সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইসলাম - বিতর্কের "কমন গ্রাউন্ড"

যেহেতু আমি ইতিহাসবিশেষজ্ঞ নই; ইতিহাসের সত্যাসত্য নির্ণয় করার পদ্ধতি আমার জানা নেই এবং হাদীস বিশেষজ্ঞও নই, সুতরাং আমি কেবল সেইটুকুর ভিত্তিতে কথা বলতে পারবো, যেটুকু বিষয়ে আমি নিশ্চয়তায় উপনীত হতে পেরেছি। আর তা হলো আল্লাহর অস্তিত্ব, এবং অতঃপর তাঁর প্রেরিত অপরিবর্তিত ও অবিকৃত পথনির্দেশ (আল কুরআন)। আর এ বিষয়ে নিশ্চিত জ্ঞানে উপনীত হওয়ার যে জ্ঞানসূত্র বা সহায়ক শক্তি (tools), অর্থাৎ বিচারবুদ্ধি (reasoning) -- তার আলোকে এবং কুরআনের আলোকে ছাড়া অন্য কোনোভাবে কথা বলা / আলোচনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

যখন বিবদমান দুই পক্ষ যুক্তি-তর্ক করে, তখন উভয়ের কমন গ্রাউন্ড আগে জেনে নিতে হয়। যেমন একজন মুসলমানের সাথে আমি বিতর্কে বসলে আমাদের কমন গ্রাউন্ড কোরআন অবশ্যই থাকবে। কিন্তু একজন বিধর্মীর সাথে বিতর্কে বসলে কমন গ্রাউন্ড হবে বিচারবুদ্ধি ('আক্বল)।

সুন্নি আলেমগণের মাঝে বিতর্ক হলে সেক্ষেত্রে কোরআনের পর আরও কমন গ্রাউন্ড থাকে। যেমন, কিছু বিশেষ হাদীসগ্রন্থ (suppose, বুখারী ও মুসলিম)।
অনুরূপ শিয়া আলেমগণের অভ্যন্তরীণ বিতর্কে কোরআনের পর আরও কমন গ্রাউন্ড থাকে। যেমন, হাদীস গ্রন্থ আল কাফী।

শিয়াদের ব্যাপারে যত প্রকার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, তার মাঝে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি হলো কুরআনের অবিকৃত ও সংরক্ষিত থাকার বিষয়ে অভিযোগ। অর্থাৎ, শিয়াদের ব্যাপারে এমন অভিযোগ উঠেছে, যে অভিযোগ সত্য হলে এমনকি আমাদের (শিয়া ও সুন্নিদের) মাঝের কমন গ্রাউন্ড আল কুরআন-ও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়ে।

অবশ্যই, এটিও সমাধানযোগ্য। তবে সেক্ষেত্রে "স্রষ্টার প্রেরিত পথনির্দেশের অবশ্য-গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যসমূহ" এই বিষয়ে বিতর্ক / আলোচনা হতে হবে।

আর যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী (অর্থাৎ শিয়াদের কেউ কেউ বা সকল শিয়া-ই) আমাদের মাঝে প্রচলিত কুরআনকে আল্লাহর প্রেরিত অবিকৃত ও সংরক্ষিত গ্রন্থ বলে না মানে, তাহলে সেক্ষেত্রে সে মুসলমান থাকতে পারে না। সুতরাং তার সাথে শিয়া-সুন্নি বিষয়ে পরবর্তী বিতর্কে যাওয়া অবান্তর। আমি নিশ্চয়ই একজন খ্রিষ্টানকে বা নাস্তিককে নিয়ে এই চিন্তা করবো না যে ও হানাফী না শাফেয়ী। আরে সে তো মুসলমানই নয় !

"যে ব্যক্তি আল কুরআনের অকাট্যতা, অবিকৃত ও সংরক্ষিত থাকার বৈশিষ্ট্যে আস্থা রাখে না, সে মুসলমান হতে পারে না।" -- এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করে, শিয়া-সুন্নি বিষয়ে শাখা-প্রশাখায় প্রবেশ না করে, আরো গোড়ার বিষয়, অর্থাৎ আল কুরআন নিয়ে সমাধানে পৌঁছার চেষ্টা করতে হবে।

হোক শিয়া কি সুন্নি, যে যা-ই বলুক না কেনো, এটাই সত্য যে আল কুরআন অবিকৃত ও অপরিবর্তিত, এবং এর পাঠ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা গ্রহণ করেছেন (আল কুরআন, ৭৫:১৭)। সুতরাং আল কুরআনের "পাঠ ও সংরক্ষণ" প্রশ্নাতীত একটি বিষয়। এই বিষয়ে যে সন্দেহ পোষণ করবে, অর্থাৎ এই বিষয়টাকে যে সত্য বলে মানবে না -- যতক্ষণ পর্যন্ত সে এই বিষয়কে সত্য বলে মানবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সে মুসলমান নয়। যে মুহুর্ত থেকে সে আল্লাহর ওয়াদাকে (আল কুরআনের সংরক্ষণ ও পাঠ) সত্য বলে মেনে নেবে, তখনই সে মুসলশান হয়ে যাবে। অর্থাৎ কুরআনকে অবিকৃত ও সংরক্ষিত বলে মেনে নেয়ার মাধ্যমে পক্ষান্তরে আল্লাহ তায়ালাকে, তাঁর রাসূলকে, তাঁর প্রেরিত গ্রন্থকে, ইত্যাদি সবই মেনে নেবে।

তো, আমার মূল কথা হলো, যখন শিয়া-সুন্নি বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে মুসলমানদের মূল গ্রন্থ আল কুরআনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে, তখন শাখা-প্রশাখার বিতর্কে যাওয়া সময় নষ্ট করার নামান্তর মাত্র। আমি নিশ্চয়ই একজন খ্রিষ্টানের সাথে এই বিতর্ক করবো না যে, জোরে আমিন বলতে হবে, নাকি নিঃশব্দে আমিন বলতে হবে। আমি নিশ্চয়ই একজন নাস্তিকের সাথে রোজার মাসআলা নিয়ে বিতর্ক করবো না। কারণ সেতো এই বিতর্কের প্রাথমিক শর্তই পূরণ করেনি ! সুতরাং, হযরত আলী (রা.)-ই নবীজির (সা.) পরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার জন্য মনোনীত ছিলেন কিনা, সেই বিতর্ক মুসলিম ব্যতীত অমুসলিমের সাথে হতে পারে না।

আর এতে বিষয়টা আরও সহজ হয়ে গেলো, যখন শিয়াদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলো যে, তারা কুরআনের অবিকৃতি ও সংরক্ষণশীলতায় বিশ্বাসী নয়। তখন আমরা সকল শাখা-প্রশাখাগত বিতর্ক থেকে রেহাই পেয়ে গেলাম (গাদীরে খুম, নামাজের নিয়ম, মাজার, ইমামত, খেলাফত, হযরত আলী (রা.), হযরত আয়েশা (রা.), মুয়াবিয়া, ইয়াজিদ, ইমাম হাসান (আ.), ইমাম হোসেন (আ.) ইত্যাদি বিষয়ের বিতর্ক)।

(দুঃখজনকভাবে, আমরা নিজেদেরকে মুসলিম বলতে চাইলেও বিতর্কের খাতিরে / সমস্যার সমাধানের খাতিরে নিজেদেরকে শিয়া, সুন্নি ইত্যাদি বলতে বাধ্য হচ্ছি--)
তো, আমার উপদেশ / পরামর্শ হলো, যে ব্যক্তির অভিযোগসমূহের তালিকায় (অর্থাৎ শিয়াদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগসমূহের তালিকায়) এই বিষয়টি থাকবে যে :
"শিয়ারা আমাদের মাঝে প্রচলিত আল কুরআনকে অবিকৃত ও সংরক্ষিত বলে মানে না",
সে ব্যক্তির পক্ষে একমাত্র উচিত ও সঙ্গত কাজ হবে আর সকল অভিযোগ কেটে দিয়ে কেবল একটি অভিযোগ উত্থাপন করা ও এই একটি অভিযোগ নিয়েই আলোচনা ও তর্ক করা, আর তা হলো :
"শিয়ারা আমাদের মাঝে প্রচলিত আল কুরআনকে অবিকৃত ও সংরক্ষিত বলে মানে না"।

কারণ আগেই বলেছি, যে ব্যক্তি মুসলমানই নয়, তার সাথে অন্যান্য বিষয়ে বিতর্ক হতে পারে না।

যে ব্যক্তি ২+২ = ৩ বলে, তার সাথে E=mc^2 কিংবা F=ma নিয়ে বিতর্ক করা অবান্তর, কারণ গণিতের মৌলিক বিষয়েই সে অজ্ঞ। অর্থাৎ তার সাথে আমার কমন গ্রাউন্ড নেই, সে মনে করে ২+২=৩, আমি মনে করি ২+২=৪। সুতরাং আমি F=ma প্রমাণ করার জন্য যখন ২+২=৪ এই সূত্র ব্যবহার করবো, তখনই সে আমার বিরোধিতা করবে। একারণে বিরোধিতার মূল বিষয় (২+২=৪, নাকি ২+২=৩) সমাধান না করে উচ্চস্তরের বিষয়ে আলোচনা করা অযৌক্তিক, অপ্রাসঙ্গিক ও অসঙ্গত।

সুতরাং, যারা শিয়া-সুন্নি বিতর্কে শিয়াদের বিরুদ্ধে "কুরআনকে অবিকৃত ও সংরক্ষিত বলে না মানা"-র অভিযোগ উত্থাপন করবেন, তাদের উচিত হবে আর সকল অভিযোগ কেটে দিয়ে কেবল এই অভিযোগটি নিয়ে আলোচনা/বিতর্ক করা এবং অভিযোগটি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা (অর্থাৎ অকাট্যভাবে প্রমান করা যে শিয়ারা কুরআনে সংরক্ষিত বলে মানে না)। অতঃপর যদি এই অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তখন সেক্ষেত্রে "যে সকল শিয়া (কিংবা যদি সকল শিয়া-ই) কুরআনকে অবিকৃত ও সংরক্ষিত বলে মানে না, তারা অমুসলিম" -- সাধারণ মুসলমিদের কাছে এই ঘোষণা দেয়াই যথেষ্ট।

এভাবে আমরা একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারবো।
সুতরাং, যারা শিয়াদের বিরুদ্ধে কুরআন সংক্রান্ত ঐ অভিযোগ উত্থাপন করবেন, তাদের দায়িত্ব হলো অভিযোগ উত্থাপনের সাথে সাথে সর্বজনীন জ্ঞানসূত্র বিচারবুদ্ধি ('আক্বল) এর আলোকে সর্বজনীনভাবে প্রমাণ করা যে আল কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে যেভাবে এসেছে, সেভাবেই অবিকৃত ও সংরক্ষিত অবস্থায় আছে।

(প্রসঙ্গ : শিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রচিত বিভিন্ন বই ও প্রবন্ধের সংকলনের একটি ওয়েবসাইট দেখার অনুরোধ পাওয়ার পর এই জবাব দিয়েছি। অন্য যারা এই বিষয়ে আগ্রহী, তাদের ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক হতে পারে বলে publicly পোস্ট করলাম।)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ