এতসব
সমস্যা দেখা ও বোঝা সত্ত্বেও
অনেকে প্রতিবাদ করছেন না।
যেহেতু এটা ইসলামের ব্যাপার,
সেহেতু
ইসলামের পতাকা বহনের সেই
জ্ঞানগত যোগ্যতা ও আল্লাহ
কর্তৃক আধ্যাত্মিকভাবে আদিষ্ট
না হওয়া পর্যন্ত কারোরই উচিত
না ইসলামের পতাকা বহন করা।
তবে ভুল-ত্রুটি
থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য
সঠিক পদ্ধতিতে ইসলামের জ্ঞান
অর্জন করা ফরজ। এতে নিজেকেও
রক্ষা করা যায়, নিজের
পরিবারকেও রক্ষা করা যায়।
তবে
আশার কথা হলো, ইন্টারনেটের
যুগে বাস করছি আমরা। এখানে
মানুষের প্রাইভেসি বলে আর
কিছু থাকছে না। তেমনি দলীয়
প্রাইভেসি বলেও আর কিছু থাকছে
না। অতি সম্প্রতি দেখছি যে
শিবির ত্যাগী কিছু ছেলের হাত
দিয়ে ফেইসবুকে "inner dirty
secrets” বের হয়ে
আসছে। মানুষের অ্যাক্সেস টু
ইনফরমেশান যত বাড়বে, ততই
এটা ব্যাপকহারে ঘটতে থাকবে।
তখন বিশুদ্ধ হওয়া ও নিজেদের
সংস্কার করা ছাড়া উপায় থাকবে
না। ইন্টারনেট হলো পরবর্তী
বিপ্লবের হাতিয়ার। এর সম্ভাবনা
ও আশঙ্কা, উভয়ই
অনেক। যেমন :
১.
ইন্টারনেটের
মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন দল /
মতের
ভুল-ভ্রান্তিগুলো
জানতে পারবে।
২.
ইন্টারনেটের
মাধ্যমেই আবার বিভিন্ন ভ্রান্ত
ধারণার দল / মতের
প্রচার-প্রসার
ঘটবে।
৩.
ইন্টারনেটের
মাধ্যমেই মানুষ সঠিক পদ্ধতিতে
জ্ঞানচর্চা সম্পর্কে জানতে
পারবে, এবং
প্রকৃত ইসলামের সাথে পরিচিত
হতে পারবে। কারণ এতদিনের চুপ
করে থাকা মানুষেরা, যারা
পত্র-পত্রিকা
ম্যাগাজিন ইত্যাদি কোনো
প্ল্যাটফর্মেই জানা সত্ত্বেও
প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে পারছিলেন
না, তারা
এই information highway তে
সঠিক information গুলো
put করবেন।
এবং ইসলামের সেই সঠিক বিষয়গুলো
ইন্টারনেটে ভেসে বেড়াবে
অনন্তকাল, আর
কখন কোনো এক সম্ভাবনাময় বিপ্লবী
ব্যক্তি সেই জ্ঞানের সংস্পর্শে
এসে সত্যিকারের সংস্কার সাধন
করবেন, তা
কে জানে? অতএব,
এটা খুবই
আশার কথা। ইন্টারনেটের জগতে
আর চাইলেই মানুষকে সংকীর্ণ
সিলেবাসের মধ্যে কিংবা
কুরআন-হাদীসের
সংকীর্ণ বা বিকৃত ব্যাখ্যার
মধ্যে ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
ইন্টারনেটের জগতে সকল ধরণের
মতের সংস্পর্শে মানুষ আসবেই,
এবং আসছেও।
অর্থাৎ, একটি
রিসার্চ যে প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন
হয় আরকি। ইন্টারনেটের কারণে
এখন মানুষ পড়ছে, শুনছে,
জানছে এবং
নিজের বিচারবুদ্ধি দিয়ে যাচাই
করছে। ফলস্বরূপ, in the long
run তারাই টিকে
থাকবে, তাদেরই
গণভিত্তি তৈরী হবে ও দৃঢ় হবে,
যারা প্রকৃত
সত্যের সাথে আছে। এতদিন ধরে
ধর্মীয় রিসার্চ সেন্টার
প্রতিষ্ঠা না করলেও,
জ্ঞানগত
বিপ্লব থেকে দূরে থাকলেও
ইন্টারনেটের জগতে জ্ঞানের
মুখোমুখি হয়ে পড়ছে বিভিন্ন
দল-মতের
লোকেরা। আর সত্যিকারের জ্ঞানগত
ভিত্তি না থাকলে তখন তারা টিকে
থাকতে পারবে না। অর্থাৎ,
একটি জ্ঞানগত
বিপ্লব imminent (অত্যাসন্ন)।
এবং সেটা এই ইন্টারনেটের
মাধ্যমেই হবে। ইন্টারনেট
একটি নতুন প্রযুক্তি। আর খুব
দ্রুতই তা সব মানুষের হাতে
পৌঁছে যাচ্ছে। Data collection,
data aggregation ইত্যাদি
করে যাচ্ছে গুগল ফেইসবুকসহ
বিভিন্ন সংস্থা। ডাটা মাইনিং,
বিগ ডাটা,
ইত্যাদি
নিয়ে যেসব কাজ হচ্ছে, কে
বলতে পারে যে সেটা ইসলামের
সাহায্যে কাজে আসবে না?
প্রতিনিয়ত
ইসলামের বিষয়ে অসংখ্য সার্চ
হয় গুগলে। কে বলতে পারে যে এই
সার্চের মাধ্যমে সঠিক তথ্য
কারো হাতে পৌঁছাবে না?
কারণ ইসলামের
শত্রুরা যেমন কাজ করে যাচ্ছে
ইন্টারনেটে, তেমনি
ইসলামের সম্পর্কে কমপ্লিট
আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মানুষেরাও
কাজ করে যাচ্ছেন ইন্টারনেটে,
তেমনি কাজ
করে যাচ্ছেন জামায়াত-শিবিরের
মত দলগুলো। না চাইতেও সবাই
যেনো এক জ্ঞানগত যুদ্ধে অবতীর্ণ
হয়েছে। এবং এই জ্ঞানগত যুদ্ধ
দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করবে।
তখন সত্যের বিজয় হবেই। আমি এ
ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন