ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার তিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সংক্ষেপে ইসলামী আদর্শ ও আইন-কানুন, জনপ্রতিনিধিত্বশীলতা ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের পরস্পর থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা।
দেশের নাম ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান’। এর সার্বভৌমত্ব আল্লাহর, এ কারণে ইসলামের অকাট্য আইন-বিধানগুলো অলঙ্ঘনীয় ও অপরিবর্তনীয়। সাধারণভাবে কোরআনে বর্ণিত আইন সমূহ এবং রাসূলুল্লাহ্ (ছ্বাঃ), হযরত ফাতেমাহ্ ও হযরত আলী থেকে শুরু করে আহলে বাইতের বারো জন ইমামের উক্তি থেকে নিষ্পন্ন এবং শিয়া মাযহাবের কাছে গৃহীত আইনসমূহ ইরানের অলঙ্ঘনীয় ও অপরিবর্তনীয় আইন হিসেবে পরিগণিত। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (ইয়াহূদী, খৃস্টান ও যরথুস্ত্রী - যাদের পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র প্রতিনিধি আছেন) ও সুন্নী মাযহাবগুলোর জন্য ধর্মাচরণে ও সামাজিক পারিবারিক (যেমনঃ বিবাহ, তালাক্ব, উত্তরাধিকার ইত্যাদিতে) তাদের নিজ নিজ ধর্মের বা মাযহাবের আইন-বিধান কার্যকর হবে। দু’ধরনের আইনে সাংঘর্ষিকতা দেখা দিলে সাধারণভাবে শিয়া আইনকে প্রাধান্য দেয়া হয়, কিন্তু কোনো শহরে অন্য ধর্মাবলম্বীরা বা সুন্নীরা সংখ্যাগুরু হলে সেখানে তাদের আইন প্রাধান্য পায়।
সর্বোচ্চ ধর্মীয়-রাজনৈতিক নেতা (রাহবার), নেতা-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ পরিষদ ও সংবিধানের অভিভাবক পরিষদের মুজতাহিদ সদস্যগণ দেশে ইসলামী বিধিবিধান বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করেন ও প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করেন।
নেতা নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। (এদের সংখ্যা ৮৪ জন) কেবল মুজতাহিদগণই এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ও প্রতি ৮ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রাহবারের পদ শূন্য হলে তাঁরা পরামর্শের ভত্তিতে (প্রার্থিতা ছাড়াই) এ পদে নিজেদের ভিতর বা বাইরে থেকে কাউকে নির্বাচন করেন। তাঁরা রাহবারের কাজকর্মের ওপর দৃষ্টি রাখেন এবং তাঁকে পরামর্শ দেন। রাহবার যদি শারীরিক, নৈতিক বা রাজনৈতিক দিক থেকে যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে তাঁরা মনে করেন তাহলে সংখ্যাধিক্য ভোটে তাঁকে পদচ্যুত করতে পারেন।
সংবিধানের অভিবাবক পরিষদের সদস্য বারো জন; ছয় জন মুজতাহিদ রাহবার কর্তৃক মনোনীত। অপর ছয় জন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী - যাদের নাম বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত হয় এবং মজলিসে শূরায়ে ইসলামী (পার্লামেন্ট) কর্তৃক অনুমোদিত হলে তাঁরা দায়িত্ব লাভ করেন। অভিভাবক পরিষদের প্রধান কাজ হচ্ছে পার্লামেন্টে অনুমোদিত যে কোনো বিলকে ইসলাম ও সংবিধানের আলোকে পরীক্ষা করে দেখা। তাঁরা কোনো বিলকে ইসলাম বা সাংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করলে তা উল্লেখ সহ সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠান। অভিভাবক পরিষদের অনাপত্তির পরে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরে বিল কার্যকর হয়। এছাড়া অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগ্যতা পরীক্ষাকরণ সহ দেশের সকল নির্বাচন তদারক করে (কার্যতঃ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করে)। ফলে সরকারের পক্ষে নির্বাচনে হস্তক্ষে করার কোনো সুযোগ নেই।
অভিভাবক পরিষদ কোনো বিল ফেরত দেয়া সত্ত্বেও যদি পার্লামেন্ট তা অপরিবর্তিত অবস্থায় পাশ করা অপরিহার্য গণ্য করে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কল্যাণ নির্ধারণ পরিষদ সে ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এ পরিষদের প্রধান ও কয়েক জন সদস্য রাহবার কর্তৃক মনোনীত। এছাড়া এতে প্রেসিডেন্ট ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি থাকেন এবং বিলটি যে মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও এতে সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
দেশের প্রশাসন (সরকার), আইন বিভাগ (পার্লামেন্ট) ও বিচার বিভাগ পরস্পর থেকে শতকরা একশ’ ভাগ স্বাধীন। রাজনৈতিক দল গঠন ও তৎপরতা চালানো এবং তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন বৈধ হলেও সংবিধানে রাজনৈতিক দলের কোনো মর্যাদা নেই। ফলে পার্লামেন্ট সদস্যগণ পুরোপুরি স্বাধীন এবং একজন সদস্য কোনো ক্ষেত্রে সরকারে সমর্থন ও কোনো ক্ষেত্রে বিরোধিতা করতে পারে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যগণ বাজেটে যে কোনো রদবদল করতে পারেন এবং সরকারের পেশকৃত বাজেটের পরিবর্তে নিজস্ব বাজেট প্রণয়ন ও পাশ করতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। রাহবার বিজয়ী ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেন এবং এরপর তিনি পার্লামেন্টের অধিবেশনে শপথ নেন। পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য তাঁকে অনাস্থা দিয়ে রাহবারের কাছে পাঠালে তিনি প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত করতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত মন্ত্রীদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ভোটের মাধ্যমে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হয়। পার্লামেন্ট কাউকে প্রত্যাখ্যান করলে প্রেসিডেন্ট নতুন কাউকে পার্লমেন্টের কাছে পেশ করবেন। পার্লামেন্ট সদস্য মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করলে পার্লামেন্টে তাঁর পদ শূন্য হবে। পার্লামেন্ট কখনো ভেঙ্গে দেয়া যায় না।
প্রেসিডেন্ট যে কোনো সময় মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারবেন এবং পার্লামেন্ট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কোনো মন্ত্রীকে অনাস্থা দিলেও তিনি পদ হারাবেন। উপমন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের দ্বারা মনোনীত হন ও পদচ্যুত হন; মূলতঃ তাঁরা চাকরিজীবী কর্মকর্তা মাত্র। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশ বিভাগের প্রধান রাহবার কর্তৃক মনোনীত হন, ফলে সরকার পুলিশ বিভাগকে স্বৈরাচারীভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
রাহবার কর্তৃক মনোনীত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সর্বোচ্চ বিচার পরিষদ কর্তৃক বিচার বিভাগের সকল কাজ (নিয়োগ-বদলী সহ) নিয়ন্ত্রিত হয়। বিচারক এবং এ বিভাগের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবই এ বিভাগের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়। বিচার বিভাগের নিজস্ব পুলিশ বাহিনী রয়েছে যাদেরকে বিচার বিভাগ আসামী গ্রেফতার ও রায় কার্যকরের কাজে ব্যবহার করে। সরকারের বিচার বিষয়ক মন্ত্রীর কাজ হচ্ছে বিচার বিভাগের বাজেটের ক্ষেত্রে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
সশস্ত্র বাহিনী ও ইসলামী বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী (পাসদার)-এর প্রধানগণ ও সর্বোচ্চ সিনিয়র পদাধিকারীগণ রাহবার কর্তৃক মনোনীত। অন্যান্য পদ নিজস্ব নিয়মে নির্ধারিত হয়। তবে সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য একটি সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদ রয়েছে যাতে প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি, রাহবার মনোনীত কয়েক জন প্রতিনিধি এবং সশস্ত্র বাহিনী ও পাসদারের শীর্ষ পদাধিকারীগণ সদস্য। রাহবার এ পরিষদের পরামর্শক্রমে যুদ্ধ ও সন্ধি ঘোষণা করতে পারেন।
রাষ্ট্রীয় রেডিও-টেলিভিশন সংস্থা রাহবার মনোনীত প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগ মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি ছোট্ট পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হয়।
দেশের নাম ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান’। এর সার্বভৌমত্ব আল্লাহর, এ কারণে ইসলামের অকাট্য আইন-বিধানগুলো অলঙ্ঘনীয় ও অপরিবর্তনীয়। সাধারণভাবে কোরআনে বর্ণিত আইন সমূহ এবং রাসূলুল্লাহ্ (ছ্বাঃ), হযরত ফাতেমাহ্ ও হযরত আলী থেকে শুরু করে আহলে বাইতের বারো জন ইমামের উক্তি থেকে নিষ্পন্ন এবং শিয়া মাযহাবের কাছে গৃহীত আইনসমূহ ইরানের অলঙ্ঘনীয় ও অপরিবর্তনীয় আইন হিসেবে পরিগণিত। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (ইয়াহূদী, খৃস্টান ও যরথুস্ত্রী - যাদের পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র প্রতিনিধি আছেন) ও সুন্নী মাযহাবগুলোর জন্য ধর্মাচরণে ও সামাজিক পারিবারিক (যেমনঃ বিবাহ, তালাক্ব, উত্তরাধিকার ইত্যাদিতে) তাদের নিজ নিজ ধর্মের বা মাযহাবের আইন-বিধান কার্যকর হবে। দু’ধরনের আইনে সাংঘর্ষিকতা দেখা দিলে সাধারণভাবে শিয়া আইনকে প্রাধান্য দেয়া হয়, কিন্তু কোনো শহরে অন্য ধর্মাবলম্বীরা বা সুন্নীরা সংখ্যাগুরু হলে সেখানে তাদের আইন প্রাধান্য পায়।
সর্বোচ্চ ধর্মীয়-রাজনৈতিক নেতা (রাহবার), নেতা-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ পরিষদ ও সংবিধানের অভিভাবক পরিষদের মুজতাহিদ সদস্যগণ দেশে ইসলামী বিধিবিধান বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করেন ও প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করেন।
নেতা নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। (এদের সংখ্যা ৮৪ জন) কেবল মুজতাহিদগণই এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ও প্রতি ৮ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রাহবারের পদ শূন্য হলে তাঁরা পরামর্শের ভত্তিতে (প্রার্থিতা ছাড়াই) এ পদে নিজেদের ভিতর বা বাইরে থেকে কাউকে নির্বাচন করেন। তাঁরা রাহবারের কাজকর্মের ওপর দৃষ্টি রাখেন এবং তাঁকে পরামর্শ দেন। রাহবার যদি শারীরিক, নৈতিক বা রাজনৈতিক দিক থেকে যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে তাঁরা মনে করেন তাহলে সংখ্যাধিক্য ভোটে তাঁকে পদচ্যুত করতে পারেন।
সংবিধানের অভিবাবক পরিষদের সদস্য বারো জন; ছয় জন মুজতাহিদ রাহবার কর্তৃক মনোনীত। অপর ছয় জন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী - যাদের নাম বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত হয় এবং মজলিসে শূরায়ে ইসলামী (পার্লামেন্ট) কর্তৃক অনুমোদিত হলে তাঁরা দায়িত্ব লাভ করেন। অভিভাবক পরিষদের প্রধান কাজ হচ্ছে পার্লামেন্টে অনুমোদিত যে কোনো বিলকে ইসলাম ও সংবিধানের আলোকে পরীক্ষা করে দেখা। তাঁরা কোনো বিলকে ইসলাম বা সাংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করলে তা উল্লেখ সহ সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠান। অভিভাবক পরিষদের অনাপত্তির পরে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরে বিল কার্যকর হয়। এছাড়া অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগ্যতা পরীক্ষাকরণ সহ দেশের সকল নির্বাচন তদারক করে (কার্যতঃ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করে)। ফলে সরকারের পক্ষে নির্বাচনে হস্তক্ষে করার কোনো সুযোগ নেই।
অভিভাবক পরিষদ কোনো বিল ফেরত দেয়া সত্ত্বেও যদি পার্লামেন্ট তা অপরিবর্তিত অবস্থায় পাশ করা অপরিহার্য গণ্য করে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কল্যাণ নির্ধারণ পরিষদ সে ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এ পরিষদের প্রধান ও কয়েক জন সদস্য রাহবার কর্তৃক মনোনীত। এছাড়া এতে প্রেসিডেন্ট ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি থাকেন এবং বিলটি যে মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও এতে সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
দেশের প্রশাসন (সরকার), আইন বিভাগ (পার্লামেন্ট) ও বিচার বিভাগ পরস্পর থেকে শতকরা একশ’ ভাগ স্বাধীন। রাজনৈতিক দল গঠন ও তৎপরতা চালানো এবং তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন বৈধ হলেও সংবিধানে রাজনৈতিক দলের কোনো মর্যাদা নেই। ফলে পার্লামেন্ট সদস্যগণ পুরোপুরি স্বাধীন এবং একজন সদস্য কোনো ক্ষেত্রে সরকারে সমর্থন ও কোনো ক্ষেত্রে বিরোধিতা করতে পারে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যগণ বাজেটে যে কোনো রদবদল করতে পারেন এবং সরকারের পেশকৃত বাজেটের পরিবর্তে নিজস্ব বাজেট প্রণয়ন ও পাশ করতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। রাহবার বিজয়ী ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেন এবং এরপর তিনি পার্লামেন্টের অধিবেশনে শপথ নেন। পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য তাঁকে অনাস্থা দিয়ে রাহবারের কাছে পাঠালে তিনি প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত করতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত মন্ত্রীদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ভোটের মাধ্যমে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হয়। পার্লামেন্ট কাউকে প্রত্যাখ্যান করলে প্রেসিডেন্ট নতুন কাউকে পার্লমেন্টের কাছে পেশ করবেন। পার্লামেন্ট সদস্য মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করলে পার্লামেন্টে তাঁর পদ শূন্য হবে। পার্লামেন্ট কখনো ভেঙ্গে দেয়া যায় না।
প্রেসিডেন্ট যে কোনো সময় মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারবেন এবং পার্লামেন্ট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কোনো মন্ত্রীকে অনাস্থা দিলেও তিনি পদ হারাবেন। উপমন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের দ্বারা মনোনীত হন ও পদচ্যুত হন; মূলতঃ তাঁরা চাকরিজীবী কর্মকর্তা মাত্র। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশ বিভাগের প্রধান রাহবার কর্তৃক মনোনীত হন, ফলে সরকার পুলিশ বিভাগকে স্বৈরাচারীভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
রাহবার কর্তৃক মনোনীত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সর্বোচ্চ বিচার পরিষদ কর্তৃক বিচার বিভাগের সকল কাজ (নিয়োগ-বদলী সহ) নিয়ন্ত্রিত হয়। বিচারক এবং এ বিভাগের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবই এ বিভাগের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়। বিচার বিভাগের নিজস্ব পুলিশ বাহিনী রয়েছে যাদেরকে বিচার বিভাগ আসামী গ্রেফতার ও রায় কার্যকরের কাজে ব্যবহার করে। সরকারের বিচার বিষয়ক মন্ত্রীর কাজ হচ্ছে বিচার বিভাগের বাজেটের ক্ষেত্রে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
সশস্ত্র বাহিনী ও ইসলামী বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী (পাসদার)-এর প্রধানগণ ও সর্বোচ্চ সিনিয়র পদাধিকারীগণ রাহবার কর্তৃক মনোনীত। অন্যান্য পদ নিজস্ব নিয়মে নির্ধারিত হয়। তবে সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য একটি সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদ রয়েছে যাতে প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি, রাহবার মনোনীত কয়েক জন প্রতিনিধি এবং সশস্ত্র বাহিনী ও পাসদারের শীর্ষ পদাধিকারীগণ সদস্য। রাহবার এ পরিষদের পরামর্শক্রমে যুদ্ধ ও সন্ধি ঘোষণা করতে পারেন।
রাষ্ট্রীয় রেডিও-টেলিভিশন সংস্থা রাহবার মনোনীত প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগ মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি ছোট্ট পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন