আমার একজন জুনিয়র আমার ওয়ালে একটি প্রশ্ন পোস্ট করতে চেয়েছে। যেহেতু সেই অপশন
বন্ধ, তাই আমিই সেটা পোস্ট দিলাম (যেন তার বন্ধুরা দেখতে পায়, তার
অনুরোধে)।
প্রশ্ন: শিয়া মতাদর্শের মানুষদের মধ্যে দেখা যায় যে তারা হযরত আলী (রঃ) কেই বেশি প্রাধান্য দেয়।অথচ ইসলামের প্রসারে বা এর পিছনে অবদান অন্য ৩ খলিফার ও আছে।৪ খলিফাই ইসলামের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।অথচ শিয়ারা আলী (রঃ) কে আলী (আঃ) বলেন এবং ইমাম ভাবেন।আমার প্রশ্ন হলো (রঃ) আর (আঃ) এর মধ্যে পার্থক্য কি?আমাদের রাসুল কে (সঃ) আর অন্যান্য নবীদের ক্ষেত্রে (আঃ) ব্যাবহার করেন।নিশ্চই আলী (রঃ) ইসলাম এর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।কিন্তু অন্যান্য নবীগন কি তার থেকে উত্তম নন?ইসলামের প্রসারে চার খলীফার অবদান এ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি অবদান আবু বকর তারপর উমর তারপর উসমান তারপর আলী পর্যায় ক্রমে।তবে অন্য সবাইকে নিয়ে কেন তারা বলে না?শুধু আলী (রঃ) ই কি সব? আশাকরি সঠিক উত্তর পাবো।
.......................................................................................
উত্তর: প্রশ্নটি কোনো শিয়া আলেমের কাছে করলে ভালো হতো। আমি আলেমও নই, কিংবা নিজেকে শিয়া দাবী-ও করি না। তবে প্রশ্নটা আমার কাছে করেছেন সম্ভবতঃ একারণে যে, আমাকে শিয়া বলে মনে করেন। যাহোক, শিয়ারা কী মনে করে, সুন্নিরা কী মনে করে, ওহাবীরা কী মনে করে, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জানাটা কেবলমাত্র তাদের জন্যই উপযুক্ত, যারা আগে জানে, "খাঁটি ইসলাম" আসলে কী। অতঃপর আগ্রহ থেকে বিভিন্ন মাযহাব/দল/মতের উৎস, চিন্তাধারা বিভিন্ন হবার কারণ, ইতিহাস ইত্যাদি জানা যেতে পারে। আমি উক্ত scholarly আলোচনা করব না, কেননা আমি মনে করি যে, ইসলামের সংশ্লিষ্ট মৌলিক বিষয়ের আলোচনা আগে করা জরুরি। অতএব আমার উত্তর নিম্নরূপ:
--> বৈধ নেতৃত্বের শর্ত:
বৈধ নেতৃত্ব দুই প্রকার: You have to either be appointed by God, or elected by the people -- হয় আপনি আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত/নিযুক্ত হবেন, কিংবা জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। এবার নিম্নোক্ত পাঁচ ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত দুই শর্তের কোনগুলি পূরণ হয় আপনি লিখুন:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> নেতৃত্বের ধরণ:
একজন CEO একটি কোম্পানির নেতা। একজন পিতা একটি সংসারের নেতা। একজন প্রেসিডেন্ট একটি দেশের নেতা। একজন নবী তাঁর সকল অনুসারীর নেতা। কিন্তু --
আপনার বাবা যে কোম্পানিতে চাকরি করেন, সেখানের CEO এসে আপনার পিতার সংসারে নেতাগিরি করতে পারবে না। কিংবা দেশের প্রেসিডেন্টেরও ক্ষমতা নেই আপনার সংসারে এসে নেতাগিরি করার। অর্থাৎ, এসকল নেতৃত্বের নির্দিষ্ট সীমা আছে। কিন্তু --
একজন নবী CEO, প্রেসিডেন্ট, পিতা, পিতার সংসার ইত্যাদি সবার উপরে যেকোনো আদেশ দেবার ক্ষমতার অধিকারী হবেন, যদি তারা সকলেই মুসলিম হয়ে থাকেন। এবং উক্ত CEO, প্রেসিডেন্ট, পিতা, ইত্যাদি যেকোনো ব্যক্তির আদেশ/এখতিয়ারকে তিনি স্থগিত/সংকুচিত করে দিতে পারবেন। এবং তাদের যে কারো জান দাবী করলে তারা দিতে বাধ্য। অর্থাৎ, রাসুল (সা.) এর নেতৃত্ব একটি বিশেষ ধরণের নেতৃত্ব। এতে যে মাত্রায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেটা পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসকেরও সম্ভবতঃ নেই। তবে যেহেতু নবী আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত, সেহেতু তিনি স্বৈরশাসক নন, জালিম নন, বরং সকলের কল্যাণার্থেই তিনি এই সুবিশাল ব্যাপ্তিময় ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকেন। এবার, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার দৃষ্টিকোণ থেকে ও স্রষ্টা কর্তৃক মনোনীত হওয়া-না-হওয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে নিম্নোক্ত ৫ ব্যক্তির নেতৃত্বের ধরণ লিখুন:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> নেতৃত্বের মেয়াদ:
প্রেসিডেন্ট ততক্ষণ নেতৃত্বের অধিকারী, যতদিনের জন্য জনগণ তাকে নির্বাচিত করেছে। পিতা ততদিন সংসারের উপর কর্তৃত্বের অধিকারী, যতদিন সে সকলের ভরণপোষণ দিচ্ছে। CEO ততক্ষণ আপনার উপর কর্তৃত্বের অধিকারী, যতক্ষণ আপনি চাকরি করছেন।
কিন্তু নবীর নেতৃত্বের মেয়াদ আজীবন। মুসলমানদের উপর রাসুল (সা.) এর নেতৃত্ব আমৃত্যু। এবার নিম্নোক্ত ৫ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিখুন, কারা কারা ন্যায়সঙ্গতভাবে আজীবন নেতৃত্বের অধিকারী ছিল:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> নেতৃত্ব প্রয়োগের পূর্বশর্ত:
মানুষ মুহাম্মদ (সা.) কে মানুক বা না মানুক, তিনি কিন্তু নবী পদবীর অধিকারী। এর কারণ এই যে, এটা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত নেতৃত্ব। কিন্তু এই নেতৃত্ব রাসুল (সা.) তখনই প্রয়োগ করেছেন, এবং কেবলমাত্র তাদের উপরেই প্রয়োগ করেছেন, যারা তাঁকে মেনে নিয়েছে। আর যারা তাঁকে মেনে নেয়নি, তাদের উপর তিনি কোনো জোর জবরদস্তি করেননি। অতএব, দেখা যাচ্ছে, জনগণ কর্তৃক তাদের নেতাকে নিজে থেকে মেনে নেয়াটা নেতৃত্ব প্রয়োগের পূর্বশর্ত। তা না হলে সে এমনকি আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত নেতা হলেও নেতৃত্ব প্রয়োগ করতে পারবে না। এবার নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে লিখুন, তারা জনগণের উপর নেতৃত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে জনগণ আগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল কিনা, ইত্যাদি:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> আংশিক নেতৃত্ব:
একজন ব্যক্তি একইসাথে আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত নেতা ও জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নেতা হওয়া সম্ভব। যেমন, মুহাম্মদ (সা.)-কে মদীনাবাসী ডেকে নিয়েছিল যে আপনি আমাদের নেতা হোন, আমাদেরকে শাসন করুন। তখন রাসুল (সা.) সেখানে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি একইসাথে নবী হিসেবে নেতৃত্ব করেছেন এবং রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও নেতৃত্ব করেছেন। কিন্তু --
এমনটাও ঘটা সম্ভব যে, একজন 'আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত' নেতাকে জনগণ শুধু রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখলো ও শুধু রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মেনে নিলো, কিন্তু "আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত" হিসেবে চিনলো না। এখন নিম্নোক্ত ৫ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিখুন, কারা কারা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ছিলেন, এবং তারা রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণ নিরঙ্কুশভাবে তাদেরকে উভয়ভাবেই মেনে নিয়েছিল কিনা (আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ও রাষ্ট্রপ্রধান, উভয় হিসেবে):
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
..............................................................................................
উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি কমেন্টে দেব ইনশাআল্লাহ। তবে আপনারা প্রত্যেকে নিরপেক্ষভাবে চিন্তাভাবনা করে সিরিয়ালি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করুন। সেজন্যে যদি কিছুদিন সময় নিয়ে কিছু পড়াশুনা করতে হয়, করতে পারেন।
প্রশ্ন: শিয়া মতাদর্শের মানুষদের মধ্যে দেখা যায় যে তারা হযরত আলী (রঃ) কেই বেশি প্রাধান্য দেয়।অথচ ইসলামের প্রসারে বা এর পিছনে অবদান অন্য ৩ খলিফার ও আছে।৪ খলিফাই ইসলামের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।অথচ শিয়ারা আলী (রঃ) কে আলী (আঃ) বলেন এবং ইমাম ভাবেন।আমার প্রশ্ন হলো (রঃ) আর (আঃ) এর মধ্যে পার্থক্য কি?আমাদের রাসুল কে (সঃ) আর অন্যান্য নবীদের ক্ষেত্রে (আঃ) ব্যাবহার করেন।নিশ্চই আলী (রঃ) ইসলাম এর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।কিন্তু অন্যান্য নবীগন কি তার থেকে উত্তম নন?ইসলামের প্রসারে চার খলীফার অবদান এ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি অবদান আবু বকর তারপর উমর তারপর উসমান তারপর আলী পর্যায় ক্রমে।তবে অন্য সবাইকে নিয়ে কেন তারা বলে না?শুধু আলী (রঃ) ই কি সব? আশাকরি সঠিক উত্তর পাবো।
.......................................................................................
উত্তর: প্রশ্নটি কোনো শিয়া আলেমের কাছে করলে ভালো হতো। আমি আলেমও নই, কিংবা নিজেকে শিয়া দাবী-ও করি না। তবে প্রশ্নটা আমার কাছে করেছেন সম্ভবতঃ একারণে যে, আমাকে শিয়া বলে মনে করেন। যাহোক, শিয়ারা কী মনে করে, সুন্নিরা কী মনে করে, ওহাবীরা কী মনে করে, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জানাটা কেবলমাত্র তাদের জন্যই উপযুক্ত, যারা আগে জানে, "খাঁটি ইসলাম" আসলে কী। অতঃপর আগ্রহ থেকে বিভিন্ন মাযহাব/দল/মতের উৎস, চিন্তাধারা বিভিন্ন হবার কারণ, ইতিহাস ইত্যাদি জানা যেতে পারে। আমি উক্ত scholarly আলোচনা করব না, কেননা আমি মনে করি যে, ইসলামের সংশ্লিষ্ট মৌলিক বিষয়ের আলোচনা আগে করা জরুরি। অতএব আমার উত্তর নিম্নরূপ:
--> বৈধ নেতৃত্বের শর্ত:
বৈধ নেতৃত্ব দুই প্রকার: You have to either be appointed by God, or elected by the people -- হয় আপনি আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত/নিযুক্ত হবেন, কিংবা জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। এবার নিম্নোক্ত পাঁচ ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত দুই শর্তের কোনগুলি পূরণ হয় আপনি লিখুন:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> নেতৃত্বের ধরণ:
একজন CEO একটি কোম্পানির নেতা। একজন পিতা একটি সংসারের নেতা। একজন প্রেসিডেন্ট একটি দেশের নেতা। একজন নবী তাঁর সকল অনুসারীর নেতা। কিন্তু --
আপনার বাবা যে কোম্পানিতে চাকরি করেন, সেখানের CEO এসে আপনার পিতার সংসারে নেতাগিরি করতে পারবে না। কিংবা দেশের প্রেসিডেন্টেরও ক্ষমতা নেই আপনার সংসারে এসে নেতাগিরি করার। অর্থাৎ, এসকল নেতৃত্বের নির্দিষ্ট সীমা আছে। কিন্তু --
একজন নবী CEO, প্রেসিডেন্ট, পিতা, পিতার সংসার ইত্যাদি সবার উপরে যেকোনো আদেশ দেবার ক্ষমতার অধিকারী হবেন, যদি তারা সকলেই মুসলিম হয়ে থাকেন। এবং উক্ত CEO, প্রেসিডেন্ট, পিতা, ইত্যাদি যেকোনো ব্যক্তির আদেশ/এখতিয়ারকে তিনি স্থগিত/সংকুচিত করে দিতে পারবেন। এবং তাদের যে কারো জান দাবী করলে তারা দিতে বাধ্য। অর্থাৎ, রাসুল (সা.) এর নেতৃত্ব একটি বিশেষ ধরণের নেতৃত্ব। এতে যে মাত্রায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেটা পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসকেরও সম্ভবতঃ নেই। তবে যেহেতু নবী আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত, সেহেতু তিনি স্বৈরশাসক নন, জালিম নন, বরং সকলের কল্যাণার্থেই তিনি এই সুবিশাল ব্যাপ্তিময় ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকেন। এবার, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার দৃষ্টিকোণ থেকে ও স্রষ্টা কর্তৃক মনোনীত হওয়া-না-হওয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে নিম্নোক্ত ৫ ব্যক্তির নেতৃত্বের ধরণ লিখুন:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> নেতৃত্বের মেয়াদ:
প্রেসিডেন্ট ততক্ষণ নেতৃত্বের অধিকারী, যতদিনের জন্য জনগণ তাকে নির্বাচিত করেছে। পিতা ততদিন সংসারের উপর কর্তৃত্বের অধিকারী, যতদিন সে সকলের ভরণপোষণ দিচ্ছে। CEO ততক্ষণ আপনার উপর কর্তৃত্বের অধিকারী, যতক্ষণ আপনি চাকরি করছেন।
কিন্তু নবীর নেতৃত্বের মেয়াদ আজীবন। মুসলমানদের উপর রাসুল (সা.) এর নেতৃত্ব আমৃত্যু। এবার নিম্নোক্ত ৫ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিখুন, কারা কারা ন্যায়সঙ্গতভাবে আজীবন নেতৃত্বের অধিকারী ছিল:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> নেতৃত্ব প্রয়োগের পূর্বশর্ত:
মানুষ মুহাম্মদ (সা.) কে মানুক বা না মানুক, তিনি কিন্তু নবী পদবীর অধিকারী। এর কারণ এই যে, এটা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত নেতৃত্ব। কিন্তু এই নেতৃত্ব রাসুল (সা.) তখনই প্রয়োগ করেছেন, এবং কেবলমাত্র তাদের উপরেই প্রয়োগ করেছেন, যারা তাঁকে মেনে নিয়েছে। আর যারা তাঁকে মেনে নেয়নি, তাদের উপর তিনি কোনো জোর জবরদস্তি করেননি। অতএব, দেখা যাচ্ছে, জনগণ কর্তৃক তাদের নেতাকে নিজে থেকে মেনে নেয়াটা নেতৃত্ব প্রয়োগের পূর্বশর্ত। তা না হলে সে এমনকি আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত নেতা হলেও নেতৃত্ব প্রয়োগ করতে পারবে না। এবার নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে লিখুন, তারা জনগণের উপর নেতৃত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে জনগণ আগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল কিনা, ইত্যাদি:
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
--> আংশিক নেতৃত্ব:
একজন ব্যক্তি একইসাথে আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত নেতা ও জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নেতা হওয়া সম্ভব। যেমন, মুহাম্মদ (সা.)-কে মদীনাবাসী ডেকে নিয়েছিল যে আপনি আমাদের নেতা হোন, আমাদেরকে শাসন করুন। তখন রাসুল (সা.) সেখানে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি একইসাথে নবী হিসেবে নেতৃত্ব করেছেন এবং রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও নেতৃত্ব করেছেন। কিন্তু --
এমনটাও ঘটা সম্ভব যে, একজন 'আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত' নেতাকে জনগণ শুধু রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখলো ও শুধু রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মেনে নিলো, কিন্তু "আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত" হিসেবে চিনলো না। এখন নিম্নোক্ত ৫ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিখুন, কারা কারা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ছিলেন, এবং তারা রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণ নিরঙ্কুশভাবে তাদেরকে উভয়ভাবেই মেনে নিয়েছিল কিনা (আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ও রাষ্ট্রপ্রধান, উভয় হিসেবে):
১. মুহাম্মদ (সা.)
২. আবু বকর,
৩. উমার,
৪. উসমান,
৫. আলী (আ.)
..............................................................................................
উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি কমেন্টে দেব ইনশাআল্লাহ। তবে আপনারা প্রত্যেকে নিরপেক্ষভাবে চিন্তাভাবনা করে সিরিয়ালি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করুন। সেজন্যে যদি কিছুদিন সময় নিয়ে কিছু পড়াশুনা করতে হয়, করতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন