দ্বীনি
নেতৃত্বের জন্য ন্যুনতম
যোগ্যতার শর্ত রয়েছে। সেই
শর্ত যদি পূরণ না হয়,
তাহলে কোটি
কোটি মুসলমানের মাঝে যতজনই
নেতা সেজে বসুক না কেনো,
তারা কেউ-ই
প্রকৃত ইসলামী নেতৃত্ব নয়,
এবং তাদের
কারো আনুগত্য করাই বাধ্যতামূলক
নয়, বরং
ক্ষেত্রবিশেষে তাদের বিরোধিতা
করা ফরজ হয়ে পড়ে।
এখন,
ইসলামের
নামে পরস্পরবিরোধী প্রতিটা
দল / মতেরই
ধর্মীয় নেতৃত্ব আছে। একজন
সাধারণ মানুষ কিভাবে সত্যিকার
দ্বীনি নেতৃত্বকে শনাক্ত
করবে? যখন
প্রতিটা গ্রুপই নিজেদেরকে
সঠিক বলে দাবী করছে, তখন
তাদের যেকারো আনুগত্য করার
আগে যাচাই বাছাই করতে হবে।
এই যাচাই-বাছাইয়ের
মানদণ্ড কী? এইযে
ইসলামের নামে বিভিন্ন দল /
মতের অসংখ্য
অনুসারী রয়েছে, এবং
দিনদিন তারা কলেবরে বেড়েই
চলেছে, নিশ্চয়ই
তারা কোনো না কোনো মানদণ্ডের
ভিত্তিতে তা করছে, ঐ
নেতৃত্বকে মেনে নিচ্ছে।
নিশ্চয়ই তাদের মানদণ্ড এক
নয়। যদি প্রতিটা মানুষই,
তা সে ইসলামের
যে স্তরেই থাকুক না কেনো,
প্রাথমিক
স্তর থেকে শুরু করে ঐ স্তর
পর্যন্ত সকল স্তরের কমপ্লিট
আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়ে
অগ্রসর হতো, তাহলে
তাদের সকলের মানদণ্ড একই হতো,
এবং তারা
পরস্পরবিরোধী ধর্মীয় নেতৃত্বের
অনুগামী না হয়ে একই ধর্মীয়
নেতার আনুগত্য করতো। কিন্তু
ইসলামের partial understanding নিয়ে
অগ্রসর হওয়া মানুষেরা বিভিন্ন
মানদণ্ডের ভিত্তিতে নেতৃত্ব
পছন্দ করে নিচ্ছে, যদিও
তারা জানে না যে, সেটাই
প্রকৃত মানদণ্ড কিনা। যেমন,
কারো কাছে
হলো সেই গ্রুপ-ই
সঠিক, যারা
সমাজে ইসলাম কায়েমের কথা বলে,
রাষ্ট্রে
ইসলাম কায়েমের কথা বলে। তখন
সে এই মানদণ্ডের ভিত্তিতে
কোনো দলে গিয়ে ভিড়ছে। আবার,
কারো কাছে
হয়তো তারাই সঠিক, যারা
ব্যক্তিজীবনে ইসলাম কায়েমের
কথা বলে। তখন সে ঐ গ্রুপের
সাথে চলছে। কেউবা আবার মানদণ্ড
নির্ধারণ করেছে জিহাদ কিংবা
কিতালকে, অর্থাৎ
যেই গ্রুপ কাফিরদের বিরুদ্ধে
জিহাদ ও কিতালের কথা বলবে,
তাদেরকেই
সে অনুসরণ করবে। এইভাবে ইসলামের
partial understanding নিয়ে
অগ্রসর হওয়া মানুষেরা বিভিন্ন
অনুপযুক্ত মানদণ্ডের ভিত্তিতে
নেতৃত্ব পছন্দ করে নিচ্ছে।
ইসলামের
প্রকৃত দ্বীনি নেতৃত্বের
বৈশিষ্ট্য কী? ইলম
(জ্ঞান),
আদালত
(ভারসাম্য)
ও দূরদৃষ্টি।
এই তিনটিই কি শর্ত, নাকি
আরো বেশি, নাকি
আরো কম? এ
নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন,
রিসার্চ
প্রয়োজন। উন্মুক্ত মানসিকতা
নিয়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।
পরস্পর জ্ঞান-বিনিময়ের
মাধ্যমে আলেমগণের ঐকমত্যে
আসা প্রয়োজন। অতঃপর তারা
নিজেরাই সে মানদণ্ড অনুযায়ী
দ্বীনি নেতৃত্ব নির্বাচন
করবেন, এবং
সকলেই সেটা মেনে নেবে।
একজন
ধর্মীয় নেতা যদি এমনসব ভুল
কাজ করেন, যা
সাধারণ মুসলমানের দৃষ্টিতেই
অন্যায়, তখন
কি তিনি আর নেতৃত্বের যোগ্য
থাকেন? দ্বীনি
নেতৃত্বকে যদি মানুষ দেখে
কথা ও কাজের মিল নেই, তিনি
দুনিয়াবী লাভের পিছনে ছুটছেন,
তখন তার উপর
আস্থা কি আর থাকবে? আল্লাহর
রাসূলের (সা.)
অনুপস্থিতিতে
কে বা কারা তাঁর স্থলাভিষিক্ত
হবেন? ইত্যাদি
বহু বিষয় রয়েছে, যা
আলাদা আলোচনার টপিক।
পরবর্তী পোস্ট : কুরআনের সংকীর্ণ ব্যাখ্যা, ইসলামের সংকীর্ণ / পার্শিয়াল রেপ্রিজেন্টেশান
আলোচিত বিষয়সমূহ
আলোচিত বিষয়সমূহ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন