১. ব্রিটিশ শয়তানদের পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১২ সালে লন্ডন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপে gay-friendly-mosque চালু করা হয়েছে, এবং সেখানে ভাড়া করা শয়তানদেরকে মুসলিম সাজিয়ে নামাজ পড়ানো হচ্ছে, এমনকি বেপর্দা নারীদের নেতৃত্বে, নারী-পুরুষ মিলেমিশে।
যাহোক, এইযে বলছে "সমকামী-বান্ধব মসজিদ" -- একটু চিন্তা করে দেখুন, কোনো মসজিদে প্রবেশের সময় কি মুসল্লিকে বলতে হয় সে সমকামী নাকি স্বাভাবিক? সে বিবাহিত, কি অবিবাহিত? সে জেনাকারী, নাকি সাধু?
না। তাহলে gay-friendly-mosque কথাটার অর্থ কী? বরং অসভ্য ইউরোপ-আমেরিকানদের যে বিভিন্ন 'সেক্স-ক্লাব' থাকে, সেটাকে যদি তারা একদিন gay-friendly ঘোষণা করে, তবে সেটা অর্থপূর্ণ হবে: এতদিন নারী-পুরুষ সেখানে মেলামেশা করতে পারত, এখন সমকামীরাও পারবে।
কিন্তু মসজিদ তো যৌনকর্মের জায়গা নয় যে, সেটাকে সমকামী-বান্ধব ঘোষণা করতে হবে!
অতএব, এগুলো শয়তানের এজেন্টরা নিউজ সৃষ্টির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছে, যাতে মুসলিম সমাজকে উত্তেজিত করা যায়। একইসাথে ইসলামে সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা ১% হলেও সৃষ্টি করা যায়। আপনাদেরকে এই বিষয়টা বুঝতে হবে।
২. আমাদের আরও একটি বিষয় বুঝতে হবে, তা হল, ভারতে যে সমকামী বিয়ে বৈধ ঘোষণা করেছে, তা নিয়ে কেন আমরা মাতামাতি করছি। ভারতে সমকামী বিয়ে বৈধ হওয়ার মানে এই নয় যে সেখানে রাস্তায় সমকামিতা করা শুরু করবে মানুষ! বরং দরজার আড়ালে এতকাল যা হতো, এখনও তা-ই হবে। অধিকাংশ যৌনকর্মই দরজার আড়ালে ঘটে, অতএব রাষ্ট্রীয় আইন কোনটাকে স্বীকৃতি দিল বা না দিল, তাতে বাস্তবতার খুব একটা পরিবর্তন হয় না। অথচ দেখুন, তারা চেয়েছে এটা নিয়ে বিশ্ববাসী কথা বলুক, আলোচনা করুক, আর আমরাও সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যাচ্ছি। এগুলো আলোচনায় তুলে আনছি, 'সমকামিতা' শব্দটার প্রচারণায় passively অংশ নিচ্ছি। ঠিক যেভাবে মৃত্যুর আগে হুমায়ুন আহমেদ এই বিষয় নিয়ে একটি মুভি করে বাঙালিকে আরো ভালভাবে এই বিকৃত যৌনাচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল!
আমাদের বুঝতে হবে যে, মসজিদে কেউ কথা বললে তাকে চুপ করতে বলতে হয় না, কারণ তাতে শব্দ সৃষ্টি হয়; বরং কেউ কথা বললে বাকী সবাইকে একদম নিঃশব্দ হয়ে যেতে হয়, যেন সে নিজেই বুঝতে পারে! আর তা না করে সবাই যদি 'মসজিদে কথা বলবেন না' ইত্যাদি বলা শুরু করেন, তাহলে কিন্তু ক্ষতিটা আরো বেশিই হবে: মসজিদে শব্দ বাড়বে। তো, একইভাবে সমকামিতা নিয়ে ভারতকে টিটকারি দিয়েই বা কেন আপনি লেখালেখি করছেন? এই শব্দগুলোর প্রচার-প্রসার কি আপনার হাত দিয়েও হচ্ছে না?
৩. যেহেতু প্রসঙ্গ এসেই পড়েছে, সেহেতু চিন্তা করা দরকার গোড়ার বিষয়ে। এবং যৌনতা বিষয়ে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি পুনরায় জাগ্রত হওয়া দরকার। সেজন্যেই এই ৩ নং পয়েন্ট। সেটা হলো:
বংশধারা বজায় রাখার জন্য প্রাণীকুলকে যৌন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হয়, অতএব, এটা যৌনকর্মের মূল উদ্দেশ্য। এরপর ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্ম মানুষের ক্ষেত্রে এই বিষয়টাকে সুনিয়ন্ত্রিত করেছে, কেননা লাগামহীন যৌনতা মানুষের আত্মাকে দুর্বল ও মৃতপ্রায় করে তোলে। অথচ খোদায়ী দ্বীন এসেছেই মানুষের আত্মাকে জাগ্রত করতে। এবং সেই মূল লক্ষ্যকে কেন্দ্রে রেখে মানবের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিভিন্ন দিককে গাইড করেছে, যেন তার জীবনের সকল দিকই তার আত্মিক মুক্তির পথে প্রতিবন্ধক না হয়ে বরং সহায়ক হতে পারে। এই বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ মাথায় রেখে আলোচনা করলে তবেই কেবল আলোচনা ভারসাম্যপূর্ণ হবে।
এখন, আপনারা সবাই জানেন যে, স্থায়ী-অস্থায়ী বিয়েসহ বেশকিছু উপায়ে মানুষের যৌনতাকে সুনিয়ন্ত্রিত করেছে ইসলাম। একইসাথে ইসলামী অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা, পারিবারিক ব্যবস্থা ইত্যাদি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, তা যেন বিয়েকে সহজ করে এবং যেনা-ব্যাভিচারকে কঠিন করে তোলে। পক্ষান্তরে, সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারে সার্বিকভাবে ইসলামের প্রভাবে কমে গেল তখন বিয়ে কঠিন হয়ে যায় এবং যেনা-ব্যাভিচার সহজ হয়ে যায় (যা বাংলাদেশসহ বহু মুসলিম বিশ্বে হয়েছে)।
সোজা কথা: হয় মানুষজন বৈধভাবে যৌন চাহিদা পূরণ করছে, নাহয় অবৈধভাবে। আর এই 'অবৈধ' এর মাঝে সমকামিতা কেবল একটি ক্যাটেগরি মাত্র, এবং তাদের সংখ্যা বরং অল্পই। তার তুলনায় নারী-পুরুষের অবৈধ যৌন সম্পর্কের সংখ্যা হাজারগুণে বেশি। এই বাংলাদেশেই যে স্কুল-কলেজের বাচ্চারা পর্যন্ত কতটা অবাধ যৌনতায় লিপ্ত, তার খোঁজ রাখেন? সম্ভবতঃ আপনারা তা জানেন না, কেননা এগুলোর প্রকৃত পরিসংখ্যান কোনোভাবেই পাওয়া সম্ভব না; আর আপনারা হয়ত স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির বাচ্চাদের সাথে এতটা বন্ধুসুলভ এখনও নন যে তাদের ব্যথা-বেদনা, ভয়-ভালোবাসা-শঙ্কাগুলোর অকপট গল্প জানবেন! যদি জানতেন, তবে স্কুল-কলেজ আর ইউনিভার্সিটিগুলোর চিত্র জেনে আঁতকে উঠতেন! স্মার্টফোন আর 'কাছে আসার গল্পগুলো' কী মহামারীভাবেই না তাদেরকে অবাধ যৌনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে!
অতএব, ফেইসবুকে 'ভারতে সমকামী বিয়ে বৈধ' নিউজের বন্যা দেখে হালকা চিন্তাশীল হয়ে এই নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেয়েন না। Bigger picture-টা দেখুন। আপনি জানেন না যে, এই সমাজে বিয়ে যদি সহজ একটা ব্যাপার হতো, এবং উঠতি যৌবনের ঐ স্কুল-পড়ুয়া ছেলেটা/মেয়েটা যদি তখনই তার বান্ধবীকে/বন্ধুকে বিয়ে করতে পারত, তার পরেও তারা বড় হয়ে সমকামী হতো কিনা!
অথচ আফসোস, ঐ টিনএজার তরুণের জন্য বিয়েটাকেই আমরা ধর্মভীরু বাংলাদেশীরা কঠিন করে দিয়েছি, আর দশটাকার কনডম কিনে দুইঘন্টার জন্য বান্ধবী/কাজিনের প্রাইভেট রুমে ঢোকাকে সহজ করে দিয়েছি!
ভারতের সমকামী আইনের নিন্দা জানাবেন? আগে নিজেকে নিন্দা করুন!
যাহোক, এইযে বলছে "সমকামী-বান্ধব মসজিদ" -- একটু চিন্তা করে দেখুন, কোনো মসজিদে প্রবেশের সময় কি মুসল্লিকে বলতে হয় সে সমকামী নাকি স্বাভাবিক? সে বিবাহিত, কি অবিবাহিত? সে জেনাকারী, নাকি সাধু?
না। তাহলে gay-friendly-mosque কথাটার অর্থ কী? বরং অসভ্য ইউরোপ-আমেরিকানদের যে বিভিন্ন 'সেক্স-ক্লাব' থাকে, সেটাকে যদি তারা একদিন gay-friendly ঘোষণা করে, তবে সেটা অর্থপূর্ণ হবে: এতদিন নারী-পুরুষ সেখানে মেলামেশা করতে পারত, এখন সমকামীরাও পারবে।
কিন্তু মসজিদ তো যৌনকর্মের জায়গা নয় যে, সেটাকে সমকামী-বান্ধব ঘোষণা করতে হবে!
অতএব, এগুলো শয়তানের এজেন্টরা নিউজ সৃষ্টির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছে, যাতে মুসলিম সমাজকে উত্তেজিত করা যায়। একইসাথে ইসলামে সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা ১% হলেও সৃষ্টি করা যায়। আপনাদেরকে এই বিষয়টা বুঝতে হবে।
২. আমাদের আরও একটি বিষয় বুঝতে হবে, তা হল, ভারতে যে সমকামী বিয়ে বৈধ ঘোষণা করেছে, তা নিয়ে কেন আমরা মাতামাতি করছি। ভারতে সমকামী বিয়ে বৈধ হওয়ার মানে এই নয় যে সেখানে রাস্তায় সমকামিতা করা শুরু করবে মানুষ! বরং দরজার আড়ালে এতকাল যা হতো, এখনও তা-ই হবে। অধিকাংশ যৌনকর্মই দরজার আড়ালে ঘটে, অতএব রাষ্ট্রীয় আইন কোনটাকে স্বীকৃতি দিল বা না দিল, তাতে বাস্তবতার খুব একটা পরিবর্তন হয় না। অথচ দেখুন, তারা চেয়েছে এটা নিয়ে বিশ্ববাসী কথা বলুক, আলোচনা করুক, আর আমরাও সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যাচ্ছি। এগুলো আলোচনায় তুলে আনছি, 'সমকামিতা' শব্দটার প্রচারণায় passively অংশ নিচ্ছি। ঠিক যেভাবে মৃত্যুর আগে হুমায়ুন আহমেদ এই বিষয় নিয়ে একটি মুভি করে বাঙালিকে আরো ভালভাবে এই বিকৃত যৌনাচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল!
আমাদের বুঝতে হবে যে, মসজিদে কেউ কথা বললে তাকে চুপ করতে বলতে হয় না, কারণ তাতে শব্দ সৃষ্টি হয়; বরং কেউ কথা বললে বাকী সবাইকে একদম নিঃশব্দ হয়ে যেতে হয়, যেন সে নিজেই বুঝতে পারে! আর তা না করে সবাই যদি 'মসজিদে কথা বলবেন না' ইত্যাদি বলা শুরু করেন, তাহলে কিন্তু ক্ষতিটা আরো বেশিই হবে: মসজিদে শব্দ বাড়বে। তো, একইভাবে সমকামিতা নিয়ে ভারতকে টিটকারি দিয়েই বা কেন আপনি লেখালেখি করছেন? এই শব্দগুলোর প্রচার-প্রসার কি আপনার হাত দিয়েও হচ্ছে না?
৩. যেহেতু প্রসঙ্গ এসেই পড়েছে, সেহেতু চিন্তা করা দরকার গোড়ার বিষয়ে। এবং যৌনতা বিষয়ে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি পুনরায় জাগ্রত হওয়া দরকার। সেজন্যেই এই ৩ নং পয়েন্ট। সেটা হলো:
বংশধারা বজায় রাখার জন্য প্রাণীকুলকে যৌন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হয়, অতএব, এটা যৌনকর্মের মূল উদ্দেশ্য। এরপর ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্ম মানুষের ক্ষেত্রে এই বিষয়টাকে সুনিয়ন্ত্রিত করেছে, কেননা লাগামহীন যৌনতা মানুষের আত্মাকে দুর্বল ও মৃতপ্রায় করে তোলে। অথচ খোদায়ী দ্বীন এসেছেই মানুষের আত্মাকে জাগ্রত করতে। এবং সেই মূল লক্ষ্যকে কেন্দ্রে রেখে মানবের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিভিন্ন দিককে গাইড করেছে, যেন তার জীবনের সকল দিকই তার আত্মিক মুক্তির পথে প্রতিবন্ধক না হয়ে বরং সহায়ক হতে পারে। এই বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ মাথায় রেখে আলোচনা করলে তবেই কেবল আলোচনা ভারসাম্যপূর্ণ হবে।
এখন, আপনারা সবাই জানেন যে, স্থায়ী-অস্থায়ী বিয়েসহ বেশকিছু উপায়ে মানুষের যৌনতাকে সুনিয়ন্ত্রিত করেছে ইসলাম। একইসাথে ইসলামী অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা, পারিবারিক ব্যবস্থা ইত্যাদি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, তা যেন বিয়েকে সহজ করে এবং যেনা-ব্যাভিচারকে কঠিন করে তোলে। পক্ষান্তরে, সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারে সার্বিকভাবে ইসলামের প্রভাবে কমে গেল তখন বিয়ে কঠিন হয়ে যায় এবং যেনা-ব্যাভিচার সহজ হয়ে যায় (যা বাংলাদেশসহ বহু মুসলিম বিশ্বে হয়েছে)।
সোজা কথা: হয় মানুষজন বৈধভাবে যৌন চাহিদা পূরণ করছে, নাহয় অবৈধভাবে। আর এই 'অবৈধ' এর মাঝে সমকামিতা কেবল একটি ক্যাটেগরি মাত্র, এবং তাদের সংখ্যা বরং অল্পই। তার তুলনায় নারী-পুরুষের অবৈধ যৌন সম্পর্কের সংখ্যা হাজারগুণে বেশি। এই বাংলাদেশেই যে স্কুল-কলেজের বাচ্চারা পর্যন্ত কতটা অবাধ যৌনতায় লিপ্ত, তার খোঁজ রাখেন? সম্ভবতঃ আপনারা তা জানেন না, কেননা এগুলোর প্রকৃত পরিসংখ্যান কোনোভাবেই পাওয়া সম্ভব না; আর আপনারা হয়ত স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির বাচ্চাদের সাথে এতটা বন্ধুসুলভ এখনও নন যে তাদের ব্যথা-বেদনা, ভয়-ভালোবাসা-শঙ্কাগুলোর অকপট গল্প জানবেন! যদি জানতেন, তবে স্কুল-কলেজ আর ইউনিভার্সিটিগুলোর চিত্র জেনে আঁতকে উঠতেন! স্মার্টফোন আর 'কাছে আসার গল্পগুলো' কী মহামারীভাবেই না তাদেরকে অবাধ যৌনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে!
অতএব, ফেইসবুকে 'ভারতে সমকামী বিয়ে বৈধ' নিউজের বন্যা দেখে হালকা চিন্তাশীল হয়ে এই নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেয়েন না। Bigger picture-টা দেখুন। আপনি জানেন না যে, এই সমাজে বিয়ে যদি সহজ একটা ব্যাপার হতো, এবং উঠতি যৌবনের ঐ স্কুল-পড়ুয়া ছেলেটা/মেয়েটা যদি তখনই তার বান্ধবীকে/বন্ধুকে বিয়ে করতে পারত, তার পরেও তারা বড় হয়ে সমকামী হতো কিনা!
অথচ আফসোস, ঐ টিনএজার তরুণের জন্য বিয়েটাকেই আমরা ধর্মভীরু বাংলাদেশীরা কঠিন করে দিয়েছি, আর দশটাকার কনডম কিনে দুইঘন্টার জন্য বান্ধবী/কাজিনের প্রাইভেট রুমে ঢোকাকে সহজ করে দিয়েছি!
ভারতের সমকামী আইনের নিন্দা জানাবেন? আগে নিজেকে নিন্দা করুন!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন