সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশের রাজনীতি - বিডিনিউজ২৪.কম সম্পাদকের বাংলাদেশে ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপ কামনা

নভেম্বর ২, ২০১৩ :
বিডিনিউজ২৪.কম এর সুবীর ভৌমিকের কত স্পর্ধা যে সে বাংলাদেশে বসে ইন্ডিয়াকে সাজেশান দেয় আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করার ?
যদি ওর লেখা কেউ না পড়ে, এইজন্যে অসাংবাদিকসুলভ দীর্ঘ এক শিরোনামেই তার মূল বক্তব্য তুলে দিয়েছে :
"Bangladesh is in a violent phase and India must do all it can to see a friendly regime return to power"

"ওয়াশিংটনের যদি এদেশের সরকারের ব্যাপারে নিজস্ব পছন্দ থাকে, তাহলে ইন্ডিয়ার থাকতে পারবে না কেনো ?"
কত স্পর্ধা পেয়েছে এরা যে বাংলাদেশে বসে এমন কথা বলার সাহস করে ? কী নির্লজ্জভাবে সে পক্ষান্তরে বলছে যে বাংলাদেশের কোনই সার্বভৌমত্ত্ব নেই, বাংলাদেশ হলো গরীবের সুন্দরী বউ, সবাই-ই তার দিকে হাত বাড়াবে ?

এবং এউ সুবীর ভৌমিক ইন্ডিয়াকে মন্ত্রণা দিচ্ছে যে : হে ইন্ডিয়া ! এদেশে তোমার জন্য বড় হুমকি বিএনপি নয়, বরং জামাত এবং হেফাজত।

বাংলাদেশে নাকি এখন অত্যন্ত সহিংস পরিস্থিতি, বাংলাদেশ '৭১ পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে, তাই ইন্ডিয়াকে সেই '৭১ এর ভূমিকা পালন করতে (সামরিক হস্তক্ষেপ করতে) পরোক্ষ আহবান জানিয়েছে এই সুবীর ভৌমিক :
"As Bangladesh slides into a violent imbroglio, India appears nervous over the future of its east and northeast which are afflicted by violent statehood movements and insurgencies. It cannot afford a hostile government in Dhaka. This, in a way, revives the pre-1971 scenario where a similar situation forced India to back the Bengali insurrection and militarily intervene in East Pakistan, braving threats of a US naval intervention."

কেনো, যখন ২৮শে ফেব্রুয়ারীতে অসংখ্য লোককে হত্যা করলো এই সরকার, যখন ৫ই মে দিবাগত রাতে লক্ষ লক্ষ মুসল্লীর উপর গুলিবর্ষণ করা হলো, তখন তোমার আর্টিকেল কোথায় ছিলো ? ওহ, তখন তো এইসব হত্যাকাণ্ড তোমাদের প্রভু ইন্ডিয়া করিয়েছে, তাই মুখে টু শব্দটি ছিলো না।

সুবীর ভৌমিক, মনে কোরো না যে এটা তিন ব্যান্ডের রেডিওর যুগ, সেই ১৯৭১ সাল। ৪৪ বছর আগের সমীকরণে অঙ্ক কষতে যেও না, আর মনে কোরো না যে তৎকালীন বিবিসির সাংবাদিক সিরাজুর রহমান, শ্যামল লোদ, অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস এর মত ভূমিকা নিয়ে তুমিও এদেশের রাজনীতি বদলে দেবে। এখন ২০১৩ সাল, রাজনীতির সমীকরণ অনেক বদলেছে ! তোমরা মানুষকে যা গিলাও, তা মানুষ গিলে খেলেও অনেকেই হজম করছে না। সত্য এখন অনেক বেশি স্বতঃ-প্রকাশিত।

অবশ্য যুগে যুগে স্বৈরশাসকরা যেমন একই ভুল করে, তেমনি একইভাবে পা চেটে যায় তাদের এইসব দালালরা।
বর্তমান স্বৈরশাসকের পতন হবে এটা সত্য, এবং এ-ও সত্য যে অতঃপর আওয়ামী লীগ পরিণত হবে নখদন্তহীন জীর্ণ শীর্ণ এক বাঘে, যাকে এমনকি খাঁচায়ও নয়, বরং মিউজিয়ামেই রাখা হবে। তবে সেই দিন হয়তো সহসাই আসবে না, হয়তো আসবে বহু মুসলমানের রক্তক্ষয়ের পর।
কোথায় উড়ে যাবে এইসব সুবীর ভৌমিকরা ! ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার টাকায় লালিত এইসব দালালেরা তখন এয়ারপোর্ট দিয়ে বিদেশে সেইফ এক্সিট খুঁজবে।

তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করো, আল্লাহও তোমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করেন। নিশ্চয় আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী।

(১) যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
(২) এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
(৩) তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।

-- সূরা ১১০, আন-নসর।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ