আমি কি তোমায় বলিনি
আমাকে ত্যাগ কোরো না, কারণ আমিই তোমার একমাত্র বন্ধু
আমিই প্রাণের উৎস।
এমনকি যদি তুমি রাগ করে হাজার বছরের জন্যও দূরে সরে যাও
তবু তুমি আমার কাছেই ফিরে আসবে, কারণ আমিই তোমার লক্ষ্য, আমাতেই তোমার সমাপ্তি।
আমি কি তোমায় বলিনি
এই রঙিন দুনিয়ার মায়ায় জড়িও না
কারণ একমাত্র আমিই মানুষের জীবন রাঙাই।
আমি কি বলিনি
তুমি এক মাছ, শুষ্ক ডাঙায় যেও না
কারণ আমিই গভীর সমুদ্র।
আমি কি বলিনি
পাখির মত করে জালে আটকা পড়ো না
কারণ আমিই তোমার ডানা, আলোর উৎস।
আমি কি বলিনি
তারা যেনো তোমার মনকে বদলে না দেয়, তোমায় বরফ করে না তোলে
কারণ আমিই আগুন, আমিই উষ্ণতা।
আমি কি বলিনি
তারা তোমায় পথভ্রষ্ট করবে, এবং ভুলিয়ে দেবে যে
আমিই সকল গুণের ঝর্ণাধারা।
আমি কি তোমায় বলিনি
আমার কাজকে প্রশ্ন কোরো না
কারণ সবকিছু নিয়মমাফিক চলছে -- আমিই স্রষ্টা।
আমি কি বলিনি
তোমার হৃদয় তোমায় বাড়ি ফিরিয়ে আনবে
কারণ সে জানে, আমিই তোমার প্রভু।
...................................
"তুমি মনে করো তুমি বেঁচে আছো কারণ তুমি বাতাসে দম নিচ্ছো ? লজ্জা তোমার জন্য যে তুমি এত সীমিতভাবে বেঁচে আছো !
ভালোবাসাহীন থেকোনা কখনো, তাহলে আর নিজেকে মৃত মনে হবে না। ভালোবাসার মাঝে মারা যেও, আর চিরকাল বেঁচে থেকো।"
-- রুমি।
........................................
(মৃত্যুর রাতে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে রুমির লেখা কবিতা)
"মৃত্যুশয্যায়"
-- রুমি
যাও, বালিশে মাথা রেখে বিশ্রাম করো, আমাকে একা ফেলে যাও;
এই ভগ্ন, বেদনার্ত রাতের অভিযাত্রিককে ত্যাগ করো,
(যে) একা, কষ্টের স্রোত যাকে ভোর পর্যন্ত পীড়িত করে।
যদি চাও, এসো, আমায় ক্ষমা করো,
যদি চাও চলে যাও, আমায় ত্যাগ করো।
আমার থেকে পালাও, পাছে তুমি না আবার দুঃখে পতিত হও :
আরামের পথ বেছে নাও, বেদনার পথকে ছেড়ে যাও।
দুঃখের কিনারে একা আমি, এই অশ্রুস্রোত আমার --
এই আঁখিজলে ঘুরিয়েছি শত পানিকল !
আমার প্রেমিক, সে আমায় হত্যা করেছে, পাষাণ-সম হৃদয়,
(অথচ) কেউ সাহস করে বলে না -- এর রক্তমূল্য কোথায় !
কারণ কারো কাছে দায়বদ্ধতা নেই সুন্দরের মালিকের;
বিবর্ণ প্রেমিক, বরং তুমিই অপেক্ষা করো, সহ্য করো, আনুগত্য করো।
মৃত্যু ছাড়া এই ব্যথার উপশম নেই,
তবে কেনো আমি বলবো -- "এ ব্যথা দূর করো" ?
গতরাতে এক স্বপ্নে আমি দেখলাম,
ভালোবাসার উদ্যানে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি,
তার হাতের ইশারায় আমাকে তার পাশে ডাকছে, বলছে -- "এসো !"
এই পথে ভালোবাসা হলো পান্নার ন্যায়,
যদি কোনো ভয় এসে পথ আগলে দাঁড়ায়,
তবে সে একাই শত ভয়কে করে জয়।
আমি হারাচ্ছি আমায় !
.............................. .............................. .......
রাতের অভিযাত্রিক = যে স্রষ্টার অনন্ত সান্নিধ্যে মিলিত হবার জন্যে মৃত্যুদুয়ার পেরোনোর যাত্রা শুরু করেছে।
আমার প্রেমিক, পাষাণ-সম হৃদয়, সুন্দরের মালিক = খোদা।
বিবর্ণ প্রেমিক = খোদা প্রেমিক।
মৃত্যু ছাড়া এই ব্যথার উপশম নেই = স্রষ্টার পরম সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত থাকার ব্যথা।
আমি হারাচ্ছি আমায় = স্রষ্টার পবিত্র সান্নিধ্যে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছি।
.....................................
Silence is the language of God,
all else is poor translation.
-- Rumi.
আমাকে ত্যাগ কোরো না, কারণ আমিই তোমার একমাত্র বন্ধু
আমিই প্রাণের উৎস।
এমনকি যদি তুমি রাগ করে হাজার বছরের জন্যও দূরে সরে যাও
তবু তুমি আমার কাছেই ফিরে আসবে, কারণ আমিই তোমার লক্ষ্য, আমাতেই তোমার সমাপ্তি।
আমি কি তোমায় বলিনি
এই রঙিন দুনিয়ার মায়ায় জড়িও না
কারণ একমাত্র আমিই মানুষের জীবন রাঙাই।
আমি কি বলিনি
তুমি এক মাছ, শুষ্ক ডাঙায় যেও না
কারণ আমিই গভীর সমুদ্র।
আমি কি বলিনি
পাখির মত করে জালে আটকা পড়ো না
কারণ আমিই তোমার ডানা, আলোর উৎস।
আমি কি বলিনি
তারা যেনো তোমার মনকে বদলে না দেয়, তোমায় বরফ করে না তোলে
কারণ আমিই আগুন, আমিই উষ্ণতা।
আমি কি বলিনি
তারা তোমায় পথভ্রষ্ট করবে, এবং ভুলিয়ে দেবে যে
আমিই সকল গুণের ঝর্ণাধারা।
আমি কি তোমায় বলিনি
আমার কাজকে প্রশ্ন কোরো না
কারণ সবকিছু নিয়মমাফিক চলছে -- আমিই স্রষ্টা।
আমি কি বলিনি
তোমার হৃদয় তোমায় বাড়ি ফিরিয়ে আনবে
কারণ সে জানে, আমিই তোমার প্রভু।
...................................
"তুমি মনে করো তুমি বেঁচে আছো কারণ তুমি বাতাসে দম নিচ্ছো ? লজ্জা তোমার জন্য যে তুমি এত সীমিতভাবে বেঁচে আছো !
ভালোবাসাহীন থেকোনা কখনো, তাহলে আর নিজেকে মৃত মনে হবে না। ভালোবাসার মাঝে মারা যেও, আর চিরকাল বেঁচে থেকো।"
-- রুমি।
........................................
(মৃত্যুর রাতে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে রুমির লেখা কবিতা)
"মৃত্যুশয্যায়"
-- রুমি
যাও, বালিশে মাথা রেখে বিশ্রাম করো, আমাকে একা ফেলে যাও;
এই ভগ্ন, বেদনার্ত রাতের অভিযাত্রিককে ত্যাগ করো,
(যে) একা, কষ্টের স্রোত যাকে ভোর পর্যন্ত পীড়িত করে।
যদি চাও, এসো, আমায় ক্ষমা করো,
যদি চাও চলে যাও, আমায় ত্যাগ করো।
আমার থেকে পালাও, পাছে তুমি না আবার দুঃখে পতিত হও :
আরামের পথ বেছে নাও, বেদনার পথকে ছেড়ে যাও।
দুঃখের কিনারে একা আমি, এই অশ্রুস্রোত আমার --
এই আঁখিজলে ঘুরিয়েছি শত পানিকল !
আমার প্রেমিক, সে আমায় হত্যা করেছে, পাষাণ-সম হৃদয়,
(অথচ) কেউ সাহস করে বলে না -- এর রক্তমূল্য কোথায় !
কারণ কারো কাছে দায়বদ্ধতা নেই সুন্দরের মালিকের;
বিবর্ণ প্রেমিক, বরং তুমিই অপেক্ষা করো, সহ্য করো, আনুগত্য করো।
মৃত্যু ছাড়া এই ব্যথার উপশম নেই,
তবে কেনো আমি বলবো -- "এ ব্যথা দূর করো" ?
গতরাতে এক স্বপ্নে আমি দেখলাম,
ভালোবাসার উদ্যানে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি,
তার হাতের ইশারায় আমাকে তার পাশে ডাকছে, বলছে -- "এসো !"
এই পথে ভালোবাসা হলো পান্নার ন্যায়,
যদি কোনো ভয় এসে পথ আগলে দাঁড়ায়,
তবে সে একাই শত ভয়কে করে জয়।
আমি হারাচ্ছি আমায় !
..............................
রাতের অভিযাত্রিক = যে স্রষ্টার অনন্ত সান্নিধ্যে মিলিত হবার জন্যে মৃত্যুদুয়ার পেরোনোর যাত্রা শুরু করেছে।
আমার প্রেমিক, পাষাণ-সম হৃদয়, সুন্দরের মালিক = খোদা।
বিবর্ণ প্রেমিক = খোদা প্রেমিক।
মৃত্যু ছাড়া এই ব্যথার উপশম নেই = স্রষ্টার পরম সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত থাকার ব্যথা।
আমি হারাচ্ছি আমায় = স্রষ্টার পবিত্র সান্নিধ্যে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছি।
.....................................
Silence is the language of God,
all else is poor translation.
-- Rumi.
Silence is the language of God :
স্রষ্টা মানুষের সাথে নীরবতার মাধ্যমেই কথা বলেন... নীরবতা হলো খোদার ভাষা... আর খোদার ভাষার চেয়ে উত্তম ভাষা (যোগাযোগের মাধ্যম) আর কী হতে পারে !
all else is poor translation :
মানুষের মুখের ভাষা অনেক সীমিত। স্রষ্টার যে অনুভুতি মানুষ অন্তরে ধারণ করতে পারে, ধারণ করে, সেটা কখনোই পরিপূর্ণভাবে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একারণে আধ্যাত্মিক বিষয়াবলিকে খুব কমই পরিপূর্ণভাবে ভাষায় প্রকাশ করা যায়। কারণ সে অনুভুতিগুলি এমনই, যার কাছে ভাষা পরাজিত হয়েছে। অর্থাৎ, স্রষ্টার ভাষাকে অন্য যেকোনো কিছুতেই প্রকাশ করতে যান না কেনো, সবই যেনো এক দুর্বল অনুবাদ।
মানুষের সাথে মানুষের ভাবের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও কথাটি অনেকাংশে প্রযোজ্য। নীরবতার মাধ্যমে যে অনুভুতির আদান-প্রদান হয়, তার কাছে অনেকসময় শ্রেষ্ঠ ভাষাও পরাজিত হয়।
................................................
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন