সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাবির হলে ট্রাঙ্ক থেকে নবজাতক শিশু উদ্ধার

এই মানব সন্তান কোনো সন্ত্রাসীর গুলিতে মরেনি। সন্তান জন্ম দিয়ে তাকে ট্রাঙ্কের ভিতরে আটকে রেখে মেরে ফেলেছে মা, বয়ফ্রেন্ড নিরুদ্দেশ। বাঙালি মুসলমানেরা তাদের সমাজে বিয়েকে কঠিন করে দিয়েছে, ফলস্বরূপ যেনা-ব্যাভিচার সহজ হয়ে গিয়েছে। ১৬ কোটি মুসলমানের দেশে প্রতিবেলায় একটা না, আট-দশটা মসজিদ থেকে পরপর আজান শোনা যায়। তারপর টুপি মাথায় দিয়ে বাপেরা মসজিদে যায়, মায়েরা ঘরে জায়নামাজে বসে সন্তানের উচ্চ ক্যারিয়ারের জন্য দোয়া করতে থাকে, আর তাদের সন্তানেরাই পাশের রুমে কিংবা মেসে, কিংবা ভার্সিটির হলে কিংবা কোনো ফ্ল্যাটে গুনাহ করতে থাকে। আর তাদের বাপ-মায়েরা তসবিহ টিপতে থাকে…। এই বাপ-মায়েরা বেহেশতে যাবে না তো কারা যাবে? খেরেস্তান-নাস্তেকরা? ৯৫% নাস্তিকদের দেশে থাকতেছি কয়েক বছর। এসব দেশে বিয়ে আর লিভ টুগেদার এর খুব একটা পার্থক্য নেই সামাজিকভাবে। একদিনে পরিচয় হয়, হুট করে পরদিন বিছানায়, দুইদিন পর কেউ কাউকে চেনে না -- নতুন কারো সন্ধান করছে, এমনটা অহরহ হয়। এখানে আমরা স্টুডেন্ট ডর্মিটরিতে থাকি, পাশের রুমের বিদেশী ছেলেরা নিত্য নতুন বান্ধবী নিয়ে আসে, তাদের 'সুখচিৎকারের' (!) শব্দ শোনা যায়, রাস্তায় বের হলে ছেল

হিপোক্রেসি ও ডাবল-স্ট্যান্ডার্ড

মার্চ, ২০১৯। নিউজিল্যান্ডে মুসলিমবিদ্বেষী সন্ত্রাসী কর্তৃক অর্ধশত মুসলিমকে গুলি করে হত্যা। প্রতিক্রিয়া: বিশ্ব মুসলিম শোকাহত। হজ্জ্ব মওসুম, ১৯৮৭। ইজরাইলবিরোধী শ্লোগান দেয়ার 'অপরাধে' সৌদি পুলিশ কর্তৃক চার শতাধিক হাজীকে সরাসরি গুলি করে হত্যা। রক্তাক্ত পবিত্র কাবা প্রাঙ্গন। প্রতিক্রিয়া: বিশ্ব মুসলিম নীরব। কারণ ওদেরকে 'শিয়া' ট্যাগ দিয়েছে সৌদি সরকার, আর শিয়া তো মারা যেতেই পারে! ৫ই মে, ২০১৩। বাংলাদেশের শাপলা চত্বরে লাইট নিভিয়ে মিডিয়া বন্ধ করে অগুনতি মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা, লাশ গুম। প্রতিক্রিয়া: বহু বাঙালি মুসলমান নীরব; কারণ ওদেরকে 'জামাত-শিবির-হেফাজত' ট্যাগ দিয়ে দিয়েছে সরকার, আর "একটা দুইটা শিবির ধরে", "ধইরা ধইরা জবাই করে", "সকাল-বিকাল নাস্তা" তো করা যেতেই পারে! অক্টোবর, ২০১৬। ইয়েমেনী হুথিরা মক্কাকে উদ্দেশ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে, সৌদি আরবের মিথ্যা দাবী; হুথি 'বিদ্রোহী'দের প্রতি নিন্দা জানিয়ে "প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা" নিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের। অথচ এই ইয়েমেনীদেরকে এমনকি জানাজার নামাজে বম্বিং করেও হত্যা করে

আবেগভিত্তিক বনাম তথ্যভিত্তিক অবস্থান

অধিকাংশ মানুষই আবেগভিত্তিক অবস্থান গ্রহণ করে থাকেন। নিউজিল্যান্ডে এক সন্ত্রাসী নামাজরত মুসল্লিদেরকে গুলি করে শহীদ করেছে, এটা হলো তথ্য। আবেগভিত্তিক অবস্থান গ্রহণ করে বহু মানুষ অনলাইনে বলছে যে, এখন কেন পশ্চিমা মিডিয়া উক্ত হামলাকারীকে সন্ত্রাসী জঙ্গী ইত্যাদি বলছে না? অথচ একটু চিন্তা করলেই কতগুলো বিষয় ফুটে উঠবে, এবং আপনি তথ্যভিত্তিক শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করতে পারবেন। যেমন: জঙ্গী, মৌলবাদী, টেরোরিস্ট ইত্যাদি শব্দকে একটি বিশেষ পারিভাষিক রূপ দিয়েছে শয়তানি (পশ্চিমা ও অন্যান্য) মিডিয়া: আর তা হলো, দাড়ি-টুপি পরিহিত সশস্ত্র মুসলিম। অথচ পৃথিবীর প্রতিটা মানুষেরই আত্মরক্ষার্থে সশস্ত্র হবার অধিকার আছে, এবং যুদ্ধে-শান্তিতে সদা-সর্বদা সশস্ত্র সামরিক প্রস্তুতি মুসলমানদের উপর ফরজ (কুরআন)। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া দীর্ঘদিন ধরে উক্তি শব্দগুলোকে একটি বিশেষ পারিভাষিক রূপ দিয়েছে; এবং ততদিন আমরা চুপ ছিলাম। এখন আমরা আবার তাদেরকে দোষারোপ করছি যে, কেন তারা উক্ত শব্দগুলো এই মসজিদে হামলাকারীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে না? দেখুন, এর সবটাই তথ্যসন্ত্রাস। এইযে জঙ্গি, মৌলবাদী, জিহাদী, জিহাদী বই, ইত্যাদি শব্দকে যে মুসলিমবিরোধী