১.
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক ভিডিও বক্তব্যে বলেছেন, "আপনি যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই ভোট দিন, তবু ভোটকেন্দ্রে যান, ভোট দিন।" এটা পলিটিকালি ম্যাচিউরড একটি বক্তব্য। তবে আমি সেই দিনটির আশা করি, যেদিন এই ম্যাচিউরিটিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে তারা বলবেন, "মার্কা নয়, ব্যক্তি বিবেচনা করে ভোট দিন।"
২. বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক স্ট্রাকচারটাই একটা স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচার। এক ব্যক্তি (হাসিনা/ খালেদা) ডিসাইড করেন ৩০০ আসনে কাদের মধ্য থেকে এমপি আসবে, মন্ত্রী কারা হবে, প্রেসিডেন্ট কে হবে, সশস্ত্র তিন বাহিনীর প্রধান কারা হবে, পুলিশের প্রধান কে হবে, বিচার বিভাগের প্রধান কে হবে, এবং … সংসদ নেতা কে হবে (হাসিনা / খালেদা)। লীগ-দল রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাকিয়ে দেখেন: একটি ব্যক্তি কার্যতঃ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে/ করে। আর এরকম স্বৈরতান্ত্রিক সিস্টেমে কে দেশ শাসন করবে, তাই নিয়েই ৫ বছর পরপর উত্তেজনা তৈরী হচ্ছে।
একটি 'স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারে' যদি ভালো লোক বসে, তাহলে ক্ষতি নেই খুব বেশি, কিন্তু যদি কোনো খারাপ লোকের হাতে পড়ে, তাহলে সে এই স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলে ফেলবে। বিগত দশ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে; তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষ মুক্তি চাইছে; অতএব এবারে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় না-ও আসতে পারে। কিন্তু তারপর অবশ্যই দেশের এই 'দলীয় রাজনীতির স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারকে' সাংবিধানিকভাবেই বদলাতে হবে। এটা করতে না পারলে ভবিষ্যতে আবারও স্বৈরশাসকের শাসন জেঁকে বসতে পারে।
৩.
বিগত বারো বছরের কথা চিন্তা করলে অনেক কিছুই চোখে ভাসে:
লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে লাশের উপর নাচ,
৫৭ জন সেনা অফিসারের লাশ,
শাহবাগ নাটক ও নাস্তিকদের উত্থান,
'বিশ্বজিতের লাল শার্ট',
শাপলা চত্বর,
নিরপরাধ মানুষদের বিচারিক হত্যাকাণ্ড,
টিভি-পত্রিকা অফিস সিলগালা, মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার,
নিয়মিত গুম-খুন,
ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা,
কিশোর ছেলের চোখ উপড়ে নেয়া,
সাতক্ষীরায় গুলিতে ঝাঁঝরা বাড়িঘর, পুড়িয়ে দেয়া গবাদিপশু,
হাতুড়ি দিয়ে মানুষ পেটানো, স্কুল বাচ্চাদের উপর জুলুম…
ব্যাঙ্কগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট… আরো, আরো অনেক কিছু…
৪.
সবরকম জালিমের হাত থেকে আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কাশ্মিরে,
ইয়েমেন, সৌদি আরব, বাহরাইনে,
ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিনে,
নাইজেরিয়া, লিবিয়া, মিশরে…
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক ভিডিও বক্তব্যে বলেছেন, "আপনি যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই ভোট দিন, তবু ভোটকেন্দ্রে যান, ভোট দিন।" এটা পলিটিকালি ম্যাচিউরড একটি বক্তব্য। তবে আমি সেই দিনটির আশা করি, যেদিন এই ম্যাচিউরিটিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে তারা বলবেন, "মার্কা নয়, ব্যক্তি বিবেচনা করে ভোট দিন।"
২. বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক স্ট্রাকচারটাই একটা স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচার। এক ব্যক্তি (হাসিনা/ খালেদা) ডিসাইড করেন ৩০০ আসনে কাদের মধ্য থেকে এমপি আসবে, মন্ত্রী কারা হবে, প্রেসিডেন্ট কে হবে, সশস্ত্র তিন বাহিনীর প্রধান কারা হবে, পুলিশের প্রধান কে হবে, বিচার বিভাগের প্রধান কে হবে, এবং … সংসদ নেতা কে হবে (হাসিনা / খালেদা)। লীগ-দল রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাকিয়ে দেখেন: একটি ব্যক্তি কার্যতঃ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে/ করে। আর এরকম স্বৈরতান্ত্রিক সিস্টেমে কে দেশ শাসন করবে, তাই নিয়েই ৫ বছর পরপর উত্তেজনা তৈরী হচ্ছে।
একটি 'স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারে' যদি ভালো লোক বসে, তাহলে ক্ষতি নেই খুব বেশি, কিন্তু যদি কোনো খারাপ লোকের হাতে পড়ে, তাহলে সে এই স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলে ফেলবে। বিগত দশ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে; তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষ মুক্তি চাইছে; অতএব এবারে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় না-ও আসতে পারে। কিন্তু তারপর অবশ্যই দেশের এই 'দলীয় রাজনীতির স্বৈরতান্ত্রিক স্ট্রাকচারকে' সাংবিধানিকভাবেই বদলাতে হবে। এটা করতে না পারলে ভবিষ্যতে আবারও স্বৈরশাসকের শাসন জেঁকে বসতে পারে।
৩.
বিগত বারো বছরের কথা চিন্তা করলে অনেক কিছুই চোখে ভাসে:
লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে লাশের উপর নাচ,
৫৭ জন সেনা অফিসারের লাশ,
শাহবাগ নাটক ও নাস্তিকদের উত্থান,
'বিশ্বজিতের লাল শার্ট',
শাপলা চত্বর,
নিরপরাধ মানুষদের বিচারিক হত্যাকাণ্ড,
টিভি-পত্রিকা অফিস সিলগালা, মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার,
নিয়মিত গুম-খুন,
ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা,
কিশোর ছেলের চোখ উপড়ে নেয়া,
সাতক্ষীরায় গুলিতে ঝাঁঝরা বাড়িঘর, পুড়িয়ে দেয়া গবাদিপশু,
হাতুড়ি দিয়ে মানুষ পেটানো, স্কুল বাচ্চাদের উপর জুলুম…
ব্যাঙ্কগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট… আরো, আরো অনেক কিছু…
৪.
সবরকম জালিমের হাত থেকে আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কাশ্মিরে,
ইয়েমেন, সৌদি আরব, বাহরাইনে,
ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিনে,
নাইজেরিয়া, লিবিয়া, মিশরে…
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন