বর্তমান সময়ের ইসলাম সংক্রান্ত সমস্যার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত -- ৬. বিদ্বেষ/ বিরোধিতাপ্রসূত জ্ঞান অর্জনের সমস্যা : anti-ism
কোনো
দল বা গ্রুপের বিরোধিতা করার
উদ্দেশ্যে যখন কেউ ধর্মীয়
জ্ঞান অর্জন করে, তখন
সেটা আংশিক ও পক্ষপাতদুষ্ট
জ্ঞান হয়ে যায়। তরুণদেরকে
মোটিভেট করা অপেক্ষাকৃত সহজ,
একারণে দেখা
যায়, খুব
সহজেই তারা বিভিন্ন ধর্মীয়
দলের সাথে ভিড়ছে। এরপর কোনো
কারণে যদি সে এক দল ছেড়ে আরেক
দলে গিয়ে যোগ দেয়, তখন
প্রথম দলের দোষ-ত্রুটি
প্রচারে বিরাম রাখে না। এমনকি
দেখা যায় যে, এতদিন
নিজে যেই দল করতো, এখন
সে-ই
হয়েছে ঐ দলের সবচে বড় শত্রু,
ঐ দলের সবচেয়ে
বড় বিরোধিতাকারী। এরকম উদাহরণ
চারপাশে তাকালেই দেখা যাবে,
বিশেষতঃ
তরুণ সমাজের মাঝে।
তখন
দেখা যায় ইসলামকে মূল লক্ষ্য
করার পরিবর্তে তার মূল
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য
হয়ে যায় তারই অতীত দলটার
সমালোচনা করা, ঐ
দলটাকে দমন করা। এ ধরণের
anti-ism দ্বারা
মোটিভেটেড হয়ে যেসব কর্মকাণ্ড
করা হয়, তা
যদিওবা ইসলামের খোলসে হয়,
তা আসলে
শয়তানের হাতিয়ার। একটা সহজ
উদাহরণ হলো, শিয়া-সুন্নি
বিরোধ। কেউ যখন সুন্নি সমাজে
বড় হয়ে ওঠে, এবং
একজন শিয়া মুসলমানের যুক্তির
মুখোমুখি হয়, তখন
সে বিরোধিতা
করার উদ্দেশ্যেই শিয়া-সুন্নি
ইস্যু নিয়ে পড়াশুনা শুরু করে।
যেহেতু তার উদ্দেশ্যেই শিয়াদের
বিরোধিতা করা, তখন
সে আসলে আর নিরপেক্ষ নাই,
বরং পক্ষপাতদুষ্ট
হয়ে পড়েছে। এরপর সে যতই পড়াশুনা
করুক না কেনো, তার
অর্জিত জ্ঞান হবে পক্ষপাতদুষ্ট,
এবং সেখানে
প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না।
একারণে দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের
অনুপ্রেরণা আসতে হবে নিরপেক্ষভাবে,
স্বতঃস্ফূর্তভাবে,
মানব সত্তার
গভীর হতে উৎসারিত হয়ে,
নিজের উৎসের
সন্ধানের তাড়না থেকে,
স্রষ্টাকে
জানার ব্যাকুলতা থেকে। এছাড়া
অন্য কোনো কিছু দ্বারা মোটিভেটেড
হয়ে কেউ যদি ইসলামী জ্ঞান
অর্জন করে, তাহলে
নিরপেক্ষ সত্যে পৌঁছানোর
সম্ভাবনা তার নেই বললেই চলে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন