সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নাস্তিক আর মুসলমান - এপিঠ-ওপিঠ পারস্পেক্টিভ

শাহবাগ ইস্যুতে বাংলাদেশী নাস্তিকরা মোটামুটি ফোকাসে এসেছিলো। কিন্তু ইনফরমেশানের যুগে প্রচুর মানুষ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের প্র্যাকটিস করছে। (আর সংবাদ জগত বলতে পরিচিত জায়গাগুলোতে মূর্খ অযোগ্য লোকেরা বসে বিভিন্ন দল-মতের পক্ষে চোখ বুঁজে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আর ভাবছে, তারা জিতে গেছে! কিন্তু মানুষ যে প্রথম আলোকে হলুদ আলো, ইত্যাদি বলছে বা অন্যান্য দল-মতের প্রচারযন্ত্রেরও মিথ্যাচার নানাভাবে ধরা পড়ে যাচ্ছে, তা তারা দেখলেও বুঝতে পারছে না। কাপড় গেছে খুলে, মুখোশ গেছে উন্মোচন হয়ে, তবু শেষ পর্যন্ত সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে মিশিয়ে প্রচার করে যেতেই হবে!) তো যা বলছিলাম। এখনকার "সাংবাদিক" নামধারীরা হয়ে গেছে শুদ্ধভাষায় মিথ্যা লেখার চাকুরিজীবি। অপরদিকে গুগল-ফেইসবুক-ইউটিউবে-স্মার্টফোনের কল্যাণে অনেক অ-সাংবাদিক সাধারণ মানুষ হয়ে উঠছেন ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট; হয়ত ভাষাগত যোগ্যতা কম, কিন্তু সত্য বের করে আনার কারণে তারা অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। ফেইসবুকে এমন অনেক individual এর দেখা পাওয়া যায়। তো, বাংলাদেশে নাস্তিকদের পদচারণা মূলতঃ মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত শিক্ষিত সমাজে। (কারণ নাস্তিকতা এমনই এক জিনি

টিনএজ ছেলেমেয়েদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস

আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এক বিশাল সমস্যা। টিনএজ থেকে ছেলেমেয়েদের ভিতরে নিজস্ব সত্ত্বা বা নিজ আইডেন্টিটির একটা বোধ তৈরী হতে থাকে। এসময়েই বিভিন্ন আসপেক্ট-এ তাকে উপযুক্ত আইডেন্টিটি পরিবার থেকে দিতে হয়, নতুবা শয়তান তার আইডেন্টিটি নির্ধারণ করে দেবে। পলিটিকালি অসচেতন / নিউট্রাল ফ্যামিলির সন্তান দেখা যায় ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে কোনো একটা পলিটিকাল সাইড choose করতে শুরু করে। কেন? কারণ সে দেখছে বন্ধুরা / উপরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা ওমুক দলের পক্ষে বিপক্ষে কথা বলছে। তাহলে আমি কোন দলের পক্ষে / বিপক্ষ ে? নিজের দিকে তাকিয়ে সে উত্তর পায় না। কেননা উত্তরটা তার ফ্যামিলি থেকে তাকে শিখিয়ে দেয়া হয়নি। তখন একপ্রকার অসহায়ত্বের সৃষ্টি হয়। এই অসহায় দুর্বল ফিলিংস থেকে অনেকেই খুব দ্রুত "জোর গলার শক্তিশালী" গ্রুপ / দলের ব্যানারের নিচে ভিড়তে শুরু করে। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা হয় the wrong choice. টিনএজার একটা ছেলে আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্দ্বের সামনে পড়ে অসহায় বোধ করে। বাসা থেকে তাকে শুধু বলে দেয়া হয়েছিল: তুমি মুসলিম। কিন্তু আধুনিক যুগে যে সন্তানকে নাস্তিক্যবাদ মোকাবিলা করতে হবে, তা পিতামাতা বোঝেন নাই, এমনকি সম্ভব

স্কুলছাত্র আদনান কবির হত্যা

উত্তরায় ক্লাস নাইনের এক ছেলেকে খুন করেছে বিরোধী গ্যাঙের ছেলেরা -- এই হলো সংবাদ। স্ক্রিনশটে ছেলেটার ফেইসবুক প্রোফাইল: Adnan Kabir (Smoke). আমি আসলেই জানতাম না  তরুণ ছেলেমেয়েরা, বিশেষতঃ অর্থবিত্ত সম্পন্ন ঘরের ছেলেমেয়েরা এতটাই অবাস্তব জগতে বাস করে! আজকেও হয়ত জানা হত না; নামাজ শেষে ঘুমাতে যাবার আগে একটু ফেইসবুক ওপেন করতেই  Masum  ভাইয়ের শেয়ার দেয়া নিউজ দেখলাম, তারপর ইন্টারনেটে আর ফেইসবুকে ঘন্টাখানেক ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। যতই পোস্ট দেখছি, লেখা পড়ছি, ভিডিও আসছে, ছবি দেখছি -- ততই আমার হৃদয় ভেঙে গেছে! হায় আল্লাহ! এই ছেলেদের বাবা-মায়ের কী হবে! আরো কত বাচ্চা এভাবে শেষ হয়ে যাবে? আমি কেবল একের পর এক পোস্ট দেখছি আর আল্লাহ আল্লাহ করছি: কিভাবে তরুণ প্রাণগুলোকে বাঁচানো যাবে!  :'( আমি দেশের বাইরে আছি বেশ অনেকদিন, একদিকে দেশের সাথে ডিফরেন্ট টাইম জোনে, আরেকদিকে পড়ার চাপ -- অনেক নিউজই জানতে পারি না, জানা হয়ে ওঠে না। আমার মনে পড়ছে গুলশানে হোলি আর্টিসান বেকারিতে যখন সন্ত্রাসী হামলা হলো, তখন আমি দিল্লীতে, হোটেলে বসে একটু পরপর ফেইসবুক পেইজ রিফ্রেশ দিচ্ছি আর আপডেট জানার চেষ্টা করছি! আর আজকে এখানে বসে যখন