সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসলাম - গাদীরে খুম

গাদীরে খুমের উপেক্ষাই মুসলমানদের দূর্দশার কারণ। এবং দুঃখজনক হলেও সত্য, এর গোটা ব্যাপারটাই মুসলমানদের in-house ব্যাপার; বহিঃশত্রুর কোনো হস্তক্ষেপে নয়। গাদীরে খুমের ঘটনা কী? মহানবী (সা.) তাঁর জীবনের শেষ হজ্জ্ব শেষে ফিরবার পথে ১৮ই জিলহজ্জ্ব তারিখে গাদীরে খুম নামক স্থানে থামলেন এবং সকল সাহাবীকে একত্র হবার নির্দেশ দিলেন। সেখানে তিনি ইমাম আলী (আ.)-কে সাথে নিয়ে মঞ্চে উঠে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। এই ভাষণে মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ছিল। তার মাঝে প্রথমটি ছিল "কুরআন ও আহলে বাইতের" অনুসরণের আদেশ, এবং দ্বিতীয়টি ছিল "ইমাম আলী(আ.) এর অভিষেক", অর্থাৎ হযরত আলী (আ.) কে মুসলিম জাতির মওলা ঘোষণা করা। [মওলা শব্দের অনেক অর্থ হয়, যেমন মনিব, দাস, বন্ধু, অভিভাবক, শাসক ইত্যাদি।] "কুরআন ও আহলে বাইত" বিভিন্ন সহীহ সূত্রে বর্ণিত, হাদীসে সাকালাইন নামে পরিচিতি এই হাদীসের মূল কথাটি মোটামুটি এরকম: নবীজি (সা.) বললেন, "আমি তোমাদের মাঝে দুটি গুরুত্বপূর্ণ/ভারী/মূল্যবান বস্তু রেখে যাচ্ছি, আমি দেখব তোমরা এর সাথে কী আচরণ করো।" এরপর তিনি বললেন, "একটি হলো আ

বাংলাদেশ - সুইসাইড

বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার মানুষ সুইসাইড করে। দশ হাজার!! এর মাঝে মেজরিটিই ইয়াং ছেলেমেয়ে। যে মানুষটা হারিয়ে গেল তো হারিয়েই গেল। দু'দিন দুঃখ প্রকাশ করে সবাই চলে যাচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে প্রচুর সুইসাইড হয়। বহুবছর তারা এর প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়নি। "যে মারা গেল তো গেল, আমরাতো বেঁচে আছি, ফূর্তি করছি" -- এটা ছিল তাদের মেন্টালিটি। পরবর্তীতে যখন বছর বছর পরিসংখ্যান প্রকাশ হতে শুরু করলো, তখন দেখা গেল যে সমাজের সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ শ্রেণী, ইয়াং জেনারেশানের মাঝে সুইসাইড রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে, তখন তারা বিষয়টা আমলে নিলো। কেননা, এরাই ভোগ-বিলাসের এই পশ্চিমা দুনিয়াকে সচল রাখে। পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই ইয়াং ছেলেমেয়ে সবচে বেশি আউটপুট দেয় সমাজ / রাষ্ট্রকে। এই কারণে পশ্চিমা বিশ্ব সতর্ক হয়েছে, সুইসাইড প্রিভেনশান সেন্টার খুলেছে; "আহারে, মানুষ তো!" -- এমন কোনো মানবিকতা থেকে নয়। পর্নোগ্রাফির মাফিয়ারা যেমন ইয়াং ছেলেমেয়েরা যেখানে জড়ো হয়, সেই জায়গায় গিয়ে হাজির হয়, তেমনি এখন সুইসাইড প্রিভেনশান সেন্টারগুলো ইয়াং ছেলেমেয়েদের পিছু নেয়ার মত করে তাদের সামনে হাজির হবা

ইসলাম -- কুরবানি, ইমামত

আল্লাহ তায়ালা ইব্রাহিম (আ.) এর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নেন, যার মাঝে "পুত্র ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি" করার ঘটনাটিকে প্রতি বছর আমরা স্মরণ করি। এই কুরবানির ঈদ থেকে কেউ এমন শিক্ষা গ্রহণ করেন যে, "বনের পশুর পাশাপাশি সাথে মনের পশুকেও কুরবানি করতে হবে" -- অথচ যদিও ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য এটা "মনের পশু কুরবানি" ছিল না। তবুও, এটাকে কেন্দ্র করে কেউ যদি প্রতি কুরবানির ঈদে আত্মশুদ্ধি ও আত্মত্যাগের শিক্ষা নিতে চায় তো সেটা অবশ্যই ভালো। আবার কেউ এমন শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারেন যে, ইব্রাহিম (আ.) বনের প শুও নয়, মনের পশুও নয়, কুরবানি করেছিলেন মায়া। কেননা, ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) -- দুইজনই ছিলেন নিষ্পাপ। পিতা-পুত্রের নিষ্পাপ বিশুদ্ধ ভালোবাসার এক মায়াময় সম্পর্ক ছিল তাঁদের মাঝে। সেই "প্রিয়বস্তুকে" ইব্রাহিম (আ.) কুরবানি করেছেন, তাহলে আল্লাহর পথে চলতে গিয়ে আমাদের প্রিয়বস্তু, প্রিয়ব্যক্তিদের যদি ছেড়ে যেতেও হয়, তবে যেন আমরা তা করতে পারি -- এটাই হয়ত কুরবানির শিক্ষা! আবার আরেকটি চিন্তা করার বিষয় এটাও হতে পারে যে, পরপর অনেকগুলি পরীক্ষায় ইব্রাহিম (আ.) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, পু

ইসলাম - মজলুম

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যুক্তিবিবর্জিত গোঁড়া মানুষদেরকে আনফলো দিতে দিতে নিউজ ফিড এখন প্রায় সেকুলার হয়ে গেছে। অথচ সেসব অন্ধবিশ্বাসী ধার্মিকদের সাথে আমরা একই দুঃখ শেয়ার করি। তাদের রক্তও লাল। এই মানুষদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উত্তম, নতুবা গোঁড়ামি-অন্ধত্বের মোকাবিলা করতে গিয়ে আত্মিক প্রশান্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবু তারা মানুষ, এবং যখন সে মজলুম, তখন আমি তার জন্যে দোয়া করি। এ আমার ধর্মের শিক্ষা। সেকুলার মানুষদের দোষগুলো এক্সপোজড, এবং আগে থেকেই জানা। তাদের সাথে তাই সহজে চলা যায়। কিন্তু তবুও, যখন খোদায় বিশ্বাসী কোনো মজলুম আর্তনাদ করে -- আল্লাহ! তখন আমি বলি, তুমি আমার ভাই। আমাদের ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব, সে আমি অস্বীকার করি না। তবু তুমি আমার ভাই। আমরা এক খোদার উপাসনা করি। আল্লাহ তোমাদেরকে জুলুম থেকে মুক্তি দিন। আল্লাহ তোমাদেরকে কামিয়াব করুন। তোমরা ভালো থেকো। আল্লাহর আরশের ছায়ায় দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।