সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Ramadan Post

রমজান মাসের আর ৫ দিন বাকি। খোদাপ্রেম-খোদাভীতি বৃদ্ধি ও আত্মশুদ্ধির মাস। তবে একইসাথে জ্ঞানার্জনও জরুরি। সেজন্যে পুরো কোরআন ৩০ দিনে বুঝে পড়াসহ আরো বিভিন্ন আত্ম-উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা প্রত্যেকেরই করা উচিত। আর আপনার জন্য কোন কোন বিষয় জরুরি, কিভাবে পরিকল্পনা করা উচিত, তা আপনিই ভালো বুঝবেন। তবে যেমনই হোক না কেন, পরিকল্পনা যেন থাকে; রমজান মাস শুরু হবার আগেই। এটা নিজের কাছেই স্বীকার করা উচিত যে, জীবনের এতগুলো বছর পার হয়ে গেছে, অথচ আল্লাহর বাণী বুঝে পড়া হয়নি আমাদের বেশিরভাগ মুসলমানেরই। অবশ্য মেজরিটি মুসলমান যে কুরআন পরিত্যাগ করবে, সেকথা কুরআনেই আছে (সূরা:২৫, আয়াত:৩০)। আমার ব্যক্তিগত অধ্যয়ন ও পর্যবেক্ষণে দেখেছি যে, ধর্মের প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষা অর্জন না করে ইউনিভার্সিটি লেভেলের বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া ও মাতামাতি করাটা আমাদের মধ্যে মহামারী আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় আমভাবে (general) কথা বলার ক্ষেত্রে বেসিক মৌলিক বিষয়ের আলোচনাই বেশি বেশি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যেমন, আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তিদের সম্পর্কে নিচের সংক্ষিপ্ত আলোচনাটা দেখুন। ……………………………… ধর্মীয় বিষয়ে যাদের অনুসণ করা হয়, তা

শবে বরাত: বিদাত?

যুগযুগ ধরে আমাদের দেশে শবে বরাত, শবে ক্বদর, ইদে মিলাদুন্নবী (সা.) ইত্যাদি পালিত হয়ে আসছে। 'বিদআত' শব্দটা আজকে যেভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে, সেভাবে জানত না ৩০ বছর আগেও। হঠাতই যেন কোথা থেকে একদল ঝাড়ুদার হাজির হয়েছেন, আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের ইসলামে 'বিদআত' আবিষ্কার করে ঝাড়ু দিয়ে ঝেড়ে তা পরিষ্কার করে দিবেন। বিনা পয়সায় এত পরোপকার! না না। গোড়া অনুসন্ধান করলে দেখবেন, আলে সৌদের হারাম টাকাখোর। এরাই হলো সেইসব মানুষ, যারা দ্বীন শিক্ষা দেবার আগে বিদআত শিক্ষা দেয়। এদের সাইকোলজিকাল গেইমটা খুব সহজ। আপনি সহজ সরল মানুষ, আর সবার মত পরিবার ও সমাজ থেকে শিখে ইসলামী আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। হঠাৎ সে এসে আপনার নামাজ, রোজা, নফল ইবাদত ইত্যাদি দেখে আঁতকে ওঠার মত করে বলবে: "আ! সেকি ভাই! আপনার সব আমল তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! আপনিতো বিদাতে লিপ্ত!" আপনিতো সহজ সরল মানুষ। সুন্নাত বিদাত এত শব্দ তো জানেন না। আপনি তার কথা শুনে ভড়কে যাবেন। আর যেহেতু আপনার নিজের ধর্মীয় পড়াশুনা ও এই জগতে দৃঢ় কোনো জ্ঞান নেই, সেহেতু দুর্বল অনুভব করবেন। ব্যস, আপনার উপর সাইকোলজিকাল গেইম শ

কুরানিস্ট ভিউ: শুধু কুরআনই কি যথেষ্ট?

১. 'কুরআন' হলো আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে একটি একক অনুভূতি / ভাব (sense)। এই ধাপে কুরআনের সংরক্ষণ বা বিকৃতি -- ইত্যাদি কোনো প্রশ্নই আসে না। অতএব, সংরক্ষণ পদ্ধতিরও প্রশ্ন আসে না। ২. অতঃপর এই অনুভূতি আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (সা.) এর হৃদয়ে 'নাযিল' করেছেন, সম্পূর্ণটা, একত্রে। প্রশ্ন হলো, এই স্তরে তা সংরক্ষিত থাকবে কিনা? এবং সংরক্ষণের পদ্ধতি কী? এর উত্তর সংক্ষেপে দিলে তা অসম্পূর্ণ হবে, কেননা নূরে মুহাম্মদীর (সা.) দৃষ্টিকোণ এক্ষেত্রে অপরিহার্য। তবে সংক্ষেপে বললে, মুহাম্মদ (সা.) নিষ্পাপ ও নির্ভুল তো বটেই, ব্যক্তিসত্তার দিক থেকে তিনি এত উচ্চ স্তরের যে, সেখানেও আসলে সংরক্ষণ ও বিকৃতি ইত্যাদি প্রশ্নই আসে না। অতএব, তিনি যা ধারণ করে আছেন, তা অপরিবর্তিত ও সংরক্ষিত রূপে আছে এবং থাকবেই। ৩. অতঃপর আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাক্রমে বিভিন্ন সময়ে এই 'একক অনুভূতি', (যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত, যাকে কুরআন বলা হয়, তা) থেকে মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন অনুভূতি (ভাব - sense) আরবি ভাষায় মুখে প্রকাশ করেছেন, যেটাকে আমরা সাধারণভাবে 'নাযিল' হওয়া বলে থাকি। এইযে তা মানুষের ভাষায় প্রক