সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইলেকশান ভাবনা, ২০১৮

১. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক ভিডিও বক্তব্যে বলেছেন, "আপনি যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই ভোট দিন, তবু ভোটকেন্দ্রে যান, ভোট দিন।" এটা পলিটিকালি ম্যাচিউরড একটি বক্তব্য। তবে আমি সেই দিনটির আশা করি, যেদিন এই ম্যাচিউরিটিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে তারা বলবেন, "মার্কা নয়, ব্যক্তি বিবেচনা করে ভোট দিন।" ২. বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক স্ট্রাকচারটাই একটা স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচার। এক ব্যক্তি (হাসিনা/ খালেদা) ডিসাইড করেন ৩০০ আসনে কাদের মধ্য থেকে এমপি আসবে, মন্ত্রী কারা হবে, প্রেসিডেন্ট কে হবে, সশস্ত্র তিন বাহিনীর প্রধান কারা হবে, পুলিশের প্রধান কে হবে, বিচার বিভাগের প্রধান কে হবে, এবং … সংসদ নেতা কে হবে (হাসিনা / খালেদা)। লীগ-দল রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাকিয়ে দেখেন: একটি ব্যক্তি কার্যতঃ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে/ করে। আর এরকম স্বৈরতান্ত্রিক সিস্টেমে কে দেশ শাসন করবে, তাই নিয়েই ৫ বছর পরপর উত্তেজনা তৈরী হচ্ছে। একটি 'স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারে' যদি ভালো লোক বসে, তাহলে ক্ষতি নেই খুব বেশি, কিন্তু যদি কোনো খারাপ লোকের হাতে পড়ে, তাহলে সে এই স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার

Prophetic Diet Challenge

আমি অনেক বড় (matured, adult) মানুষকে দেখেছি, সত্যিকার অর্থেই খাবারের লোভ করতে। কোনো সুস্বাদু খাবার ভাগে কম পড়ার কারণে রাগারাগি করতে। কিংবা খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় রাগে গজগজ করতে। এইযে খাদ্যের লোভ, ইংরেজিতে যাকে gluttony (গ্লাটনি) বলে, এইটা কিভাবে ম্যাচিউরড অ্যাডাল্টদের মাঝে এত নির্লজ্জভাবে প্রকাশ পেতে পারে? আল্লাহ না করুন, আপনার-আমার মাঝেও হয়ত কমবেশি ‘নির্লজ্জ খাদ্যলোভ’ বিদ্যমান রয়েছে। এমতাবস্থায় আমি দুটো কারণে এই বিষয়ের দিকে নজর দিতে অনুরোধ করব। এক. মানসিক দুর্বলতা, অশান্তি, হতাশা ইত্যাদি নানান আত্মিক-মানসিক সমস্যার গোড়ায় রয়েছে ভুল খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্যলোভ; কিন্তু দেহ ও মনের যে সংযোগ আছে, তা অধিকাংশ সময় ভুলে থাকার কারণে আমাদের এই পদ্ধতিতে (অর্থাৎ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে) আত্মিক-মানসিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়ে ওঠে না। দুই. ভুল খাদ্যাভ্যাস নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতার কারণ। একটা চার চাকার গাড়ির বিভিন্ন চাকা লোভের কারণে বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন সাইজ ধারণ করলে গাড়িটা আর চলতে পারে না, স্থবির হয়ে পড়ে, বড়জোর একই জায়গায় চক্কর খেতে থাকে। একারণেই দীর্ঘদিন যাবত আত্মিক-মানসিক অশান্তি-অসুখ-দু

আমাদের রাজনীতি সিরিজ

হিজরি সনের প্রথম মাস, মহররম। পশ্চিমাদের অর্থহীন 'happy new year' বলার মত করে অনেকে দেখছি 'হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা' জানাচ্ছেন। আমরা জানতে চাই, এই আনন্দ কিসের? যদি এই আনন্দ এটা হয় যে, এই মহররম মাসেই ইসলাম জিন্দা হয়েছে, যার ফলে আমরা আজ নিজেদেরকে মুসলিম বলতে পারছি, নাহলে এই আলোটুকুও নিভে যেত -- তবে হ্যাঁ, তা এক বিবেচনায় আনন্দের হতে পারে বটে, তবে একইসাথে তা শতগুণ বেদনার: কারবালার ময়দানে ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর পবিত্র রক্তে ইসলামকে জিন্দা করে দিয়ে গেছেন এই মহররম মাসেই। কিন্তু মহররমের এই 'যিবহিন আজীম' তথা মহান উৎসর্গ, যার বিনিময়ে ইব্রাহীম (আ.) তাঁর পুত্রকে ছুরির নিচে নিয়েও ফিরে পেলেন, যাঁর স্মরণে আমাদের কুরবানি আর কুরবানির ঈদ -- সেই হুসাইনকে (আ.) ভুলে আর হুসাইনের জিন্দা করা ইসলামকে ভুলে যদি আপনি 'হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা' বলেন আর প্রচার করেন, তবে আফসোস! এজিদের দরবারেরও তো 'আলেম' ছিল! যাহোক, রাসুল (সা.) এর ইন্তেকালের পর 'ইসলামী সেক্যুলারিজমের' সূত্রপাত হয়। মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সার্বিক নেতৃত্বের পদ