সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Prophetic Diet Challenge

আমি অনেক বড় (matured, adult) মানুষকে দেখেছি, সত্যিকার অর্থেই খাবারের লোভ করতে। কোনো সুস্বাদু খাবার ভাগে কম পড়ার কারণে রাগারাগি করতে। কিংবা খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় রাগে গজগজ করতে। এইযে খাদ্যের লোভ, ইংরেজিতে যাকে gluttony (গ্লাটনি) বলে, এইটা কিভাবে ম্যাচিউরড অ্যাডাল্টদের মাঝে এত নির্লজ্জভাবে প্রকাশ পেতে পারে?
আল্লাহ না করুন, আপনার-আমার মাঝেও হয়ত কমবেশি ‘নির্লজ্জ খাদ্যলোভ’ বিদ্যমান রয়েছে।

এমতাবস্থায় আমি দুটো কারণে এই বিষয়ের দিকে নজর দিতে অনুরোধ করব। এক. মানসিক দুর্বলতা, অশান্তি, হতাশা ইত্যাদি নানান আত্মিক-মানসিক সমস্যার গোড়ায় রয়েছে ভুল খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্যলোভ; কিন্তু দেহ ও মনের যে সংযোগ আছে, তা অধিকাংশ সময় ভুলে থাকার কারণে আমাদের এই পদ্ধতিতে (অর্থাৎ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে) আত্মিক-মানসিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়ে ওঠে না।
দুই. ভুল খাদ্যাভ্যাস নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতার কারণ।

একটা চার চাকার গাড়ির বিভিন্ন চাকা লোভের কারণে বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন সাইজ ধারণ করলে গাড়িটা আর চলতে পারে না, স্থবির হয়ে পড়ে, বড়জোর একই জায়গায় চক্কর খেতে থাকে।
একারণেই দীর্ঘদিন যাবত আত্মিক-মানসিক অশান্তি-অসুখ-দুঃখ-কষ্টে ভুগেও মানুষ এর থেকে বের হতে পারে না, কারণ সে তার আত্মার বাহন দেহটাকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারেনি: খাদ্য, ঘুম, গোসল ও পোষাকের সঠিক নিয়ম মেনে চলেনি।

আত্মিক দৃঢ়তা ও প্রশান্তি অর্জনের লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ইসলাম মানুষের দেহকে মেইনটেইন করার বিভিন্ন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিধান দিয়েছে, যার মাঝে খাদ্য সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো। আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকতার চর্চাকারীদের জন্য এগুলো অপরিহার্য তো বটেই, তবে জেনারেলি যেকোনো মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হতে পারবে। বিগিনার, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্সড -- এই তিনটি স্তরে ভাগ করে লিখেছি।

Beginner Level (4 weeks):

১. হালাল খাবার
২. যেকোনো খাদ্য ও পানীয়ের শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
৩. প্রতি সপ্তাহে একদিন (সোম/ বৃহস্পতি) রোজা থাকা।

Intermediate Level (4 weeks):

১. হালাল খাবার
২. যেকোনো খাদ্য ও পানীয়ের শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
৩. সাপ্তাহিক দুটি রোজা (সোম ও বৃহস্পতি)
৪. পেট ভরে না খাওয়া (ক্ষুধা থাকা অবস্থাতেই খাওয়া শেষ করা: পেটের তিনভাগের একভাগ খাবার, একভাগ পানি, একভাগ খালি)।
৫. একা একা না খাওয়া (যথাসম্ভব পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু বা মেহমানের সাথে একত্রে বসে খাওয়া)।
৬. খুব গরম বা খুব ঠাণ্ডা কিছু না খাওয়া।
৭. ‘তিন বেলা’ খাওয়ার রুটিন ভঙ্গ করা (অর্থাৎ, কেবল ক্ষুধা লাগলে খাওয়া, সেটা দিনের যেই টাইমেই হোক না কেন)।

Advanced Level (give a try of 4 weeks, then try to continue):

১. হালাল খাবার (সূক্ষ্ম সতর্কতা অবলম্বন করে। যেমন, যেকোনো হারাম উপার্জন থেকে ক্রয়কৃত খাদ্য না খাওয়া, ইত্যাদি। একজন ওস্তাদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত সবগুলো বিষয় জেনে নিতে হবে।)
২. প্রতি লোকমার শুরুতে-শেষে বিসমিল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ, প্রতি ঢোক পানীয়ের শুরু-শেষেও একই নিয়ম (সশব্দে না বললেও হবে)।
৩. এক (খোলা) মুঠিতে যতটুকু খাবার ধরে, সর্বোচ্চ ততটুকু বা তার কম খাওয়া। অবশ্যই ক্ষুধা থাকতেই খাওয়া শেষ করা।
৪. শুধু এক আইটেম দিয়ে ভাত / রুটি খাওয়া।
৫. এক দিনে সর্বোচ্চ দুই বেলা খাওয়া (যেকোনো এক বেলা + রাতে)।
৬. শুধু ক্ষুধা লাগলে খাওয়া (দিনে যতবারই ক্ষুধা লাগুক, সর্বোচ্চ মোট দুইবার)।

৭. সপ্তাহে দুই দিন (সোম ও বৃহস্পতি) রোজা থাকা। আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা থাকা।
৮. মিষ্টি (preferably খেজুর) অথবা হালকা গরম পানি দিয়ে রোজা খোলা।
৯. একা একা না খাওয়া। মেহমানের আগে খাওয়া শুরু করা ও মেহমানের পরে খাওয়া শেষ করা (কিন্তু বেশি না খাওয়া। অতএব, ধীর গতিতে খাওয়া)।
১০. খুব গরম / খুব ঠাণ্ডা খাবার না খাওয়া।

১১. দিনে বড়জোর দুইবেলা খাওয়া পড়বে, প্রতিবেলায় সর্বোচ্চ (খোলা) এক মুঠ পরিমাণ খাবার (রুটি/ ভাত), এবং এক পদের তরকারি / আইটেম দিয়ে। সেগুলো হতে পারে বিভিন্ন সবজি, দুধ, এবং অকেশনালি ছাগলের মাংস। তেল হিসেবে অলিভ অয়েল। খেজুর, কিসমিস।
…………………………………………………
যেকোনো লেভেল চার সপ্তাহ প্র্যাকটিস করলে আপনার দেহ-মনের উপর এর প্রভাব নিজেই লক্ষ্য করবেন। আর টানা আট সপ্তাহ (দুই মাস) চর্চা করলে অভ্যাসটাকে স্থায়ী করে নিতে পারবেন (যেই লেভেলই হোক না কেন)।
…………………………………………………
লক্ষ্যণীয়, ইসলাম দেহের যত্ন ও পরিচালনা নিয়ে অতি সূক্ষ্ম বিধান দিয়েছে আমাদেরকে। এই বিধান যিনি ডিজাইন করেছেন, তিনি ‘আত্মার সর্বোচ্চ কল্যাণ’ বিষয়টা খেয়াল রেখেই বিধান দিয়েছেন।

পক্ষান্তরে, আত্মাকে হিসেব না করে যদি কেউ মানবদেহের জন্য গোসল-খাওয়া-ঘুমের ‘মেডিকেল’ বিধান নির্ণয় করে, তাহলে সেটা আমাদের ইসলাম-প্রদত্ত বিধানের সাথে কমবেশি মিলতেও পারে, না-ও পারে।
…………………………………………………
উপরের advanced level এর নিয়মগুলো পড়ে কারো মনে সন্দেহ জাগলে বা ‘এইটা সম্ভব না’ -- এরকম মনে হলে কেবল এতটুকু বলতে চাই যে, এই অ্যাডভান্সড লেভেলটা আমার বানানো কিছু নয়, বরং রাসুল (সা.) এর দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস মাত্র। এমনটা খেয়েই তিনি সুস্থ দেহের অধিকারী ছিলেন, ময়দানে যুদ্ধ পর্যন্ত করেছেন। এরপরও যদি মনে করেন ঐ ধরণের ডায়েটে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন, তাহলে আবার চিন্তা করুন। খাদ্যের প্রতিটা অনু-পরমানুর উপর যাঁর সুপ্রিম কমান্ড, তাঁর পক্ষ থেকে বরকত পেলে অল্প খাবারেই আপনার সবকিছু ‘পারফেক্ট’ থাকবে।

রাসুল (সা.) বলেছেন, “মুসলিম খায় এক পাকস্থলীতে, আর কাফির খায় সাত পাকস্থলীতে।”
আফসোস এই ১:৭ রেশিও কোথাও দেখা যায় না, বরং আমরা মুসলমানরাও অন্যদের সাথে ১:১ রেশিওতে তাল মিলিয়ে গলা পর্যন্ত খাই! :'(
…………………………………………………
এরপরও যদি কেউ বলেন যে, ঐ অ্যাডভান্সড ডায়েট কেবল রাসুল (সা.) এর পক্ষেই সম্ভব ছিল, তাহলে হয়ত আমি অন্য কোনো ব্যক্তির উদাহরণ দিতে পারতাম, কিন্তু নবীর নাম উচ্চারণের পর আর কারো নাম উচ্চারণ মানায় না।

প্রফেটিক ডায়েট চ্যালেঞ্জ কৌতুহলবশতঃ হলেও চার সপ্তাহের জন্য গ্রহণ করে দেখতে পারেন। যেকোনো একটা লেভেল choose করুন। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি, you will love it.



…………………………………………………………………………………

1. Halal, start with Bismillah, end with Alhamdulillah
2. Drink water in small amounts, same for food
3. Eat with guests
4. One item per meal is preferable, same for drinks
5. When to eat: "Eat only when you are hungry, and stop eating while you are hungry." (Two meals including dinner)
6. 1/3 of stomach food, 1/3 water, 1/3 free. But few morsels is preferable.
7. Only lukewarm food/drink
8. Break fast with sweets, if not available, then with lukewarm water
9. Barley bread, whole wheat bread
10. Cucumber, Yogurt, Dates, Milk, Vinegar, Oil, Sawik, Meat -- food of the prophets + লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ধুন্দল, করলা এজাতীয় সবজি
11. Meat -- cooked in water or roasted, ships leg preferable
12. Honey, Raisins
13. Four qualities of food: Halal, Eat with people, start with Bismillah, end with Alhamdulillah
14. Start before guests, finish after guests (eat slowly, perhaps?)
15. 13. "“Eat when you have an appetite for eating, and stop eating while you [still] have an appetite for it.”"
16. "The Imams recommended having two meals every day."
17. "“Eat dinner even if it is only a handful of low quality dates, because abandoning eating dinner brings about old age.”"
18. "Eating food with people brings about abundance. One person’s food portion is enough for two people, and two people’s food portion is enough for four."
19. Imam Baqir said, “The Prophet ate like servants and sat like them. And he ate and slept on the ground.”
20. Source: https://www.al-islam.org/message-thaqalayn/vol-14-no-2-summer-2013/eating-and-drinking-conduct-prophet-muhammad-mohammad-re-0

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ