দিন" - তাহলেও অন্ততঃ মানা যেত। অবশ্য এভাবে লিখলেও সেই পোস্ট ফেইসবুক মডারেটরস দেখবেন না, এবং এইসব পোস্ট মার্ক যাকারবার্গ বসে বসে দেখেও না - বরং কোনো পেইজের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার অপশন আছে। সেখানে গিয়ে রিপোর্ট করে দিলেই হলো - তখন তারা চেক করে দেখবে যে ঐ কটুক্তিকারী পেইজ কোনো শর্ত ভঙ্গ করছে কিনা। তখন তারা বন্ধ করে দেবে। মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা / আবেগ থেকে অন্ততঃ এটুকু কাজতো করা যেত! কিন্তু কয়জন পেইজে গিয়ে রিপোর্ট করেছে? কিংবা এই লজিকাল

ইসলাম - কুরআনের বিকৃত অনুবাদ

"সহীহ" তখনই বলতে হয়, যখন তার মাঝে কোনো ভেজাল থাকে! (১০০% হালাল সাবানের মত আরকি)। সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত কুরআনের ইংলিশ অনুবাদ, তারা নাম দিয়েছে "সহীহ ইন্টারন্যাশনাল", যেটাকে আবার জাকির নায়েক, ইয়াসির কাযি, জামাল বাদাভিরা অথেন্টিক অনুবাদও বলে থাকেন, সেই "সহীহ" ইমাম শব্দের অনুবাদ করেছে আমলনামা। ইমাম অর্থ কি আমলনামা হয়? দেখুন এখানে:  https://quran.com/17/71 আবার, নাহনু শব্দের অনুবাদ করেছে Our angels. নাহনু শব্দের অনুবাদ হবে আমরা - we. নাহনু অর্থ "আমাদের ফেরেশতারা" হলো কিভাবে? দেখুন এখানে:  https://quran.com/56/85 "আবাসা" শব্দের অর্থ "তিনি ভ্রু কুঞ্চিত করলেন"। আর সহীহ ইন্টারন্যাশনাল লিখে দিয়েছে: "রাসুল ভ্রু কুঞ্চিত করলেন"!! দেখুন এখানে:  https://quran.com/80/1 ইউসুফ আলী কিন্তু The Prophet কথাটা ব্র্যাকেটে লিখেছেন। অনুবাদক ব্র্যাকেটে তার আন্ডারস্ট্যান্ডিং লিখতে পারেন, কিন্তু ব্র্যাকেট উঠিয়ে দিলে... ঠিক এই কাজটাই বাইবেলের বিকৃতিকারীরা করেছিলো! প্রথমে ব্র্যাকেট, পরে ব্র্যাকেট উঠিয়ে নিজেদের মনগড়া কথাকে বানিয়ে দিয়েছে বাই

প্যারাডক্সিকাল সাজিদ

সাজ্জাদের কাছে শুনলাম , বইমেলায় প্যারাডক্সিকাল সাজিদ নামের একটা বই নাকি খুব পপুলার হয়েছে। সে বইয়ে ইসলামের পক্ষে নাস্তিক্যবাদের যুক্তিখণ্ডন করা হয়েছে। টাইম ট্র্যাভেল ইত্যাদি বিষয়ে বইটার কিছু অংশ পড়লাম অনলাইনে। সহজ-সরল উপস্থাপনা। পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো জাফর ইকবালের বই পড়ছি! কিন্তু লেখার লাইনে লাইনে যেন জাফর ইকবাল টাইপ লোকদেরকে চপেটাঘাত করছে। মজা পেলাম তাই।  :D নাস্তিকরা ইসলাম, কুরআন-হাদীসকে অবৈজ্ঞানিক প্রমাণ করার চেষ্টা করে। বিপরীতে আমরা লেগে পড়ি ইসলামকে বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ করতে:  আধুনিক বিজ্ঞানের নানান বিষয়কে কুরআনের আয়াতে খুঁজে বের করি। তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো? "বিজ্ঞান" হলো আলটিমেট মানদণ্ড, আর বিজ্ঞানীরা হলো সেই মানদণ্ডের God. আমাদের মুসলমানদের মধ্যে খুব খারাপ ব্যাপার যেটা ঘটেছে তা হলো, আমাদের মনের ভিতর মানদণ্ড হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে "বিজ্ঞান"। তাও আবার কোন বিজ্ঞান? নাস্তিক-ইসলামবিরোধীদের বিজ্ঞান। "আইনস্টাইনের থিয়োরীর সাথে কুরআনের থিয়োরী মিলে গেছে! অতএব আল্লাহ আছে। যাক বাবা, ইসলামের শেকড়টা পোক্ত হলো।" - মনের অজান্তে এমন এক অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে! যেন আই