সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বর্তমান সময়ের ইসলাম সংক্রান্ত সমস্যার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত -- ১. (প্রতিটি স্তরে) ইসলামের কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকার সমস্যা

কোনো মানুষ ইসলামের যে স্তরেই অবস্থান করুক না কেনো, সেই স্তরের কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকাটা জরুরি। একজন মুসলমানের এটাও সুস্পষ্ট জানা থাকা দরকার যে, ইসলামের জ্ঞানগত দিক দিয়ে ও আমলের দিক দিয়ে সে কোন স্তরে আছে। এবং অবশ্যই ধাপে ধাপে প্রতিটি স্তর কমপ্লিট করে উপরের স্তরে ওঠা উচিত। এমন যেনো না হয় যে, একজন মুসলমান অনেক নেকী অর্জনের মুস্তাহাব আমল (recommended act) সম্পর্কে জানে, এবং সে অনুযায়ী আমলও করে, অথচ অজ্ঞতাবশতঃ একটি হারাম কাজ (forbidden act) করে যাচ্ছে, কিংবা একটি ফরজ কাজ (mandatory act) ছেড়ে দিচ্ছে। যেহেতু ফরজ ও হারাম হলো মুস্তাহাব ও মাকরূহ কাজের আগের স্তর, অতএব একজন মুসলমানের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত প্রাথমিক স্তর শিক্ষা করা (জ্ঞান অর্জন ও সে অনুযায়ী আমল করা), অর্থাৎ এটা নিশ্চিত করা যে, সে সকল ফরজ কাজগুলি করছে, এবং সে কোনো হারাম কাজ করছে না। এরপর যখন সে নিশ্চিত হলো, তখন সে মুস্তাহাব (recommended act – যা করলে সওয়াব আছে, না করলে গুনাহ নেই, এমন) কাজ করার পিছনে শ্রম দিতে পারে। কিন্তু এমন যেনো না হয় যে, সে মুস্তাহাব কাজের পিছনে শ্রম দিচ্ছে, অথচ ওদিকে ফরজ কাজ করা হচ্ছে না, কিংবা কোনো হারাম কাজ করছে সে। সেক্ষেত্রে তার অবশ্যই উচিত হবে মুস্তাহাব কাজের পিছনে ব্যয়িত শ্রমকে ফরজ পালন ও হারাম বর্জন নিশ্চিত করার পিছনে ব্যয় করা। এমন যেনো না হয় যে, গভীর রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ছে, ওদিকে দিনের বেলায় মিথ্যা কথা বলছে। কিংবা মানুষকে কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব বুঝাচ্ছে, ওদিকে রাস্তায় বের হলে ভিক্ষুককে ভিক্ষা না দিয়ে উল্টা গালমন্দ করছে। একটা উদাহরণ দেয়া যাক।

মনে করি, গাছ যে অক্সিজেন দেয়, এটাই আমাদের জন্য সবসময় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এখন, একটা বটগাছ সম্পর্কে একটা বাচ্চার কেমন ধারণা থাকতে পারে?
প্রাথমিক স্তরে সে জানবে যে, "এটা একটা গাছ। গাছ অক্সিজেন দেয়।" এরপর সে আরেকটু উপরের স্তরের জ্ঞান অর্জন করতে পারে। যেমন, "এটা একটা গাছ। এই গাছ দিনের বেলায় অক্সিজেন দেয়। এমন গাছও আছে, যা রাতে অক্সিজেন দেয়।" এরপর বাচ্চাটি আরেকটু উপরের স্তরের তথ্য জানতে পারে। যেমন, "গাছের বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। এটা বটগাছ, বটগাছ অক্সিজেন দেয়। বটগাছ দিনের বেলা অক্সিজেন দেয়।" এরপর বাচ্চাটি বটগাছের বিশেষত্ব সম্পর্কে জানতে পারে।
এইভাবে করে একটা বাচ্চা গাছ সম্পর্কে ধাপে ধাপে উপরের স্তরের জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
এখন, একজন উদ্ভিদবিজ্ঞানী অবশ্যই গাছের পাতা, ছাল-বাকল, শিকড়, ফুল, ফল ইত্যাদি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখেন। উদ্ভিদবিজ্ঞানী গাছ সম্পর্কে জ্ঞানের উচ্চস্তরে অবস্থান করছেন, এবং বাচ্চাটি প্রাথমিক স্তরে অবস্থান করছে। এখন বাচ্চাটিকে যদি উভয় স্তরের অসমাপ্ত জ্ঞান দেওয়া হয়, তাহলে কেমন হতে পারে? বটগাছটি সম্পর্কে বাচ্চাটির জ্ঞান তখন এরকম হতে পারে : এটা বটগাছ। এর শিকড় মাটির খুব গভীরে প্রবেশ করে। বটগাছের বিস্তৃতি বেশি হওয়ায় আমাদেরকে যথেষ্ট ছায়া দেয়।” ব্যস, এটুকুই। অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, গাছ যে অক্সিজেন দেয়, তা সে জানে না। এদিকে আবার উচ্চস্তরের জ্ঞানও তার আছে : বটগাছের শিকড় মাটির খুব গভীরে প্রবেশ করে। এখন ঐ বাচ্চাটি খুব সমস্যাজনক অবস্থায় আছে। তাকে যদি বলা হয় যে, বটগাছ অক্সিজেন দেয়, এজন্যই আমাদের বটগাছ লাগানো উচিত. তখন সে বলবে, "না, বটগাছ আমাদেরকে ছায়া দেয়, রোদ থেকে রক্ষা পেতেই আমাদের বটগাছ লাগানো উচিত,” ইত্যাদি...। তাকে এটা বুঝানো কঠিন হবে যে, তোমার প্রাথমিক স্তর শিক্ষা করা সম্পূর্ণ হয়নি, প্রাথমিক স্তরের কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং তোমার নেই। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মুহুর্তে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, আর গাছ সেটা সরবরাহ করে, একারণে গাছ যে অক্সিজেন দেয়, এটা আমাদের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বটগাছ ছায়াও দেয় বটে, কিন্তু সেটা কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আমাদের খাদ্যসহ অন্যান্য চাহিদাও গাছ মেটায়, কিন্তু সর্বাধিক গুরুত্ব গাছের একারণেই যে, অক্সিজেন ছাড়া আমরা এক মুহুর্তও বাঁচি না। এই কথাটা জানা না থাকলে উচ্চস্তরের জ্ঞান চর্চা করতে করতে হঠাতই বাচ্চাটার মনে হতে পারে : এইসব গাছ নিয়ে পড়াশুনার কোনো মানে নেই, এগুলি অনর্থক কাজ।

ইসলামের ব্যাপারটাও ঠিক তেমন। এজন্যে কোনো ব্যক্তি ইসলামের যে স্তরেই থাকুক না কেনো, প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে সেই স্তর পর্যন্ত সকল স্তরের কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং তার থাকা দরকার। এরকম কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকা মুসলমানেরা দুনিয়ার বুকে জেনে-না জেনে বহু সমস্যা তৈরী করে যাচ্ছে।
কেউবা সর্বদা সহিংস-সশস্ত্র, কেউবা আবার সদা অহিংসা পরম ধর্ম নীতিতে চলছে, কেউবা আবার খোদাপ্রেমের নামে ত্যাগ করেছে দুনিয়াবী কর্মকাণ্ড, কেউ আবার দুনিয়াবী বিষয়ে মত্ত হয়ে পড়ে তার পক্ষে রেফারেন্স বের করে আত্মপ্রবঞ্চনা করছে। অথচ প্রত্যেকের ধর্মচিন্তাই যদি প্রাথমিক স্তর তথা ধর্মতত্ত্বের মৌলিক বিষয় থেকে শুরু করে কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিংসহ ধাপে ধাপে উপরের দিকে অগ্রসর হতো, তাহলে কোনোই বিবাদ-বিরোধ থাকতো না। দুঃখজনক হলেও সত্য, ইসলাম নিয়ে যারা অন্ততঃ চিন্তা করে, তাদের মাঝেও এই আগ্রহ দেখা যায় না যে, প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিংসহ ধাপে ধাপে অগ্রসর হবে! এমনকি সে জানেও না যে, সে কোন স্তরে রয়েছে! যদি কোনো স্তরের কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং তার থাকতো, তখনই সে বুঝতে পারতো যে, হ্যাঁ, আমি এই স্তরে আছি। কিন্তু তার তো কোনো স্তরেরই কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং নেই। এমতাবস্থায় অথৈ সমুদ্রে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যহীন দিকহারা নাবিকের মত অনুভুতি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয় থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা – এই কাজটি তাদের পক্ষে করা খুবই কঠিন হয়ে যায়, যারা বিভিন্ন উচ্চস্তরের কিছু কিছু জ্ঞান অর্জন করেছে, অথচ কোনো স্তরেরই পূর্ণ জ্ঞান নেই। একজন যখন ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে এবং সে বিষয়ে সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য রাখছে, তখন যদি সে না জানে যে আল্লাহ কী, কুরআনই বা কী, নবী কী, ইত্যাদি, এবং তাকে যদি আগে সেই জ্ঞান অর্জনের কথা বলা হয়, তখন সে অপমানিত-ই বোধ করবে। অথচ স্রষ্টাভাবনা, সৃষ্টিতত্ত্ব, ঐশী কিতাব ও নবীর অপরিহার্য গুণাবলী ইত্যাদি তো ইসলামের নিতান্তই প্রাথমিক স্তরের বিষয়। তাওহীদ-আখিরাত-রিসালাত ইসলামের প্রাথমিক স্তরের বিষয়। যে ব্যক্তি ইসলামী অর্থনীতি কিংবা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে ব্যস্ত, তার যেনো এমন না হয় যে, তাওহীদ-আখিরাত-রিসালাতের কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং নেই। ঈমানে মুফাসসাল শেখা মানেই তাওহীদ-আখিরাত-রিসালাত ইত্যাদির জ্ঞান নয়, বরং সেটা শিরোনাম। কমপ্লিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভিন্ন জিনিস।
স্কুলের যে বাচ্চা ইংরেজিতে ফেইল করা সত্ত্বেও প্রতিবার উপরের ক্লাসে উঠেছে, এবং এভাবে সব ক্লাস পার করেছে, সে উপরের লেভেলের অনেক শব্দ জানে বটে, কিন্তু একটা সাধারণ বাক্যও তৈরী করতে পারে না। সে অনেক কঠিন কঠিন verb, adjective, adverb জানে, কিন্তু কোনটা কোথায় বসবে, তা সে জানে না, word order জানে না, আর তাই অর্থপূর্ণ বাক্যও আর তৈরী করতে পারে না। এ ধরণের অসম্পূর্ণ জ্ঞান ক্ষতিই বয়ে আনে।


ইসলামী জ্ঞান, ধর্মীয় জ্ঞান অথবা জ্ঞান অর্জনের স্তরবিন্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা অবকাশ এখানে নেই।
পরবর্তী পোস্ট : জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি নির্ধারণ না করে ধর্মীয় পড়াশুনার সমস্যা

আলোচিত বিষয়সমূহ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাকার ইতিহাস, মানি মেকানিজম ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মহা জুলুম

ভূমিকা: জালিমের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম  (মহররম: ইনফো সিরিজ এর শেষ পোস্ট ছিল এটা। মূল সিরিজটি পড়ে আসুন ) জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাস হলো মহররম মাস। জালিমের মুখোশ উন্মোচনের মাস মহররম। জুলুমের কূটকৌশল উন্মোচনের মাস মহররম। আধুনিক সেকুলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় লেজিসলেশান (সংসদ), আর্মড ফোর্সেস (আর্মি) ও জুডিশিয়ারি (আদালত) হলো এক মহা জুলুমের ছদ্মবেশী তিন যন্ত্র, যারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে জুলুম টিকিয়ে রাখার জন্য। তারচেয়েও বড় জালিম হলো big corporations: বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যারা তাবৎ দুনিয়াকে দাস বানিয়ে রেখেছে। আর এই দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা আমাদেরকে আবদ্ধ করেছে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে: টাকা আমাদের শ্রমকে ধারণ করে, অথচ সেই টাকার মূল্য আপ-ডাউন করায় অন্যরা -- ব্যাংক ব্যবসায়ীরা! টাকা আমাদের শ্রমকে সঞ্চয় করার মাধ্যম, অথচ সেই টাকা আমরা প্রিন্ট করি না, প্রিন্ট করে (ব্যাংকের আড়ালে) কিছু ব্যবসায়ী! সেই টাকার মান কমে যাওয়া (বা বেড়ে যাওয়া) আমরা নির্ধারণ করি না -- নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক (ব্যবসায়ীরা)! ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করব, শোকাহত হ

ধর্মব্যবসা: মুসলমানদের হাতে ইসলাম ধ্বংসের অতীত-বর্তমান (১)

ভূমিকা যদিও পলিটিকাল-রিলিজিয়াস ইস্যুতে নিশ্ছিদ্র আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করে আলোচনা করার অভ্যাস আমার, কিন্তু এখানে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে আর্গুমেন্ট করার প্রথমতঃ ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়তঃ সময় ও সুযোগ নেই। আমি যা সত্য বলে জানি, তা সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যারা আমার উপর আস্থা রাখেন তাদের জন্য এই লেখাটি সোর্স অব ইনফরমেশান, উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষদের জন্য সত্য অনুসন্ধানের নতুন কিছু টপিক, আর প্রেজুডিসড ধর্মান্ধ রোগগ্রস্ত অন্তরের জন্য রোগ বৃদ্ধির উছিলা। শেষ পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ও ডায়লগের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার পক্ষপাতী আমি, কিন্তু সেই আর্গুমেন্ট অবশ্যই সত্য উন্মোচনের নিয়তে হওয়া উচিত, নিজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে নয়। মক্কা-মদীনা: মুহাম্মদ (সা.) থেকে আলে-সৌদ (৬২৯-১৯২৪) এদেশের অধিকাংশ মানুষ মক্কা-মদীনার ইতিহাস কেবল এতটুকু জানেন যে, মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। কিন্তু প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আজকের রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ইতিহাস কম মানুষই জানেন। প

পিস টিভি, জাকির নায়েক ও এজিদ প্রসঙ্গ

সম্প্রতি গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আমি তখন দিল্লীতে ছিলাম। দেশে ফিরে শুনি পিস টিভি ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে, এবং তার আগে ইন্ডিয়াতে। আমার বাসায় টিভি নেই, এবং আমি জাকির নায়েকের লেকচার শুনিও না। কিংবা পিস টিভিতে যারা লেকচার দেন, বাংলা কিংবা ইংলিশ -- কোনোটাই শুনি না; প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া আমার ইসলামের বুঝ জাকির নায়েকসহ পিস টিভি ও তার বক্তাদেরকে ইন জেনারেল আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। Peace TV বন্ধ হওয়ায় এদেশে বিকৃত ইসলাম প্রসারের গতি কমলো -- এটাই আমার মনে হয়েছে। একইসাথে আমি এটাও মনে করি যে, যেই অভিযোগ পিস টিভিকে ব্যান করা হয়েছে, তা নিছক অজুহাত। জাকির নায়েক কখনো জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। কিংবা পিস টিভির লেকচার শুনে শুনে ISIS জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হয়েছে -- এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। ISIS এর ধর্মতাত্ত্বিক বেইজ সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই, এমন লোকের পক্ষেই কেবল ISIS এর জন্য জাকির নায়েককে দোষ দেয়া সম্ভব। একইসাথে আমি এ বিষয়েও সচেতন যে, পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে আমাদের সরকারের রেগুলার “ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অংশ