এটা সত্য যে, স্বৈরাচারী শাসক যখন স্বৈরাচারের চরমে পৌঁছে যায়, তখন তার পতন ঘনিয়ে আসে।
তবে স্বৈরাচারের পতন মানেই মুসলমানদের বিজয় নয়। সুতরাং, যারা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশা করে এক স্বৈরাচারীর পতনের সুখস্বপ্ন দেখছেন, তাদের উচিত বৃহত্তর ছবিটি দেখতে চেষ্টা করা।
'৭১ এ নিপীড়কের পতন হয়েছে, কিন্তু মুসলমানদের কষ্ট কমেনি।
'৭৫ এ এক স্বৈরশাসকের পতন হয়েছিলো, কিন্তু মুসলমানদের বিজয় আসেনি।
'৯০ এ আরেক স্বৈরশাসকের পতন হলো, কিন্তু মুসলমানরা রেহাই পায়নি।
২০১৩ তে আরেক স্বৈরাচারীর পতন হলেও আমাদের বিজয় আসবে না।
মুসলমানদের বিজয় নিজেদেরকে অর্জন করে নিতে হবে। কোনো স্বৈরশাসকের পতনের ফল হিসেবে বিজয় আমাদের দোরগোড়ায় এসে উপস্থিতি হবে না। যতদিন আমরা নিজেরা বিজয় অর্জন না করবো, ততদিন এক স্বৈরাচারের পতন হয়ে আরেক স্বৈরাচার আসতে থাকবে। নব নব রূপে আসতে থাকবে।
এমনকি মুসলমানের হাতে স্বৈরাচারের কেবল পতন হওয়া-ও ইসলামের বিজয় নয়। ইসলামের বিজয় তখনই হবে, যখন আমরা শয়তানের পতন ঘটিয়ে বিজয়ী হবো, এবং অতঃপর সেই বিজয়কে ধরে রাখতে পারবো। যে বিজয় অর্জনের দু'দিনের মাথায় হাতছাড়া হয়ে যায়, তা আদৌ বিজয় নয়। মুসলমানদের বিজয় এমন নয়। বরং তারা বিপ্লব করে, অতঃপর সেই বিপ্লবকে রক্ষা করে।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন, একথা কে না জানে ! অনেকেই ইসলামী বিপ্লবের সুখকল্পনা করেন। কিন্তু ইসলামী বিপ্লবকে রক্ষা করার জন্য যে ব্যাপক দৃঢ়চিত্ত মুসলিম গণভিত্তি দরকার, তা আমাদের আছে কি ? নেই। যদি থাকতোই, তবে আল্লাহর সেই ওয়াদার কী হলো যে :
"হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জিহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু'শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে এক শ' লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ, ওরা জ্ঞানহীন।" (সূরা আনফাল, ৮:৬৫)
এজন্যে, স্বৈরাচারের অত্যাসন্ন পতনের সুখকল্পনা কিংবা ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস করার সুখস্বপ্ন বাদ দিয়ে ইসলামী বিপ্লবের রক্ষাকারী মুসলমান গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত : এমন দৃঢ়চিত্ত মুসলমান, যাদের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা করেছেন।
অর্জিত বিজয় রক্ষা করার দৃঢ়চিত্ত মুসলিম গণভিত্তি তৈরী না করেই খিলাফত কিংবা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের অবাস্তব কল্পনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে মুসলমানদের।
আর সেই ভিত্তি তৈরী করা ছাড়াই যারা সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে অস্ত্রের মুখে খিলাফত কায়েম করতে চাইছেন, কিংবা প্রচলিত গণতান্ত্রিক পন্থায় সেক্যুলারদের সাথে মিলেমিশে ক্ষমতাসীন হওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা কেবল এক স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে আরেক স্বৈরাচারের ক্ষমতায়নের সিঁড়ি হিসেবেই ব্যবহৃত হবেন। কখনোই আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতিশ্রুতি এসব মানুষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবেন না।
তবে স্বৈরাচারের পতন মানেই মুসলমানদের বিজয় নয়। সুতরাং, যারা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশা করে এক স্বৈরাচারীর পতনের সুখস্বপ্ন দেখছেন, তাদের উচিত বৃহত্তর ছবিটি দেখতে চেষ্টা করা।
'৭১ এ নিপীড়কের পতন হয়েছে, কিন্তু মুসলমানদের কষ্ট কমেনি।
'৭৫ এ এক স্বৈরশাসকের পতন হয়েছিলো, কিন্তু মুসলমানদের বিজয় আসেনি।
'৯০ এ আরেক স্বৈরশাসকের পতন হলো, কিন্তু মুসলমানরা রেহাই পায়নি।
২০১৩ তে আরেক স্বৈরাচারীর পতন হলেও আমাদের বিজয় আসবে না।
মুসলমানদের বিজয় নিজেদেরকে অর্জন করে নিতে হবে। কোনো স্বৈরশাসকের পতনের ফল হিসেবে বিজয় আমাদের দোরগোড়ায় এসে উপস্থিতি হবে না। যতদিন আমরা নিজেরা বিজয় অর্জন না করবো, ততদিন এক স্বৈরাচারের পতন হয়ে আরেক স্বৈরাচার আসতে থাকবে। নব নব রূপে আসতে থাকবে।
এমনকি মুসলমানের হাতে স্বৈরাচারের কেবল পতন হওয়া-ও ইসলামের বিজয় নয়। ইসলামের বিজয় তখনই হবে, যখন আমরা শয়তানের পতন ঘটিয়ে বিজয়ী হবো, এবং অতঃপর সেই বিজয়কে ধরে রাখতে পারবো। যে বিজয় অর্জনের দু'দিনের মাথায় হাতছাড়া হয়ে যায়, তা আদৌ বিজয় নয়। মুসলমানদের বিজয় এমন নয়। বরং তারা বিপ্লব করে, অতঃপর সেই বিপ্লবকে রক্ষা করে।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন, একথা কে না জানে ! অনেকেই ইসলামী বিপ্লবের সুখকল্পনা করেন। কিন্তু ইসলামী বিপ্লবকে রক্ষা করার জন্য যে ব্যাপক দৃঢ়চিত্ত মুসলিম গণভিত্তি দরকার, তা আমাদের আছে কি ? নেই। যদি থাকতোই, তবে আল্লাহর সেই ওয়াদার কী হলো যে :
"হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জিহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু'শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে এক শ' লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ, ওরা জ্ঞানহীন।" (সূরা আনফাল, ৮:৬৫)
এজন্যে, স্বৈরাচারের অত্যাসন্ন পতনের সুখকল্পনা কিংবা ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস করার সুখস্বপ্ন বাদ দিয়ে ইসলামী বিপ্লবের রক্ষাকারী মুসলমান গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত : এমন দৃঢ়চিত্ত মুসলমান, যাদের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা করেছেন।
অর্জিত বিজয় রক্ষা করার দৃঢ়চিত্ত মুসলিম গণভিত্তি তৈরী না করেই খিলাফত কিংবা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের অবাস্তব কল্পনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে মুসলমানদের।
আর সেই ভিত্তি তৈরী করা ছাড়াই যারা সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে অস্ত্রের মুখে খিলাফত কায়েম করতে চাইছেন, কিংবা প্রচলিত গণতান্ত্রিক পন্থায় সেক্যুলারদের সাথে মিলেমিশে ক্ষমতাসীন হওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা কেবল এক স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে আরেক স্বৈরাচারের ক্ষমতায়নের সিঁড়ি হিসেবেই ব্যবহৃত হবেন। কখনোই আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতিশ্রুতি এসব মানুষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবেন না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন