অক্টোবর ২৫, ২০১৩ :
আগামীকাল কেউ নাটকীয় কিছু আশা করবেন না।
আগামীকাল নাটকীয় যা হতে পারে তা হলো নাটকীয় কিছু না ঘটা।
মনে রাখবেন, এই সরকার হলো বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টিকরী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে দমন করা সরকার।
শুধুমাত্র একটি "মহাসমাবেশ" করে সেখান থেকে কিছু আল্টিমেটাম ও হরতাল-বিক্ষোভের মত গতানুগতিক কিছু কর্মসূচী ডেলিভারি দেয়া হলে সেটা নতুন কিছু হয় না, নাটকীয় কিছুও হয় না, এবং তাতে সরকারের গদিও নড়ে না।
আগামীকালটা সরকার হজম করে ফেললেই সব লাইনে নিয়ে আসবে।
এরপর বিএনপি-জামাত সেই গতানুগতিক কর্মসূচীতে ফিরে যাবে।
সরকারের টিকে থাকার লেভেল এখন হেফাজতের উপর চালানো সেই হত্যাযজ্ঞের লেভেল পর্যন্ত।
বিএনপি-জামাত যদি কার্যকরী কিছু করতে চায়, তাহলে তো এর চেয়েও বেশি রক্তপাতের জন্য জানবাজি রেখে পরীক্ষায় নামতে হবে।
আর হেফাজতের চেয়েও বেশী রক্ত দিলেই যে মুক্তি মিলবে, তার নিশ্চয়তাও কিন্তু নেই।
সত্য অবস্থা বিবেচনা করে দেখুনতো, বিএনপি-জামাত কি হেফাজতের মত অতটা ডেডিেকটেড নিজের জানবাজি রেখে দেশের জনগণকে একটি স্বৈরশাসক থেকে রক্ষা করার জন্য ? আমার মনে হয় না। বিএনপি তো নয়ই, তবে জামাত-শিবির, বিশেষত শিবির জানবাজি রেখে মাঠে নামে। কিন্তু সেটাও "হরতাল করলে যে ক'টি প্রাণ ক্ষয় হয়" সেটুকু পর্যন্ত। এর বেশি কিছু ১৮ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জামাত-শিবির করবে না, আর বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট গতানুগতিকের বাইরে বেশি কিছু করবেও না।
ফেসবুকে জামাত-শিবিরের অ্যাক্টিভিটি দেখে মনে হচ্ছে আগামীকাল দেশে ব্যাপক এক বিপ্লব হয়ে যাবে। ইতিহাস সৃষ্টি হবে। নাটকীয় সব পরিবর্তন হবে। ক্ষমতা যাবে বদলে। আরো কত কী !
এদের সমস্যা কী, তারা অতীত-বর্তমান, এমনি ভবিষ্যতও দেখে, কিন্তু অনুধাবন করে না, বোঝে না। বিখ্যাত গোয়েন্দা গল্পের মূল চরিত্র শার্লক হোমস তার সহকারীকে বলেছিলো : "বন্ধু, আমি যা দেখি, তুমিও তা-ই দেখো। কিন্তু তুমি যা দেখো, তা থেকে রিজনিং করতে পারো না।"
একারণে দেখবেন জামাত-শিবিরের ছেলে-পেলেরা ব্যানার-পোস্টার-কবিতা-গান-ছড়া- নানাবিধ স্ট্যাটাস ইত্যাদি দিয়ে অনলাইনে বিপ্লব করছে আজকে, ইনফ্যাক্ট, গত কয়েকদিন ধরে, কিন্তু আগামীকালের ঘটনাপ্রবাহে দেখা যাবে সেটার কতটুকু বাস্তব আর কতখানি কল্পনা। এমন বিপ্লব তারা বছরের পর বছর করে আসছে, কিন্তু বাস্তবতা তা নিজস্ব গতিতেই চলেছে।
অপরদিকে বিএনপি হলো ক্লাব মার্কা একটি দল। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা হোক কি ম্যানেজার হোক -- যে কেউ-ই মারা গেলে অন্যদের তাতে কিছু আসে যায় না। তারা ক্লাব হাউজে আসে, ফূর্তি করে, চা খায়, আড্ডা দেয় এবং বাসায় চলে যায়। গুলশান এবং নয়াপল্টনে তাদের ক্লাবহাউজ আছে। এখন সেগুলোকে কার্যালয় নাম না দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবহাউজ নাম দিলেই হয়, তাতে আমরাও একটু চা-পানি-আড্ডার জন্য রেজিস্ট্রেশান করতে পারি। বর্তমানে বাংলাদেশে একমাত্র ক্লাবজাতীয় ক্লীব লিঙ্গ দল হলো বিএনপি। আর এই বিএনপির সাথে জোট করেছে অপরিণামদর্শী জামাত। আওয়ামী লীগকে ঠেকায় কে !
সমস্যা কী, আমাদের বাংলাদেশীদের কিছুদিন পরপর মাদকদ্রব্য গ্রহণ করতে হয়। মানে, অ্যাড্রিনালিন রাশ না ঘটালে চলে না। উত্তেজক ঘটনা না ঘটলে চলে না। এই আওয়ামী লীগ সরকার গত ক'বছরে সেই মাদকতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ক'দিন দেশ একটু ইস্যুবিহীন চুপচাপ চললেই আমাদের আর ভালো লাগে না। তখনই ভালো লাগে, যখন দেশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এমনটা হয়েছে হেফাজতের অবরোধে, লংমার্চে, সাঈদীর রায়ে, স্কাইপ কেলেঙ্কারিতে, রেশমা নাটকে...। চলছে, চলবে। আবার আগামীকাল আমাদের জাতীয় মাদক গ্রহণের দিন। সবাই রাজনীতির নেশা গ্রহণ করে উত্তেজিত হয়ে থাকবে। কেউবা সেই মাদকের নেশায় চোখে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখবে, কেউবা আবার আবোল তাবোল বকা শুরু করবে : "ঈদের পর আন্দোলন... সুতরাং পরবর্তী ঈদের অপেক্ষায় থাকলাম !"
এ খেলার বোধকরি শেষ নেই।
আগামীকাল কেউ নাটকীয় কিছু আশা করবেন না।
আগামীকাল নাটকীয় যা হতে পারে তা হলো নাটকীয় কিছু না ঘটা।
মনে রাখবেন, এই সরকার হলো বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টিকরী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে দমন করা সরকার।
শুধুমাত্র একটি "মহাসমাবেশ" করে সেখান থেকে কিছু আল্টিমেটাম ও হরতাল-বিক্ষোভের মত গতানুগতিক কিছু কর্মসূচী ডেলিভারি দেয়া হলে সেটা নতুন কিছু হয় না, নাটকীয় কিছুও হয় না, এবং তাতে সরকারের গদিও নড়ে না।
আগামীকালটা সরকার হজম করে ফেললেই সব লাইনে নিয়ে আসবে।
এরপর বিএনপি-জামাত সেই গতানুগতিক কর্মসূচীতে ফিরে যাবে।
সরকারের টিকে থাকার লেভেল এখন হেফাজতের উপর চালানো সেই হত্যাযজ্ঞের লেভেল পর্যন্ত।
বিএনপি-জামাত যদি কার্যকরী কিছু করতে চায়, তাহলে তো এর চেয়েও বেশি রক্তপাতের জন্য জানবাজি রেখে পরীক্ষায় নামতে হবে।
আর হেফাজতের চেয়েও বেশী রক্ত দিলেই যে মুক্তি মিলবে, তার নিশ্চয়তাও কিন্তু নেই।
সত্য অবস্থা বিবেচনা করে দেখুনতো, বিএনপি-জামাত কি হেফাজতের মত অতটা ডেডিেকটেড নিজের জানবাজি রেখে দেশের জনগণকে একটি স্বৈরশাসক থেকে রক্ষা করার জন্য ? আমার মনে হয় না। বিএনপি তো নয়ই, তবে জামাত-শিবির, বিশেষত শিবির জানবাজি রেখে মাঠে নামে। কিন্তু সেটাও "হরতাল করলে যে ক'টি প্রাণ ক্ষয় হয়" সেটুকু পর্যন্ত। এর বেশি কিছু ১৮ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জামাত-শিবির করবে না, আর বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট গতানুগতিকের বাইরে বেশি কিছু করবেও না।
ফেসবুকে জামাত-শিবিরের অ্যাক্টিভিটি দেখে মনে হচ্ছে আগামীকাল দেশে ব্যাপক এক বিপ্লব হয়ে যাবে। ইতিহাস সৃষ্টি হবে। নাটকীয় সব পরিবর্তন হবে। ক্ষমতা যাবে বদলে। আরো কত কী !
এদের সমস্যা কী, তারা অতীত-বর্তমান, এমনি ভবিষ্যতও দেখে, কিন্তু অনুধাবন করে না, বোঝে না। বিখ্যাত গোয়েন্দা গল্পের মূল চরিত্র শার্লক হোমস তার সহকারীকে বলেছিলো : "বন্ধু, আমি যা দেখি, তুমিও তা-ই দেখো। কিন্তু তুমি যা দেখো, তা থেকে রিজনিং করতে পারো না।"
একারণে দেখবেন জামাত-শিবিরের ছেলে-পেলেরা ব্যানার-পোস্টার-কবিতা-গান-ছড়া-
অপরদিকে বিএনপি হলো ক্লাব মার্কা একটি দল। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা হোক কি ম্যানেজার হোক -- যে কেউ-ই মারা গেলে অন্যদের তাতে কিছু আসে যায় না। তারা ক্লাব হাউজে আসে, ফূর্তি করে, চা খায়, আড্ডা দেয় এবং বাসায় চলে যায়। গুলশান এবং নয়াপল্টনে তাদের ক্লাবহাউজ আছে। এখন সেগুলোকে কার্যালয় নাম না দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবহাউজ নাম দিলেই হয়, তাতে আমরাও একটু চা-পানি-আড্ডার জন্য রেজিস্ট্রেশান করতে পারি। বর্তমানে বাংলাদেশে একমাত্র ক্লাবজাতীয় ক্লীব লিঙ্গ দল হলো বিএনপি। আর এই বিএনপির সাথে জোট করেছে অপরিণামদর্শী জামাত। আওয়ামী লীগকে ঠেকায় কে !
সমস্যা কী, আমাদের বাংলাদেশীদের কিছুদিন পরপর মাদকদ্রব্য গ্রহণ করতে হয়। মানে, অ্যাড্রিনালিন রাশ না ঘটালে চলে না। উত্তেজক ঘটনা না ঘটলে চলে না। এই আওয়ামী লীগ সরকার গত ক'বছরে সেই মাদকতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ক'দিন দেশ একটু ইস্যুবিহীন চুপচাপ চললেই আমাদের আর ভালো লাগে না। তখনই ভালো লাগে, যখন দেশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এমনটা হয়েছে হেফাজতের অবরোধে, লংমার্চে, সাঈদীর রায়ে, স্কাইপ কেলেঙ্কারিতে, রেশমা নাটকে...। চলছে, চলবে। আবার আগামীকাল আমাদের জাতীয় মাদক গ্রহণের দিন। সবাই রাজনীতির নেশা গ্রহণ করে উত্তেজিত হয়ে থাকবে। কেউবা সেই মাদকের নেশায় চোখে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখবে, কেউবা আবার আবোল তাবোল বকা শুরু করবে : "ঈদের পর আন্দোলন... সুতরাং পরবর্তী ঈদের অপেক্ষায় থাকলাম !"
এ খেলার বোধকরি শেষ নেই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন